‘আমি যখন গান গাইতাম লিপস্টিক লেপ্টে গেল কি না ভাবতাম না, কারণ আমার কোনো লিপস্টিক ছিল না’

৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হলেন লতা মঙ্গেশকর। মারাঠি পণ্ডিত ও সঙ্গীতগুরু দীনানাথ মঙ্গেশকরের ৫ সন্তানের জ্যেষ্ঠ লতা মঙ্গেশকরের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে খণ্ড খণ্ড কথোপকথন নিয়ে শতবর্ষের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের একটি সংকলন নির্মাণের চেষ্টা করলাম।
মিউজিক্যাল রিয়েলিটি শো সারোমাপা-র একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লতা মঙ্গোশকরের ছোট বোন আশা ভোসলে। আশা অনুষ্ঠান থেকে ফোন করে প্রতিযোগী ও বিচারকদের সাথে লতাকে সংযুক্ত করেন। সেখানে লতা বলেন, "কখনো কখনো এই মিউজিক্যাল শো দেখি, মেধাবী শিশুদের দেখে ভালো লাগে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে তাদের অনেকে হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। আমি একালের শিল্পীদের বলি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জ্ঞান থাকাটা খুব জরুরি। নতুবা কেবল গান গাওয়ার জন্য গান গাওয়া হবে।"
বলা হয় লতাজি আর আশাজির মধ্যে মুখ দেখাদেখি নেই। কিন্তু সারেগামাপার অনুষ্ঠানে লতাজিকে ফোন করে আশা দেখিয়ে দেন ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। লতা বলেছিলেন, "আমাদের মতানৈক্যের ব্যাপারটি বছরের পর বছর ফেঁপে ফুলে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। সবার আগে, চিরদিনের জন্য সত্যটি হচ্ছে আমরা মূলত বোন।"
"আমরা কখনো প্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী ছিলাম না। মাইক হাতে নিয়ে আশা যা করতে পারে আমি কখনো করতে পারব না। আশা যেভাবে পিয়া তু আব তু আজা কিংবা চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিল কো গায়, আমি তা কখনো পারব না। আমার কথা হচ্ছে শিল্পী হিসেবে আমাদের যার যার নিজস্ব চত্বর রয়েছে। তাহলে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হবে কেনো? ইয়ে বিলকুল গলত হ্যায়। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে মানুষ অনেক কথা বলে। আমাদের মধ্যে তো কোনো লড়াই নেই। ক'বছর আগেও আমরা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থেকেছি। ফ্ল্যাটের মাঝখানে একটা সংযোজক দরজাও ছিল। এক জন অন্য জনের ঘরে আমাদের হামেশাই যাওয়া-আসা ছিল।"
লতাজি আরও বলেন, "আশা কম বয়সেই বাড়ি ছাড়ে এবং বিয়ে করে। নিজের জন্য অনেক সুনাম কামাই করে। আমি তাকে নিয়ে গর্বিত, আমাদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যে টানাপোড়েন নেই। আশা তার শো-তে যাবার আগে আমার আশীর্বাদ চায়। আমি শুনেছি তার গানের খাতায় আমার ছবি সাঁটা আছে। আমি সবসময়ই বড় বোনের দায়িত্ব পালন করেছি। এমন ভাইবোনের বড় বোন হওয়াটা আমার জন্য গর্বের বিষয়।"

আশার মূল্যায়ন কীভাবে করেছিলেন লতা? লতা মুঙ্গেশকর বলেছিলেন, "আশা এমনিতেই বিখ্যাত হয়নি। ও সবধরনের গান গাইতে পারে, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে সে আমার স্টাইলটি ধরেনি। যদি তা করতো তাহলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতাম।"
