Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 15, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 15, 2025
বাসার ভেতরে এক টুকরো বাগান তৈরি করে দেন তারা

ফিচার

ফাইয়াজ আহনাফ সামিন
06 April, 2024, 05:35 pm
Last modified: 06 April, 2024, 06:49 pm

Related News

  • লম্বা সময় বাড়ির বাইরে? আপনার হয়ে গাছে পানি দেবে এই বাংলাদেশি ‘ওয়াটারিং ডিভাইস’
  • ৩০ টাকায় বাগানভ্রমণ, নিজে হাতে গাছ থেকে ছিঁড়ে কেনার সুযোগ: দার্জিলিং কমলা চাষে সফল ৪ উদ্যোক্তা
  • বাগানবিলাস: বাগানে যাই বাগানে বড় সুখ
  • আজিমপুর কবরস্থানের ল্যান্ডস্কেপিং: যোগ হয়েছে ফুল-ফলের গাছ, কাচের দেয়াল, আলো...
  • ঘরের ভিতর সমুদ্র গড়ায় দক্ষ তিনি, শখ থেকে এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী

বাসার ভেতরে এক টুকরো বাগান তৈরি করে দেন তারা

বাংলাদেশে পেশাদারভাবে ল্যান্ডস্কেপিং নিয়ে কাজ করে এমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। তবে তারা বিভিন্ন অফিস, হোটেল ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানে সারিবদ্ধ ও জ্যামিতিকভাবে গাছ লাগানোর মতো কাজই বেশি করে থাকে। বাসার ভেতরে বা আঙ্গিনায় প্রকৃতির এক টুকরো তুলে আনার কাজ করে— এমন প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে একটাই আছে। যার নাম ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও।
ফাইয়াজ আহনাফ সামিন
06 April, 2024, 05:35 pm
Last modified: 06 April, 2024, 06:49 pm
ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

শফিক আহমেদ ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। ১২০০ স্কয়ার ফুটের একটি বাসায় চার সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন। বাসায় রয়েছে দুটো বারান্দা। সাথেই লাগোয়া আরেকটি ভবনের কারণে বারান্দাগুলো ঢাকা পড়েছে। আলো-বাতাস কিছুই আসে না। আবার ছাদে যাওয়াও নিষেধ।

গ্রামে বড় হওয়া শফিক সাহেবের মন এই কংক্রিটের শহরে টিকে না। বারান্দায় দুটো গাছ লাগিয়ে একটু সবুজের ছোঁয়া যে পাবেন— সে উপায়ও নেই। রোদের অভাবে গাছ মরে যায়। একদিন কলিগদের থেকে শুনলেন ঘরের ভেতরেই গাছ লাগানো যায়। তারপর খুশি হয়ে নানারকম ইনডোর প্ল্যান্ট কিনে আনলেন নার্সারি থেকে। কিন্তু সেগুলোও কিছুদিন পরে মরে গেল। ঘরের পরিবেশ অনুযায়ী কোন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট লাগাবেন তাই বুঝতে পারছিলেন না তিনি।

এমন ঘটনা আমাদের অনেকের সাথেই হয় আজকাল। শহুরে পরিবেশে সবুজের ছোঁয়া পেতে ঘরের ভেতরে গাছ লাগাই আমরা। কিন্তু সে গাছ যত্নের অভাবে, না হয় যথাযথ পরিবেশের অভাবে বেশিদিন টিকে না। যারা এ শখকে আরো একধাপ এগিয়ে ঘরের ভেতরেই প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে চান— তাদের ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপদান করার কাজ করেন ল্যান্ডস্কেপাররা।

বাসার ভেতরে বা বাইরে নানা জাতের গাছ দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করাই ল্যান্ডস্কেপারদের কাজ। ল্যান্ডস্কেপিং অনেক বিস্তৃত একটি ধারণা। এর মধ্যে টেরারিয়াম, পেলুডারিয়াম, অ্যাকুয়ারিয়ামসহ আরো বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত।

