Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
June 03, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, JUNE 03, 2025
নতুন জীবনীগ্রন্থে চারু মজুমদারের একটি পুলিশি জেরা

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
13 June, 2022, 10:10 pm
Last modified: 14 June, 2022, 06:59 am

Related News

  • 'ভোটের জন্য মত দিন', মৃত্যুর পাঁচ দশক পরে চিঠি এল চারু মজুমদারের নামে!
  • বাইকে বিপুল ছাড়, গ্রাহকের উন্মত্ত অর্ডারই ইভ্যালির পতনকে ত্বরান্বিত করেছে
  • নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে ওয়েব সিরিজ: নওয়াজুদ্দীনের সঙ্গে অভিনয়ে জয়া

নতুন জীবনীগ্রন্থে চারু মজুমদারের একটি পুলিশি জেরা

অশোক মুখোপাধ্যায়ের ‘চারু মজুমদার: দ্য ড্রিমার রেবেল’ বই অবলম্বনে নকশালবাড়ি আন্দোলনের পুরোধা চারু মজুমদারকে পুলিশের কাল্পনিক জেরা...
টিবিএস ডেস্ক
13 June, 2022, 10:10 pm
Last modified: 14 June, 2022, 06:59 am
চারু মজুমদার। ছবি: সৌরিক৮ ভায়া স্ক্রল ডট ইন

অশোক মুখোপাধ্যায় চারু মজুমদার: দ্য ড্রিমার রেবেল নামে নকশালবাড়ি আন্দোলনের পুরোধার নতুন একটি জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন। নিয়োগি বুকস থেকে প্রকাশিত এ বইটি প্রকাশনীটির 'পাইওনিয়ারস অভ মডার্ন ইন্ডিয়া' শীর্ষক সিরিজের অংশ। বইটিতে চারু মজুমদারকে পুলিশের একটি কাল্পনিক জেরার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। তার সারাংশ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর পাঠকদের জন্য ভাষান্তর করা হলো।


পুলিশের ইন্টারোগেশন টিম তাদের কাজে নেমে পড়লো। প্রথমে প্রশ্নবাণ ছুড়তে শুরু করলেন অরুণ খাসনবিশ (ছদ্মনাম): 'আপনার পরিচয় নিয়ে কিছু বলুন আগে।'

বুশ শার্ট ও ট্রাউজার পরা চারু মজুমদার একটু হাসলেন কেবল। 'বেশ, আপনি আমাদের না বললেও আমরা আপনার ব্যাপারে সবকিছুই জানি: ভুল হলে ঠিক করে দেবেন।' এরপর খাসনবিশ চারু বিষয়ে তার 'জ্ঞান' ঝাড়তে শুরু করলেন। আরেক জুনিয়র কর্মকর্তা সেগুলো লিখতে শুরু করলেন। লেখার জন্য অবশ্য তাকে সরকারি নিয়ম মেনে লিখতে হয়েছিল।

নাম: চারু মজুমদার ওরফে চন্দ্র দা।
পিতার নাম: প্রয়াত বিরেশ্বর মজুমদার।

ঠিকানা: স্থায়ী: মহানন্দা পাড়া, শিলিগুড়ি; বর্তমান: মিডল রোড এনটালি, কলকাতা। বয়স: ৫৪ বছর।

উচ্চতা: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি/২.৫ ইঞ্চি।

গড়ন: পাতলা।

নাক: ধারালো ও চোখা, প্রায় ঠোঁট ছুঁয়ে ফেলছে।

গায়ের রং: একসময় উজ্জ্বল ছিল, এখন রোদে পুড়ে কালো হয়ে গেছে। 'গমের মতো,' জুনিয়রকে লেখার আদেশ দিলেন খাসনবিশ।

গ্রেপ্তারের তারিখ ও স্থান: জুনিয়র অফিসার খাসনবিশের দিকে তাকালেন। কারাকক্ষের ভেতর পায়চারি করতে করতে খাসনবিশ নির্দেশ দিতে শুরু করলেন। '১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই রোজ রোববার ভোরবেলা প্রবাল কুমার রায়ের কলকাতার ১০৭ এ মিডল রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় (নিচতলার পুবদিকের ফ্ল্যাট)।'