সহকর্মীদের নিয়ে লতাজি বলেন, "হ্যাঁ আমি কিশোরদা (কিশোর কুমার), মুকেশ ভাইয়া, মোহম্মদ রফি সাব, সলিল চৌধুরী, শঙ্কর জয়কিশান, হেমন্ত কুমারকে মিস করি; নওশাদ সাব আমার জন্য সঙ্গীত পরিচালকের চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। তিনি আমাকে বাড়িতে দাওয়াত করতেন, খাইয়ে দিতেন, আমার দেখভাল করতেন। সেটা ছিল বড় ধরনের সৃষ্টিশীলতা ও বন্ধুত্বের কাল।"
লতা বড় মাপের শিল্পী হবার কারণে তার ভাইবোনরা প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এমন কথাও বলা হয়। কিন্তু তিনি কি তা মনে করেন? লতাজি বলেছিলেন, "মোটেও না, আমি তা অস্বীকার করি। আজ মহারাষ্ট্রে কেবল আমি পরিচিত তা নয়, সম্মিলিতভাবে আমরা মঙ্গেশকর পরিবার হিসেবে পরিচিত। তবে এটা ঠিক বট গাছের নিচে অন্য গাছ বেড়ে উঠতে পারে না- এটা আমার পরিবারের বেলাতেও প্রয়োগ হতে পারে।"
আর কী পাবার স্বপ্ন থাকতে পারে লতাজির? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমার যা প্রাপ্য ছিল তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। এতো কিছু পাবার ছিল না। আমার চেয়েও ভালো শিল্পীর দিকে তাকিয়ে অবাক হই, তারা কেনো তাদের প্রাপ্য খ্যাতিটুকু পেলেন না।"
"আমার চেয়ে ভালো অনেকেই আছেন। সিনেমার বাইরে শিল্পীদের একটি পৃথিবী আছে, সেখানে তারা খেটে মরছেন। ক্লাসিক্যাল শিল্পীদের দেখুন, অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের অনেকের মধ্যে দিন কাটছে।"

সবচেয়ে খ্যাতিমান ক্ল্যাসিক্যাল শিল্পীরা লতা মঙ্গশকরের প্রশংসা করেছেন। লতা বলেন, "এটা তাদের মহত্ব। ম্যায় কুচ ভি নাহি হু, ফির ভি বহুত কুচ হু।"
সব সুরকার কি তাদের শ্রেষ্ঠটি লতার গানের জন্য ঢেলে দেননি? লতা বলেন, "আমার মনে হয় আমি ভালোই করেছি। নতুবা তারা আমাকে চাইবেন কেন? কখন আমাকে পাওয়া যাবে সে জন্য সুরকাররা অপেক্ষা করবেন কেন? সুরকাররা আমার জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করেছেন। সেটা কি আমার প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করে না? সেসব দিনগুলোতে সঙ্গীত খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। সুরকাররা ছিলেন সিনেমার বাদশাহ। সুর ছিল সিনেমার প্রাণ। এখন অবশ্য তা আর সত্যি নয়।"
তবে একজন সুরকার কখনো সিনেমার গানে লতা মঙ্গেশকরের সাথে কাজ করেননি। লতা বললেন, ও পি নায়ার। তিনি খুব চমৎকার সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। কিন্তু তার স্টাইলটা আমার সাথে খাপ খাওয়ানোর মতো নয়- আমি তা স্বীকার করি। তিনি প্রকাশ্যে বলতেন, আমি (ভারতের) এক নম্বর শিল্পী। তার সাথে আমার একটি উষ্ণ সম্পর্ক ছিল।"
ও পি নায়ারের স্টাইলটা তাহলে কি? লতাজি জানান, "যেভাবে তিনি গীতা দত্ত ও আমার বোন আশাকে দিয়ে গান গাইয়েছেন সেটা আমার জন্য যুৎসই হতো না। কিন্তু তিনি তার প্রথম সিনেমার গানের জন্য আমাকেই রেখেছিলেন। কিন্তু রেকর্ডিংটা আমাকে বতিল করতে হয়। তার প্রথম গান নাহি হুয়া মেরে লিয়ে আচ্ছা হুয়া আমি বাতিল করাতে আমার মনে হয় তিনি কষ্ট পেয়েছিলেন।