ল্যান্ডস্কেপিং ও কই পন্ড প্রজেক্ট। ছবি: সৌজন্যেপ্রাপ্ত

বাংলাদেশে পেশাদারভাবে ল্যান্ডস্কেপিং নিয়ে কাজ করে এমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। তবে তারা বিভিন্ন অফিস, হোটেল ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানে সারিবদ্ধ ও জ্যামিতিকভাবে গাছ লাগানোর মতো কাজই বেশি করে থাকে। বাসার ভেতরে বা আঙ্গিনায় প্রকৃতির এক টুকরো তুলে আনার কাজ করে— এমন প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে একটাই আছে। যার নাম ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও।

ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও বাসার ভেতরে ও বাইরের পরিবেশ অনুযায়ী ল্যান্ডস্কেপিং, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেরারিয়াম, পেলুডারিয়াম, কৃত্রিম রেইন ফরেস্ট, পুকুর ইত্যাদি তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশে এই ধারণাগুলো নতুনই বলা চলে। ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য সেদিন আলাপ হলো এর কর্ণধার পান্থ সাদিকের সাথে। আজ আপনাদের শোনাবো সে গল্প।

ল্যান্ডস্কেপিং, টেরারিয়াম ও পেলুডারিয়ামের আদ্যোপান্ত

ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও নিয়ে জানার আগে জানতে হবে ল্যান্ডস্কেপিং, টেরারিয়াম আর পেলুডারিয়াম নিয়ে। সহজ ভাষায় ল্যান্ডস্কেপিং হলো ঘরের ভেতরে বা বাইরের আঙ্গিনায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো। ঘরের ভেতরে ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয়। আর বাইরে নানা জাতের গাছ লাগানো যায়। বারান্দায়ও ল্যান্ডস্কেপিং করা যায়। এটি টবে বা নির্দিষ্ট একটি জায়গায় প্রক্রিয়াজাত করা মাটি দিয়ে করলে দীর্ঘস্থায়ী হয়।

ক্ষুদ্র টেরারিয়াম। ছবি: সৌজন্যেপ্রাপ্ত

টেরারিয়াম হলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ বা ইকোসিস্টেম তৈরি করার প্রক্রিয়া। কাঁচের পাত্রে টেরারিয়াম সাজানো হয়। ছোট আকারের গাছপালা, শৈবাল, ফার্ন, নানা বর্ণের পাথর, ছোট আকৃতির ডালপালা, আবার অনেক সময় ছোট ছোট জীবজন্তু ও পোকা-মাকড়ও থাকে টেরারিয়ামে।

পাত্রের ভেতরের অংশ অনেকটা গ্রিন হাউজের মতো কাজ করে। বাইরে থেকে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করলে সহজে তা আর বের হতে পারে না। গাছগুলো থেকে বাষ্প বের হওয়ার ফলে ভেতরে আর্দ্র পরিবেশ বজায় থাকে। ফলে ভেতরের উদ্ভিদগুলো বেঁচে থাকে। এটি বদ্ধ বা উন্মুক্ত— দুরকমই হতে পারে। টেরারিয়ামে বিভিন্ন ট্রপিক্যাল প্ল্যান্ট যেমন মস, অর্কিড, ফার্ন, এয়ার প্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয়।

পেলুডারিয়াম হলো বিশেষ ধরনের টেরারিয়াম যেখানে একটি জলজ অংশ থাকে। অর্থাৎ টেরারিয়ামের ইকো-সিস্টেমে পানির প্রবাহ থাকলে তা হয় পেলুডারিয়াম। এতে কৃত্রিম জলাভূমি, ঝর্ণা, রেইন ফরেস্ট ইত্যাদি থাকতে পারে। কাঁচের পাত্রে পেলুডারিয়াম তৈরি করা হয়। টেরারিয়াম ও পেলুডারিয়াম— দুটোই অত্যন্ত যত্নের সাথে তৈরি করে সংরক্ষণ করা লাগে।