খাসনবিশ যেন চারু মজুমদারের আত্মজীবনীর ঘোস্ট রাইটারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। তিনি বলে চললেন-

আমার আদি নিবাস রাজশাহীর (বর্তমান বাংলাদেশে) হারুয়া গ্রামে। ১৯ শতকের শেষদিকে কোনো এক বছর আমার ঠাকুরদা রাজশাহী থেকে শিলিগুড়ি চলে আসেন।

১৯৩০ সালে শিলিগুড়িতে ছাত্র থাকাকালীন আমি সেবমঙ্গল সিং ও ব্রজেন বসু রায়চৌধুরীর উৎসাহে নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি (অল বেঙ্গল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন- এবিএসএ, তখনকার অনুশীলন সমিতির অংশ)-এর সদস্য হই। 

১৯২৮ সালে নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি গঠিত হয়। পরে এটি দুটো অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। এবিএসএ অনুশীল সমিতির সাথে যুক্ত থাকে, অন্যদিকে প্রাদেশিক বাংলা ছাত্র সমিতি (বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন- বিপিএসএ) যুগান্তর দলের সাথে মিত্রতা স্থাপন করে।

এবিএসএ-এর মাধ্যমে আমি অনুশীলন সমিতির সাথে যুক্ত থাকি। ১৯৩১ সালে এবিএসএ-এর তখনকার নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী কলেজের অধ্যাপক সত্যেন মজুমদারের গ্রেপ্তারের পর শিলিগুড়ির ছাত্রদের এবিএসএ-এর সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সে যাইহোক, আমি পড়ালেখা চালিয়ে যাই…

চারুবাবু ভাবলেন পুলিশের এ বড়কর্তাটি তাকে নিয়ে গবেষণার জন্য কতই না সময় ব্যয় করেছে।

…১৯৩৭ সালের আশেপাশে আমি পড়ালেখার পাট চুকাই। কলেজে থাকার সময় আমি মদের প্রতি আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কলেজের হোস্টেলে নিয়মতি মদ খেতাম। বাবার মাছ থেকে মাসে ২৫ টাকা খরচ পেতাম। সেখান থেকে ছয় টাকা কলেজের ফি, সাত টাকা হোস্টেলের ফি, আর বাকি ১২ টাকা মদের পেছনে যেত…

'কী?' চোখে একটু অবিশ্বাস নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন চারুবাবু। 'আপনি বলতে চাচ্ছেন ওই দিনগুলোতে আমি মদে ডুবে ছিলাম আর এডওয়ার্ড কলেজের সুপারিন্টেন্ডেন্ট এতই উদারমনা ছিলেন যে তিনি ওই উপদ্রব মেনে নিয়েছিলেন? জমলো না, বুঝলেন। আরেকটু ভালো মাইনে দিয়ে ইনফর্মার রাখুন তো!'

…শেষদিকে আমি গাঁজা, ভাং, আফিম, চরস, ও সিদ্ধিতেও আসক্ত হয়ে যাই, দীর্ঘদিন এসব মাদক গ্রহণ করেছিলাম আমি…

'কী দারুণ গল্পই না ফেঁদেছেন, মশায়,' হাততালি দিতে দিতে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন চারুবাবু। রেগে কক্ষ থেকে বের হয়ে গেলেন খাসনবিশ।

সন্ধ্যাবেলায় কারাগারে এলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। সঙ্গে দেখা গেল তার শিষ্য ছাত্র পরিষদের কুমুদ ভট্টাচার্য, এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার আরএন চ্যাটার্জিকেও।

দ্য হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড-এর স্টাফ রিপোর্টার 'মজুমদার-সুব্রতের সাক্ষাৎ' শিরোনামে ১৭ জুলাই ১৯৭২ সালে তার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন পাঠান-