লতা মঙ্গেশকরের ওপর সবচেয়ে বড় প্রভাব কে? লতাজি বলেন, "তার মানে আমার গান গাওয়ার ওপর? গুলাম হায়দার সাব, ক্ষেমাচাঁদ প্রকাশজি এবং সাজ্জাদ হুসাইনের কাছে আমি ঋণী। তারাই শুরুতে আমার কণ্ঠে বিশেষ কিছু আবিষ্কার করেছিলেন। আমি আরও যাদের কাছে ঋণী তাদের মধ্যে আছেন মদনমোহন, এস ডি বর্মণ, আর ডি বর্মণ, জয়দেব, সলিল চৌধুরী ও হেমন্ত কুমার। তাদের সামনে আমি ছিলাম ছাত্রীর মতো। আমরা বসতাম, একই গান দিনের পর দিন রিহার্সেল করতাম। মনে রাখবেন সে সময় প্রতিটি সিনেমার ৮-৯ টি গান থাকত। তারপরও প্রত্যেকটি গানই ছিল একটি শিশু সৃষ্টি করার মতো ব্যাপার। এভাবেই আমরা সম্পৃক্ত হয়ে মিউজিক রুমে এক একটা গান সৃষ্টি করতাম। আমি সুরকারকে মান্য করতাম, তারপর প্রত্যেকটি গানে আমার নিজের কিছু যোগ করতাম। এখনকার শিল্পীদের মধ্যে সেই সহমর্মিতার বোধটুকু নেই।"
তাদের জন্য কি দুঃখ হয়? লতা বললেন, "তা নয় তবে বড় সুরকারের গান গাইলে তারাই উপকৃত হতেন। এখন তো সিনেমার গানের সুযোগও সীমিত। স্টেজ শো-র প্রতি শিল্পীদের বেশি পক্ষপাত। কারণ তারা প্লে-বাক গান তো তেমন পাচ্ছেন না। কাজেই তাদের দোষ দেওয়া যায় না।"
আসছে প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য তার কোনো উপদেশ আছে কি? লতা মঙ্গেশকার জবাব দিলেন, "আপনি কি মনে করেন আমার পরামর্শ তাদের দরকার কিংবা পরামর্শ তারা চায়? একালের তরুণরা আমি সারাজীবনে যতটুকু না হতে পেরেছি তার চেয়ে বেশি স্মার্ট। আর আমি যেভাবে সাফল্য পেয়েছি তার চেয়ে অনেক সহজে তারা সাফল্য লাভ করে। আমার প্রচেষ্টার সময়গুলো কীভাবে গিয়েছে তারা তা দেখেনি।"
"আমার বয়ঃসন্ধিকাল কেমন কেটেছে আমি তা জানি, হঠাৎ বাবার মৃত্যুর পর আবিষ্কার করলাম সংসার চালাতে আমাকে কাজে নামতে হয়েছে। প্রত্যেকটি দিন ছিল আমার জন্য নতুন এক সংগ্রামের দিন। এমনকি যখন আমি নিয়মিত কাজ শুরু করলাম আমাকে আমার সর্বোত্তমটা দেবার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হলো। আমাকে শতভাগ দিতে হবে। নওশাদ সাহেবের জন্য গান গাওয়া আর শঙ্কর জয়কিশানের জন্য গাওয়া একই ব্যাপার নয়; প্রতিটি গান এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে। আমি যখন গান গাইতাম লিপস্টিক লেপ্টে গেল কিনা ভাবতাম না, কারণ আমার কোনো লিপস্টিক ছিল না; কিংবা আমাকে কেমন দেখায় তাও ভাবিনি, আয়না দেখার সময়ও ছিল না। আমি টাকার কথাও ভাবিনি, যদিও সংসার চালাতে হয় বলে টাকার খোঁজ করেছি।"

সৃজনশীল সঙ্গীত পরিচালকের অভাব কি না, এ প্রসঙ্গে লতা বললেন, "পুরোপুরি নয়। এ আর রহমান, শঙ্কর মহাদেভান, সালিম সুলায়মান মেধাবী; শঙ্কর মহাদেভান চমৎকার মানুষ, মেধাবী ও বিনয়ী। আমি তাকে অনেক উঁচুদরের শিল্পী মনে করি।"
"আমি সব সময়ই ঝুঁকে পড়ে প্রণাম করতাম। তবে এটা সত্য আমি যে সব সুরকারের সাথে কাজ করেছি তারা ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী। আমার মনে হয়েছে সবচেয়ে বিষ্ময়কর দ্রব্যে পূর্ণ একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে আমি ছিলাম একটি শিশুর মতো। আমি তেমনই অনুভব করতাম। আমার উপর তাদের আশীর্বাদ ছিল। দেখুন আমিই কেবল সব শিল্পীর সাথে কাজ করেছি; রফি সাব, কিশোরদা, মান্না দে, মুকেশ ভাইয়া গীতা দত্ত, হেমন্ত কুমার, আমার বোন আশা- সবাই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমার বোন এবং আমি আমাদের চার পাশের সুরকার ও শিল্পীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে থাকতাম- আমাদের শ্রেষ্ঠটাই দিতে হবে। আমরা কাজ করতে করতে শিখেছি।"
