Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 22, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 22, 2025
মাথাব্যথা বা ক্যান্সার: ইউরোপে একসময় সর্বরোগের দাওয়াই ছিল মিশরের মমি, খাওয়া হতো পথ্য হিসেবে

ফিচার

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
23 July, 2023, 07:00 pm
Last modified: 23 July, 2023, 07:09 pm

Related News

  • রাশিয়ান গ্যাস থেকে মুক্তি চায় ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা হয়তো ভিন্ন
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরবর্তী আলোচনার আগে ইউরোপীয়দের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব ইরানের
  • স্পেন ও পর্তুগালে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বিপর্যস্ত জনজীবন
  • ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসন যে কারণে ৫২ শতাংশ কমেছে
  • ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য সফরে যেসব বিষয়ে আলোচনার কথা জানালেন জামায়াত আমীর

মাথাব্যথা বা ক্যান্সার: ইউরোপে একসময় সর্বরোগের দাওয়াই ছিল মিশরের মমি, খাওয়া হতো পথ্য হিসেবে

১৫ শতকে ইউরোপের মানুষ বিশ্বাস করতেন মমি খেলে মাথাব্যথা, হৃদরোগ এবং এমনকি ক্যান্সারও সেরে যায়। তাদের এ ভুল ধারণার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল মিশরের ‘মমি’ আর পারস্যের ‘মমিয়া’ শব্দদুটির অর্থ গুলিয়ে ফেলা। ইউরোপে তখন মমির চাহিদা এত বেশি ছিল যে, মিশরে কবরস্থানগুলোতে নিয়মতি চোর হানা দিয়ে মমি আর মৃতদেহ চুরি করতে শুরু করল।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
23 July, 2023, 07:00 pm
Last modified: 23 July, 2023, 07:09 pm
মৃতদেহকে মমি হিসেবে সংরক্ষণ করার কাজ করছে মিশরীয়রা। ছবি: বেটম্যান/কর্বিস ভিয়া স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন

একটু মাথাব্যথা হয়েছে? খানিকটা মমি খাইয়ে দাও। পেটে ব্যথা? মমি খেলেই ঠিক হয়ে যাবে। ক্যান্সার! ওই তো, মমিই আসল দাওয়াই।

১৫ শতকে ইউরোপে মমির কদর এমনই ছিল! প্রাচীন মিশরের সংরক্ষতি এ মৃতদেহগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছিল চিকিৎসাজনিত প্রয়োজনীয়তা। কিন্তু কী কারণে মমি খেতেও দ্বিধা করেনি মানুষ? কেন তখনকার ইউরোপীয়রা মনে করেছিল মমি খেলে শরীরের অনেক অসুখ ভালো হয়ে যাবে?

ইউরোপে প্রথমে মমির বিভিন্ন অংশকে চূর্ণ করে খাওয়া হতো। এসবের শুরু হয়েছিল সেই ১১ শতকে। ইতিহাসবিদ কার্ল ড্যানেনফেল্ট লিখেছেন, অনুবাদের সময় মমি শব্দটির অর্থ বদলে যাওয়া এবং আরও কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণেই ইউরোপের বাসিন্দারা মিশরের মমিকে খাওয়ার বস্তু হিসেবে ধরে নিয়েছিল।

যেভাবে মমি হলো 'পথ্য'

পারস্যের একটি পাহাড়ের গায়ে পাওয়া যেত মমিয়া নামক এক উপাদান। কালো তরল পাথর থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়ত এ মমিয়া। মানবদেহের বিভিন্ন ব্যাধি সারানোর জন্য এটি প্রসিদ্ধ ছিল। স্থানীয় ভাষায় 'মম' (মোম) থেকে এই মমিয়ার নামকরণ করা হয়েছিল। এটি তৎকালীন আরবের বিভিন্ন দেমে দামি, বহুমূল্য ও কার্যকরী উপদান হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিল।

ইউরোপীয় বনেদিদের মমি উন্মোচন পার্টি। চিত্রকর্ম: পল ডমিনিক ফিলপোটেক — ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