…কেউ যদি ভেবে থাকেন যে তাদের দুজনের সাক্ষাৎ-এ কোনো করুণ রস ছিল, তাহলে তিনি ভুল করবেন। মুখার্জি মনে করেন প্রাক্তন ও বর্তমান প্রজন্মের নেতাদের রাজনৈতিক ভুলের কারণে শত শত তরুণের মৃত্যু ঘটেছে। অন্যদিক মজুমদার হয়তো মনে করেন তাদের মৃত্যু বৃথা যায়নি।

সেদিনের আলোচনায় সুব্রত মুখার্জি চারু মজুমদারকে তাদের রাজনৈতিক আলাপ আরেকটু দীর্ঘ করার অনুরোধ করেছিলেন। মজুমদার তাতে রাজি হয়েছিলে। তখন তাকে সুব্রত মুখার্জি বলেছিলেন, 'আপনি যদি আমাকে বোঝাতে পারেন যে আপনাদের রাজনীতি সঠিক, তাহলে হয়তো আপনার দলে আমিই ভিড়ে যাব।'

মুখার্জি সিপিআই(এমএল)-এর প্রধানকে এটাও নিশ্চিত করেন যে তার যাবতীয় চাহিদা মেটানো হবে। এসময় তিনি চারু মজুমদারের বিশাল রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ-এ পড়ুয়া নিজের মেয়েকে দেখতে চাওয়ার ইচ্ছের কথা জানানো ছাড়া বিশেষ কিছু বলেননি চারু মজুমদার। এরপর যখন সুব্রত মুখার্জি কারাকক্ষ থেকে বেরোতে যাচ্ছেন, তখন শান্তস্বরে চারু মজুমদার বলে উঠলেন, 'ভাববেন না আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে।'

ছোট ওই সাক্ষাৎকারে কলকাতা পুলিশের কমিশনার পুরোটা সময় জুড়ে সুব্রত মুখার্জির সঙ্গে ছিলেন। এত বেশি সফরসঙ্গী নিয়ে আসার জন্য মুখার্জি মজুমদারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মুখটা হাসি হাসি করে মুখার্জির ভদ্রতাপ্রকাশের জবাব দিয়েছিলেন মজুমদার।

১৭ জুলাই সকাল ১১টার দিকে লালবাজারের কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায় অনিতা। ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে দলের ব্যবস্থাপনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বাবার সঙ্গে দুই কি তিনবার দেখা করেছিলেন অনিতা। শেষবার ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল।

মেয়ে অনিতাকে দেখে চারু মজুমদারের মুখ হাসিতে উৎফুল্ল হয়ে গেল, 'অনিতা, মা তুই দেখি অনেক বড় হয়ে গেছিস রে!' অনিতা হাসল। ছোটবেলার একটা ঘটনার কথা তার মনে পড়ে গেল। বয়স বোধহয় তখন দুই-আড়াই-এর মতো হবে। তার বাবা তার জন্য একটা কাচের জগ কিনে এনেছিলেন। 'এটা তোমার, এখন থেকে যখনই তৃষ্ণা লাগবে, তখন এটা থেকে জল খেও,' বাবা বলেছিল।

সে উপহার পেয়ে মেয়ের খুশি আর কে দেখে! বাড়ির অন্য বড়দের মতো সেও জল খেতে পারবে! অনিতা পরে টের পেয়েছিল এটা ছিল স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য একটা শিক্ষা। আরেকটু হেসে চারদিকে তাকাল সে। কারাগরের ওই কক্ষে কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডার দেখা গেল না। অবশ্য তার বাবাকে দেখেও মনে হচ্ছিল না তিনি বিশেষ অসুস্থ। বরং সে বাবাকে আরও করুণ অবস্থায় দেখেছে।

'কেমন আছ তুমি?' অনিতা জিজ্ঞেস করল। 'খারাপ না,' হেসে উত্তর দিলেন বাবা। চারুবাবু তারপর পরিবারের সবার খোঁজ নিলেন। অনিতাও সবার খবর জানাল বাবাকে। তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আলাপের পুরোটাই হয়েছিল পুলিশের উপস্থিতিতে। তাই সেটা পাঁচ মিনিটের মধ্যে সারতে হয়েছিল।