পান্থ সাদিকের ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও

ছোটবেলা থেকেই গাছগাছালির মাঝে বেড়ে ওঠা পান্থ সাদিকের ইচ্ছা ছিল প্রকৃতি নিয়ে কাজ করার। ইচ্ছাকে পেশায় রূপান্তরিত করার স্বপ্ন পূরণ হয় ২০২০ সালে। ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয় ঢাকার নিকেতনের একটি বাসায়। ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিওর আগে তিনি অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরি করতেন 'সামথিং ফিশি' নামক একটি প্রজেক্টে। কিন্তু শুধু অ্যাকুরিয়ামে সীমাবদ্ধ থাকতে চাননি পান্থ সাদিক। ঘরের ভেতরে প্রকৃতির ছোঁয়া আনার জন্য যতগুলো উপায় আছে তার সবগুলো নিয়েই কাজ করা শুরু করেন ২০২০ সাল থেকে।

ইংরেজিতে স্নাতক ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর শেষ করে কিছুদিন গৎবাঁধা চাকরি করেছিলেন পান্থ সাদিক। কিন্তু প্রকৃতি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছার কাছে চাকরি হার মানে। তিনি বলেন, "আমি বড় হয়েছি প্রকৃতির মাঝে। বগুড়ায় আমার বাসার চারপাশে অনেক গাছপালা ছিল, পুকুর ছিল। ছোটবেলা থেকে নতুন নতুন গাছ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতাম, গাছ লাগাতাম, বড় করতাম। পড়ালেখার জন্য ঢাকা আসার পর দেখলাম এখানে বড় গাছের চেয়ে বড় দালান বেশি। মানুষ চার দেওয়ালে আবদ্ধ থাকে। সবুজের দেখা পায় না। নতুন প্রজন্মের বাচ্চারা গাছ চিনে না। এসব দেখে ইচ্ছে হলো প্রকৃতি নিয়ে কাজ করার। মানুষের ঘরে এক টুকরো প্রকৃতি এনে দেওয়ার।"

ল্যান্ডস্কেপিং প্রজেক্ট। ছবি: সৌজন্যেপ্রাপ্ত

শৈশব থেকে শিল্প-সাহিত্যের মাঝে বড় হয়েছেন পান্থ সাদিক। তার বাবা বজলুল করিম বাহার ষাটের দশকের বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক। পান্থ সাদিক ছোটবেলা থেকেই তাদের বগুড়ার বাড়িতে শামসুর রাহমান, আসাদ চৌধুরী ও আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মতো খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিকদের আনাগোনা দেখেছেন। প্রকৃতিকে ঘরে স্থান দেওয়ার জন্য যে নান্দনিক ও রুচিশীল মননের প্রয়োজন তা শৈশবের কল্যাণে পেয়েছেন তিনি।

২০২০ সাল থেকে ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও কাজ শুরু করে। খুব কম সময়ের মধ্যেই অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেন তারা। এর মধ্যে বড় বড় কিছু প্রজেক্টে কাজ করেছে ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও। গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অ্যাকুয়ারিয়াম ও কর্ণফুলী গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের রেইন ফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপিং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

পান্থ সাদিক বলেন, "আমি দেশে ও দেশের বাইরে অনেক ঘুরতে পছন্দ করি। পাহাড়ে, বনে, জঙ্গলে আমি হাইকিং ও ট্রেকিং করি। প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে ঘুরতে কোনো দৃশ্য পছন্দ হলে তা ছবি তুলে রাখি। সেই ছবি অনুযায়ী ল্যান্ডস্কেপ বা রেইন ফরেস্ট তৈরি করে দেই ক্লায়েন্টদেরকে। প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই সবসময় কাজ করি। প্রকৃতির এক টুকরো অংশকে ফুটিয়ে তুলি ঘরের ভেতরে বা আঙ্গিনায়।"

পান্থ সাদিক। ছবি: সৌজন্যেপ্রাপ্ত

মানি প্ল্যান্ট, এরিকা পাম, স্পাইডার প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, ফিলোডেন্ড্রন, পিস লিলিসহ আরো অনেক ইনডোর প্ল্যান্ট ল্যান্ডস্কেপিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়। এ গাছগুলো শুধু ঘরে লাগিয়ে দেওয়াই তাদের কাজ না। ঘরে কোন সময়ে কতটুকু আলো থাকে, ঘর আর্দ্র কিনা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে ল্যান্ডস্কেপিং করা হয়। এছাড়াও এসব গাছের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা বিশেষ ধরনের মাটি ব্যবহার করা হয়।