এরপর পশ্চিমা ইউরোপীয়রা আরবের সংস্পর্শে এলো। তারা ইসলামিক বিভিন্ন রচনা তাদের ভাষায় অনুবাদ করতে শুরু করল। আর মমিয়া শব্দটি অনুবাদ করতে গিয়েই বাধল বিপত্তি। ড্যানেনফেল্টের মতে, ১১ ও ১২ শতকে অনেক অনুবাদক মমিয়া বলতে বুঝেছিলেন মিশরীয় বিভিন্ন কবরের সংরক্ষিত মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করা নির্যাস হিসেবে।

'মমিয়া' আর 'মমি' শব্দদুটো শুনতে প্রায়ই একই। অনুবাদে ভুল করার এটা একটা বড় কারণ ছিল। আবার প্রাচীন মিশরে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা তথা মমি বানানোর ক্ষেত্রে গলিত পাথরও ব্যবহার করা হতো। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা জেনেছেন যে, কেবল অল্প কিছু মমিই এভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমা ইউরোপীয়রা মমি আর মমিয়াকে একই ভেবেই মমি খাওয়া শুরু করেছিল।

মেডিক্যাল ক্যানিবালিজাম

মমিকে পথ্য হিসেবে ব্যবহারের আরেকটি কারণ হচ্ছে চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা একটি ভুল ধারণা। একসময় মানুষ মনে করত, মানবশরীরের এমন সব উপাদান রয়েছে যা দিয়ে অন্য মানবদেহের রোগবালাই সারাই সম্ভব। বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে মেডিক্যাল ক্যানিবালিজাম হিসেবে পরিচিত এ পদ্ধতির চর্চা করেছিল মানুষ।

১৮৭৭ সালের দিকে রাস্তার ধারে মমি নিয়ে বসে আছেন একজন বিক্রেতা। কিছুটা ক্লান্ত। ছবি: জ্যঁ-গিলে বেরিজি/আরএমএন-গ্র্যান্ড প্যালাইস ভিয়া ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

গ্ল্যাডিয়েটরদের রক্ত মৃগীরোগ সারাতে পারে বা মানবদেহের চর্বি ঘরোয়া পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় — এমন সব বিশ্বাস প্রচলিত ছিল মধ্যযুগের পশ্চিম ইউরোপে। ফলে মমিয়া বা মমির কথা যখন তখনকার চিকিৎসকেরা জানতে পারলেন, তারা মনে করলেন মানবশরীর ব্যবহার করে রোগ সারানোর নতুন একটি উৎস পেয়ে গেছেন তারা।

মাথাব্যথা থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক — সবকিছুতেই মমিয়া তথা মমি খাওয়ার হিড়িক পড়ে গেল। বলা বাহুল্য, তুমুল চাহিদা তৈরি হলো মিশরের মমির। মানুষজন মিশরের বিভিন্ন কবরে হানা দিয়ে সোনাদানা বা বাসনকোসন চুরির পাশাপাশি মৃতদেহও চুরি করতে শুরু করল। সেসব মৃতদেহ চিকিৎসার জন্য দেদার বিক্রি হতে লাগল।

মমির জোগানের চেয়ে চাহিদা কম — ফলে দেখা গেল 'বাজার' ছেয়ে গেছে নকল মমিতে। লাশচোর ও অসাধু ব্যবসায়ীরা অন্য যেকোনো লাশ, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপরাধীদের লাশ সংগ্রহ করে সেগুলোকে মমি বানাতে শুরু করল। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি দাস এবং সাধারণ মানুষও।

তৎকালীন এক পর্যবেক্ষক লিখেছেন, 'রাতের বেলায় ফাঁসিকাঠে ঝুলে থাকা লাশ চুরি করত মুর্দাচোরেরা'। তিনি আরও জানান, সংরক্ষণের জন্য লবণ ও বিভিন্ন মাদক ব্যবহার করত তারা। এরপর চুলায় সেই মৃতদেহ শুকিয়ে নিলেই মমি হিসেবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে যেত।