দিন পার হওয়ার সাথে সাথে জেরার রূঢ়তাও বাড়তে শুরু হলো। ইন্টারোগেশন টিমে খাসনবিশের পাশাপাশি আরও তিনজন ছিলেন। এরা হলেন হরিপদ বসু, চৈতন্য সেন, ও নরেশ রায় (ছদ্মনাম)।

রাত গড়িয়ে দুইটা, চারুবাবুর একটু তন্দ্রামতো লেগে এসেছিল। এক সহকারীকে নিয়ে কক্ষের ভেতর প্রবেশ করলেন হরিপদ। আর সব সেশনের মতো এটাতেও সত্য আর মিথ্যার মিশ্রণ ব্যবহার করলেন হরিপদ। কিন্তু এবার চারুবাবু বুঝতে পারলেন তাকে নিয়ে পুলিশ কী ধরনের রিপোর্ট তৈরি করতে যাচ্ছে।

'আপনি কি এখনো শ্রেণীশত্রুদের খতম করায় বিশ্বাস করেন?' চারুবাবুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন হরিপদ বসু।

'হ্যাঁ, আমি করি,' মাথা নাড়লেন চারু মজুমদার, 'শ্রেণীশত্রু বলতে আমি সামন্তশত্রুদের বুঝি, যারা ভূস্বামী। ভূস্বামী, জোতদারদের পাশাপাশি কুসীদজীবীদের খতম করাতেও আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমি কখনো নির্বিচারে নিশ্চিহ্ন করার ব্যাপারে বলিনি… এবং আমি পুলিশ খতমেরও বিরুদ্ধে নই… এটা অনিবার্য কারণ পুলিশ হচ্ছে প্রশাসনের পেটোয়া বাহিনী… এখানে আমি উল্লেখ করতে চাই, পুলিশও কিন্তু আমার ক্যাডারদের ছেড়ে কথা কয়নি, তাদেরকে নির্বিচারে খুন করেছে।'

'শ্রেণীশত্রু খতমের ব্যাপারটা কেবল গ্রামাঞ্চলের শ্রেণীশত্রুদের খতম করাই তো বোঝানো হয়েছে, তা-ই না?' শেয়ালের মতো তীক্ষ্ণচোখ বিশিষ্ট বসু জিজ্ঞেস করলেন। চারুবাবু প্রশ্নের জালটা ধরতে পারলেন। হরিপদ তার কাছ থেকে এমন একটা কথা বের করার চেষ্টা করছে যার কারণে শহরে বিপ্লব চালানো কমরেডরা প্রতারিত বোধ করবেন।

'শ্রেণীশত্রু খতম কোনোভাবেই এটা বোঝায় না যে শহরের শ্রেণীপতিদের ছাড় দেওয়া হবে। যখন কোথাও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে, খতম সেখানে এমনিতেই হয়ে যায়। তাই, বরং লিখুন…', চারু মজুমদার জোর দিয়ে বললেন, 'শহরে পুলিশদের খতম করাও চলমান থাকবে।'

বসুর চোখেমুখে হতাশা স্পষ্ট হয়ে উঠলো। তিনি মন্তব্য করলেন, 'আপনার কোনো ধারণা আছে, খুন থেকে শুরু করে ব্যাংক লুটের ষড়যন্ত্র করা, এরকম কতগুলো অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে সাজানো হচ্ছে?'