রেইন ফরেস্ট, টেরারিয়াম, অ্যাকুয়ারিয়াম— এগুলো তৈরি করে দেওয়া হয় আনুবিয়াস, প্ল্যাংকটন, ক্রিপ্টোকরিয়ান, পেপেরোমিয়া, মস, জাভা ফার্ন, নার্ভ প্ল্যান্ট ইত্যাদি দিয়ে। এছাড়াও ব্যবহৃত হয় বগ উড (Bog Wood)। বগ উড হলো একধরণের জীবাশ্ম যা গাছের মূল, ডাল ইত্যাদি দীর্ঘদিন পানিতে ভিজিয়ে বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সাধারণত গাছের ডালপালা পানিতে ভিজে থাকলে তা পচে যায় ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক নিঃসৃত করে।

কিন্তু বগ উড পচে না। এটি পানিতে বা মাটির নিচে থাকতে থাকতে বিশেষ রূপ ধারণ করে। যা দিয়ে ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও টেরারিয়াম, অ্যাকুয়ারিয়াম বা রেইন ফরেস্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে।

অ্যাকুয়ারিয়ামের ভেতরে বগ উড রাখা। ছবি: সৌজন্যেপ্রাপ্ত

ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিওকে দিয়ে ল্যান্ডস্কেপিং বা অ্যাকুয়ারিয়াম করালে খরচ কেমন হতে পারে সে প্রশ্নের জবাবে পান্থ সাদিক বলেন, "খরচের কোনো নির্দিষ্ট হিসেব নেই। এর পুরোটাই নির্ভর করে ক্লায়েন্ট কীভাবে নিজের ঘর বা আঙিনা বা অফিস সাজাতে চায় তার ওপরে। ঘরের আকার এবং কোন ধরনের গাছ চাচ্ছেন সেগুলো দিয়ে খরচের হিসেব করা হয়। আমরা ৪০ টাকা দামের গাছ দিয়ে ঘর সাজিয়েছি, আবার ৪ হাজার টাকা দামের গাছ দিয়েও ঘর সাজিয়েছি। ধারণার জন্য বলা যায়, একটি ৮ ফুট বাই ১০ ফুট দেয়ালে ভালো মানের গাছ দিয়ে ল্যান্ডস্কেপিং করতে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো। আর অ্যাকুয়ারিয়ামে খরচের মাত্রা ওঠানামা করে ব্যবহৃত পণ্যের মানের ওপর। পানির পাম্প, লাইট, মাটি, প্ল্যান্ট— এগুলো চাইনিজ নিলে কম দামে দেওয়া যায়। কিন্তু আমরা ইউরোপের পণ্য বেশি ব্যবহার করি। এগুলো টেকসই হয়।"

প্রতিকূলতা যেন নিত্যসঙ্গী

"আমাদের ব্যবসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্লায়েন্টদের অভিযোগ সামাল দেওয়া। ধরুন, এক জায়গায় ল্যান্ডস্কেপিং করে আসলাম; এখন কিছুদিন সময় তো দেওয়া লাগবে গাছগুলোকে বড় হয়ে নান্দনিক ও সুন্দর আকারে আসার জন্য। সেই সময়টুকু আর দিতে চায় না ক্লায়েন্টরা। ফোন দিয়ে বলে গাছ তো ছোট, কী কাজ করলাম! আমরা রেডিমেড গাছ নিয়ে বসিয়ে দিয়ে আসি না সবসময়। প্রকৃতিতে যেভাবে গাছ বেড়ে ওঠে— সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও ল্যান্ডস্কেপিং বা রেইন ফরেস্ট তৈরি করলে এর আফটার সার্ভিস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিছুদিন পরপর পেশাদারিত্বের সাথে এর পরিচর্যা করা লাগে। এটা আর করাতে চায় না অনেক ক্লায়েন্ট। যার ফলে প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিচর্যা কীভাবে করা লাগে তার সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণও আমরা ক্লায়েন্টকে দেওয়ার চেষ্টা করি। তাও অনেকে নিতে চায় না," বলছিলেন পান্থ সাদিক।