১৮ শতকের একটি চিকিৎসাপাত্রের গায়ে লেখা 'মমিয়া' শব্দটি। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

১৫ শতকের শুরুতে মিশর থেকে মমি চুরি করে ইউরোপে বিক্রি করা একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছিল। এছাড়া ১৬ শতকের দিকে ইউরোপীয় শিল্পীরা মমি থেকে তৈরি 'মমি ব্রাউন' নামক একধরনের রঞ্জক পদার্থ তাদের ছবি আঁকার কাজে ব্যবহার শুরু করেন। সবমিলিয়ে তখন মমির ব্যবসা দারুণ জমজমাট হয়ে উঠেছিল মিশরে। মিশরের রাস্তায় মমি নিয়ে বিক্রির জন্য বসে থাকতেন অনেকেই।

ভিক্টোরিয়ান যুগে মিশর-ম্যানিয়া

অবশ্য পরের শতকগুলোতে মমির রোগ সারাইয়ের সক্ষমতা নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। তা সত্ত্বেও মমির প্রতি মানুষের আগ্রহ কেবল বেড়েছিল।

ভিক্টোরিয়ান যুগে ইংল্যান্ডে মিশর বিষয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। মমি উন্মোচনের বিষয়টি সে সময় ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় চিত্তবিনোদন হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন লেকচার হল, হাসপাতাল, এমনিক ১৯ শতকের ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেক বনেদি ব্রিটিশ নিজ বাড়িতে মমি উন্মোচনের আয়োজন করতেন।

মমির শরীর থেকে ব্যান্ডেজ খোলা আর সে দৃশ্য উপভোগ করা তাদের অবসর সময় কাটানোর অন্যতম আকর্ষণীয় উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এসব মমির বেশিরভাগই তারা মিশরের বিভিন্ন কবর থেকে চুরি করে কিংবা পথচলতি বাজার থেকে কিনে আনতেন।

Related Topics

টপ নিউজ

মমি / মিশরের মমি / মমি ব্রাউন / মমি পথ্য / মধ্যযুগ / ইউরোপ / মিশর

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • নতুন ‘সাইকস-পিকো বন্দোবস্তের’ বিরুদ্ধে এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি
  • ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
  • ইরানের মোসাদ-আতঙ্ক বাড়ছে, সন্দেহ এখন ‘মাস্ক, টুপি ও সানগ্লাসে’
  • সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম জানিয়েছেন খামেনি: নিউইয়র্ক টাইমস
  • ভারত জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তিতে আর কখনোই ফিরবে না
  • ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে ‘চিরকাল’ ক্ষমতায় থাকতে চান নেতানিয়াহু: বিল ক্লিনটন

Related News

  • রাশিয়ান গ্যাস থেকে মুক্তি চায় ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা হয়তো ভিন্ন
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরবর্তী আলোচনার আগে ইউরোপীয়দের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব ইরানের
  • স্পেন ও পর্তুগালে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বিপর্যস্ত জনজীবন
  • ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসন যে কারণে ৫২ শতাংশ কমেছে
  • ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য সফরে যেসব বিষয়ে আলোচনার কথা জানালেন জামায়াত আমীর

Most Read

1
বাংলাদেশ

নতুন ‘সাইকস-পিকো বন্দোবস্তের’ বিরুদ্ধে এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

2
বাংলাদেশ

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

3
আন্তর্জাতিক

ইরানের মোসাদ-আতঙ্ক বাড়ছে, সন্দেহ এখন ‘মাস্ক, টুপি ও সানগ্লাসে’

4
আন্তর্জাতিক

সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম জানিয়েছেন খামেনি: নিউইয়র্ক টাইমস

5
আন্তর্জাতিক

ভারত জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তিতে আর কখনোই ফিরবে না

6
আন্তর্জাতিক

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে ‘চিরকাল’ ক্ষমতায় থাকতে চান নেতানিয়াহু: বিল ক্লিনটন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net