'দয়া করে এগুলোর সাথে আরও তিনটা জুড়ে নিন- আমি বিশ্বাস করি মাও সে-তুং হচ্ছেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। ১৯৬২ সালে ভারতই চীনে আক্রমণ চালিয়েছিল। আর নকশালবাড়ি আন্দোলন হচ্ছে ভারতের গণমানুষের মুক্তির উপায়,' উত্তর দিলেন চারুবাবু।

'বেশ, তা-ই হবে,' জেরার সমাপ্তি টানলেন হরিপদ বসু।

জুলাই মাসের দুপুরের তীব্র গরমেও পুলিশের জেরার থেকে রেহাই পাননি চারু মজুমদার। তিনি পুলিশের অভিসন্ধি বুঝতে পেরেছিলেন। তারা চাচ্ছিল তাকে উত্তেজিত করে তুলতে- তার স্বাস্থ্যের যে পরিস্থিতি তা-তে উত্তেজিত হওয়াটা কড়াভাবে নিষিদ্ধ ছিল।

একটু অপ্রতিভ চৈতন্য সেন বললেন, 'চারুবাবু, আমার কাছে খবর আছে ১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কমিটি'র মিটিং-এ আপনি সুশীতল রায়চৌধুরীকে অপমান করেছিলেন।'

'সব বাজে কথা,' চড়া গলায় উত্তর দিলেন চারু মজুমদার, 'আমাদের মধ্যে সবচেয়ে পণ্ডিত মানুষ ছিলেন সুশীতলবাবু।'

কিন্তু কথার রেশ ধরে সেন বলতে লাগলেন, '...সুশীতল রায়চৌধুরী মানে এসআরসি শহরাঞ্চলে পার্টির কাজকারবার নিয়ে প্রথম দ্বিমত পোষণ করেছিলেন এবং তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন…'

সেনের মুখটা সামনে থেকে হারিয়ে গেল, তার জায়গায় চারু মজুমদার স্পষ্ট দেখতে পেলেন সুশীতল রায়চৌধুরী বসে আছেন। তার চোখের দৃষ্টি চারুর হৃৎপিণ্ডের দিকে নিবদ্ধ।

রায়চৌধুরী হাসলেন, 'চারুবাবু যদি মনে করতে পারেন, পার্টির প্রথম কংগ্রেসে যখন আপনার কর্তৃত্ব নিয়ে কথা উঠলো, আমি এক ব্যক্তির চেয়ে পলিটব্যুরোর প্রাধান্যের কথা ইঙ্গিত করে মাওর একটি বাণীর কথা উল্লেখ করেছিলাম। অন্যভাবে বলতে গেলে, আমি দলগত নেতৃত্বের ওপরে গুরুত্ব দিয়েছিলাম।'

'ঠিক বলেছেন, সুশীতলবাবু।'

'কিন্তু তারপর পার্টির সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেবল আপনার একক ছিল। সেগুলো কখনোই পার্টির কমিটির সাথে আলোচনা করে হয়নি।'

চারু মজুমদার নিরুত্তর রইলেন।


সূত্র: স্ক্রল ডট ইন

ভাষান্তর: সুজন সেন গুপ্ত

Related Topics

টপ নিউজ

চারু মজুমদার / নকশালবাড়ি আন্দোলন / জীবনীগ্রন্থ / নকশাল / শ্রেণীশত্রু / পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা, পাবেন জুলাই থেকে
  • সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা অর্থ উপদেষ্টার
  • এখন থেকে বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনা যাবে না
  • নোবেল পুরস্কারসহ ৯ ধরনের পুরস্কারের আয়ে দিতে হবে না কর
  • যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি!
  • যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

Related News

  • 'ভোটের জন্য মত দিন', মৃত্যুর পাঁচ দশক পরে চিঠি এল চারু মজুমদারের নামে!
  • বাইকে বিপুল ছাড়, গ্রাহকের উন্মত্ত অর্ডারই ইভ্যালির পতনকে ত্বরান্বিত করেছে
  • নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে ওয়েব সিরিজ: নওয়াজুদ্দীনের সঙ্গে অভিনয়ে জয়া

Most Read

1
অর্থনীতি

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা, পাবেন জুলাই থেকে

2
অর্থনীতি

সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা অর্থ উপদেষ্টার

3
অর্থনীতি

এখন থেকে বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনা যাবে না

4
বাংলাদেশ

নোবেল পুরস্কারসহ ৯ ধরনের পুরস্কারের আয়ে দিতে হবে না কর

5
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি!

6
অর্থনীতি

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net