লতা মঙ্গেশকর যখন এসব বলছেন, মুম্বাইর সিনেমার গানে ৬৫ বছর পার করে দিয়েছেন। মানুষ বাঁচে ক'বছর? ৬৫ বছরের সঙ্গীত জীবন (শৈশবের হিসেব বাদ থাক) অতিক্রম করে আসা লতাজির জন্য প্রশ্ন: সিনেমার জন্য গান গাওয়া কি বন্ধ করে দিয়েছেন? তিনি বলেছিলেন, "মোটেও না, যতদিন পারব গেয়ে যাব। হতে পারে এখনকার সঙ্গীত পরিচালকরা হয়ত আমার সাথে মিলিয়ে নিতে পারছেন না। কেউ কেউ ভাবতে পারেন কিংবা বিশ্বাস করেন, লতা আর গাবে না, বহু বয়স হয়ে গেছে। তারা যদি তা-ই ভাবেন তাদেরও স্বাগত জানাই, আমার এতে কিছু এসে যায় না।"

"আমি যতক্ষণ পর্যন্ত গানের বাণী আর সুর না শুনছি আমি আজকের সুরকারকে হা বলতে পারব না। সে জন্য আগে একটা খসড়া রেকর্ডিং পাঠাতে বলি; রেকর্ডিং-এর সময় গানটা আমার উপভোগ্য নাও হতে পারে এই ভয় হয়। এরকম ঘটনা আমার সঙ্গীত জীবনে একবারই ঘটেছিল; তবু আমি গানটা গেয়ে আমরা অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলাম।"
বিব্রতকর সেই গান কোনটি? লতা বলেন, "আমার রাখি পাতানো ভাই বিষ্ময়কর অভিনেতা ওম প্রকাশ চাচা জিন্দাবাদ নামে একটি ছবি প্রযোজনা করলেন। সুরকার আমার প্রিয়দের একজন মদন মোহন। সেটা ছিল নাচের গান। রেকর্ডিং শেষে আমি ওম প্রকাশ ভাইয়াকে এক পাশে ডেকে নিয়ে বললাম তার উচিত গানটা অন্য কাউকে দিয়ে গাওয়ানো। তিনি প্রতিবাদ করে বললেন, আমি নাকি খুব ভালো গেয়েছি। আমি তাকে বলেছিলাম আপনি যদি আপনার বোনকে কিছু দিতে চান তা হলে অনুগ্রহ করে গানটা অন্য কাউকে দিয়ে রেকর্ড করান।"
কিন্তু এই গানটি বিব্রতকর মনে হবার কারণ কী ছিল? "সিনেমার মেয়েটি ক্লাসিক্যাল গায়, কিন্তু তার বয়ফ্রেন্ডের মন কাড়ার জন্য তাকে একটা রাম্বাসাম্বা ধরনের গান গাইতে হয়েছে," বলেন তিনি। ওম প্রকাশ লতার কথা রাখলেন। তিনি সত্যিই গানটি অন্য কাউকে দিয়ে রেকর্ড করান।
এরপর থেকেই লতাজি বাণী ও সুরে স্বাচ্ছন্দ বোধ না করলে রেকর্ডিং-এ যান না।
লতা কি পাশ্চাত্য ধাঁচের গান তার বোনের জন্য রেখে দিয়েছেন? এ জবাবে লতা বলছিলেন, "আত্মদান করা শহীদের মতো যেন আমাকে না শোনায়। ক্যাবারে গানের সাথে আমি নিজেকে সংযুক্ত করতে পারি না। কোনো ধরনের বিনয় প্রকাশ করে নয়, সত্যিই আশা যে গান গাইতে পারে, আমি কখনও গাইতে পারব না। আজা আজা ম্যায় হু পেয়ার তেরা কিংবা পিয়া তু আব তো আজা গানে যে অভিব্যক্তি ও শৈলীর প্রকাশ আশা ঘটাতে পেরেছে আমার পক্ষে তা সম্ভব নয়। সে গানের জন্য আমি নই। আমার জন্য কোমল, রোমান্টিক গান।"
৬৫ বছর ধরে হিন্দি চলচ্চিত্রে শিল্পে কেমন করে সম্ভব হলো? লতা মঙ্গেশকার বলেছিলেন, "বাবা-মার আশীর্বাদ ছাড়াও শুরু থেকেই আমার নিজের প্রত্যয় ও প্রচেষ্টা। আমি হারার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি। আমি যা করতে চেয়েছি তা-ই করেছি। নিজের পেশাগত জীবনের প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে-নতুবা এর কোনো মানে নেই।"
লতাজি বিদায় নিলেন, কিন্তু পেছনে রেখে গেলেন সঙ্গীতের বিপুল ঐশ্বর্য।