কর্ণফুলী গ্রুপের কার্যালয়ে রেইন ফরেস্ট এবং ল্যান্ডস্কেপিং প্রজেক্ট। ছবি: সৌজন্যেপ্রাপ্ত

ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও তাদের অনেক পণ্য বাইরে থেকে আমদানি করে। বগ উড, অ্যাকুয়ারিয়ামের মাটি, বিভিন্ন ধরনের গাছ এর মধ্যে অন্যতম। বাইরের দেশে এই পণ্যগুলো সহজে আমদানি করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে আমদানি প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কাস্টমসে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় পণ্য খালাস করতে। এছাড়াও চড়া শুল্ক তো আছেই। যার ফলে দেশে ল্যান্ডস্কেপিং, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেরারিয়াম করা বেশ ব্যয়বহুল।

দেশে অনেকেই ইনডোর প্ল্যান্ট কালচার করা শুরু করেছে আজকাল। বিভিন্ন নার্সারি থেকেও ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও তাদের গাছ কিনে থাকে। তবে বাইরের দেশের জিনিস বেশি মানসম্পন্ন হয়।

ভবিষ্যৎ ভাবনা

বাংলাদেশে ল্যান্ডস্কেপিং এর ভবিষ্যৎ কী এমন প্রশ্নের জবাবে স্মিত হেসে পান্থ সাদিক বলেন, "দেখেন আমরা তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল একটি দেশ। আমাদের দেশে সৌন্দর্য, নান্দনিক ও রুচিশীল বিষয়গুলো কারো প্রথম চয়েজ না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলোই ঠিকমতো পূরণ হয় না। এখানে ঘরে ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ল্যান্ডস্কেপিং করা, রেইন ফরেস্ট তৈরি করার সামর্থ্য একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষেরই আছে। জনমানুষের কাছে আমরা এখনো পৌঁছাতে পারি নাই। তবে আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন ঘরে ঘরে ল্যান্ডস্কেপ, রেইন ফরেস্ট, টেরারিয়াম বা অ্যাকুয়ারিয়াম থাকবে। যান্ত্রিক কোলাহলের শহরে এক টুকরো প্রকৃতির ছোঁয়া থাকবে সব বাসায়।"

ল্যান্ডস্কেপিং এর কাজে পান্থ সাদিক। ছবি: সৌজন্যেপ্রাপ্ত

অ্যাকুয়ারিয়াম, টেরারিয়াম, পেলুডারিয়াম ইত্যাদি যেন সবাই তৈরি করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন ওয়ার্কশপের আয়োজন করেন পান্থ সাদিক। এগুলো তৈরি করা একটি দারুণ শখ। আরো বেশি মানুষকে এই শখে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করেন তারা। কিছুদিন আগেও 'ঢাকা মেকার্স ২.০' এর মেলায় স্টল দিয়েছিল ন্যাচার ডিজাইন স্টুডিও।

Related Topics

টপ নিউজ

বাগান / অ্যাকুয়ারিয়াম / ল্যান্ডস্কেপিং

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা
  • ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা
  • বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প
  • ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার
  • আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার
  • ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

Related News

  • লম্বা সময় বাড়ির বাইরে? আপনার হয়ে গাছে পানি দেবে এই বাংলাদেশি ‘ওয়াটারিং ডিভাইস’
  • ৩০ টাকায় বাগানভ্রমণ, নিজে হাতে গাছ থেকে ছিঁড়ে কেনার সুযোগ: দার্জিলিং কমলা চাষে সফল ৪ উদ্যোক্তা
  • বাগানবিলাস: বাগানে যাই বাগানে বড় সুখ
  • আজিমপুর কবরস্থানের ল্যান্ডস্কেপিং: যোগ হয়েছে ফুল-ফলের গাছ, কাচের দেয়াল, আলো...
  • ঘরের ভিতর সমুদ্র গড়ায় দক্ষ তিনি, শখ থেকে এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা

2
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা

3
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প

4
বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

5
বাংলাদেশ

আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার

6
আন্তর্জাতিক

ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net