বন্যপ্রাণী নিধন করে যেভাবে নিজেদের বিপদ ডেকে আনল ১৩ গ্রামের মানুষ

নরসিংদী জেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কাঠবিড়ালির উপদ্রবে। উপরের বাক্যটি লেখার সময় আমার কলম কাঁপছিল। কারণ ২০ বছরের অধিক সময় ধরে আমি লিখে আসছি 'দ্রুত কমে আসছে বন্যপ্রাণীদের সংখ্যা, এদের রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক'। কিন্তু আজ লিখতে হচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো এক বিষয় নিয়ে। যেখানে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া ছোট আকারের এক স্তন্যপায়ী প্রাণী মানববসতির জন্য এক বিশেষ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে কেমন যেন একটা দ্বিধা কাজ করছিল, তবে কি আজ আমি ওদের বিরুদ্ধে লিখতে চলেছি?
ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চরসিন্দুর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৪০ হাজার। আর মোট বসতবাড়ি রয়েছে পাঁচ হাজারের কিছু ওপরে। বনজ বৃক্ষের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বাড়িতে রয়েছে নানা জাতের ফলের গাছ। একসময় গ্রামের লোকজন এসব গাছের ফল নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করত। এটা তাদের বেশ উপকারী একটা আয়ের সংস্থান ছিল। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। প্রতিটি বাড়ির মানুষের মুখে শুধুই কাঠবিড়ালির অত্যাচারের কথা।
সুলতানপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ভিকচান খানের বাড়ির কথাই ধরা যাক। আম, কাঁঠাল, বরই (কুল), সফেদা, লিচু, পেঁপে, কলা, নারিকেল, জামরুলসহ নানা জাতের ফলের গাছ রয়েছে বাড়িটিতে। রয়েছে বেশ কিছু সুপারি গাছ। এ বিষয়ে ভিকচান খানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আসলে কোনো ফলই কাঠবিড়ালির হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। আগে তিনি শুধু সুপারি বিক্রি করে বছরে ২০ হাজার টাকা আয় করতেন। অন্যান্য ফল হিসেবে ধরলে প্রতিবছর কাঠবিড়ালি দ্বারা তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
একই গ্রামের ভিটি পাড়ার বাসিন্দা প্রবীণ কৃষক মোখলেস মিয়ার বাড়িটি বৃক্ষশোভিত। তিনি দুঃখ করে বলেন 'অন্য ফলের তো বারোটা বাজাইয়া ছাড়েই, কডি (কাঠবিড়ালি) এখন হাত বাড়াইছে তাল আর বেলের দিকে।' মোখলেস মিয়ার মনের এক বিশেষ দুঃখ হচ্ছে, অনেকগুলো নারিকেল গাছ থাকা সত্ত্বেও তাকে নারিকেল খেতে হয় বাজার থেকে কিনে। তার বাৎসরিক ক্ষতির হিসাব করলে তা ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়।
চরসুন্দর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বজলুল করিম পাঠান জানান, কাঠবিড়ালির অত্যাচারে তার বাগানবাড়ির মুলি আর বাজাল বাঁশের ঝাড় বিলীন হয়ে গেছে। এসব বাঁশের কচি ডগা কাঠবিড়ালিদের প্রিয় খাদ্য।

কাঠবিড়ালির উৎপাতের খবর সংগ্রহ করতে এক দুপুরে গিয়ে হাজির হই মালিতা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী জালাল ভূঁইয়ার বাড়িতে। উঠানে দেখা গেল একটি বরই গাছকে কাঠবিড়ালির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখা হয়েছে মশারি দিয়ে। বাড়িটিতে আম, জাম, কাঁঠালের পাশাপাশি আতা ফল, শরিফা, ডেউয়া, জলপাই, নারিকেল, বাতাবি লেবুসহ নানা জাতের ফলের গাছ রয়েছে। এখনেও সেই একই গল্প। জালাল ভূঁইয়া দুঃখের সুরে বললেন, 'কডি সব শেষ কইরা দিতাছে।' অবসরকালীন সময়ে ফল বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয় হতো তার। কিন্তু এখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঠবিড়ালি। জালাল ভূঁইয়ার ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করলে তা ১৫ হাজার টাকার ওপরে গিয়ে দাঁড়ায়।
গোকুলনগর গ্রামের সিদ্দিক ভূঁইয়ার বাড়িতে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে জানা যায় আরেক নতুন তথ্য। এখানে গাছের ফল আর সবজির বাগানের ক্ষতি করার পাশাপাশি কাঠবিড়ালিরা হানা দিচ্ছে বসতঘরের ভেতরের মজুদকৃত খাদ্যশস্য ও অন্যান্য খাবারে।
সুপারি একটি অর্থকরী ফসল,কাউয়াদি গ্রামের বারুইপাড়া বহুকাল ধরে সুপারি চাষের জন্য পরিচিত। এখানে বেশ কিছু সুপারি বাগান যেমন রয়েছে, তেমনি প্রত্যেক বাড়িতে ২০ থেকে ৫০টি করে সুপারি গাছ বিদ্যমান। কাঠবিড়ালির বিষয়ে সন্ধান করতে বারুইপাড়ায় গেলে দেখা হয় গৌতম দাসের সঙ্গে। গৌতম জানান, তার বাড়িতে ৫০ টিরও অধিক সুপারি গাছ রয়েছে, যা থেকে তিনি নির্দ্বিধায় বছরে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারতেন। কিন্তু এখন সেই তুলনায় আয় খুবই কম। সুপারি গাছে ফুল আসার পর থেকেই শুরু হয় কাঠবিড়ালির অত্যাচার। তিনি আরও জানান, অনেকেই কাঠবিড়ালির ভয়ে নতুন করে সুপারি বাগান করার সাহস পাচ্ছে না।
আপেল কুল বা আপেল বরইয়ের বিশেষ চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। চরসিন্দুর ও আলিনগর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু আপেল কুলের বাগান রয়েছে। সেখানে গেলে কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। কুল চাষি শাহাদাত হোসেন জানান, বরই একটু বড় হয়ে উঠলেই কাঠবিড়ালির উপদ্রব শুরু হয়। আর তা চলে একদম বরই পাকা শেষ হওয়া পর্যন্ত। বাগান রক্ষায় তাই তাদের সদা তৎপর থাকতে হয়।
চরসিন্দুর অঞ্চল সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত কলার জন্য। খুবই ভালো জাতের সুমিষ্ট কলা উৎপাদিত হয় এখানে। চরসিন্দুর, চর আলিনগর, চর মধ্যনগর, চর মাধবদী, সুলতানপুর, চলনা—এই গ্রামগুলোর বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে শত শত কলাবাগান। এখানেও শান্তি নেই। চলনা গ্রামের কলা চাষি ফাহিম সিকদার জানান, কলা একটু বড় হলেই শুরু হয় কাঠবিড়ালির উপদ্রব। সুলতানপুর গ্রামের কলা চাষি বাদশা মিয়া বলেন, কাঁচা কিংবা পাকা কোনো কলাতেই কাঠবিড়ালির অরুচি নেই। অথচ মাত্র দু-একটি কলা নষ্ট হলেই পুরো ছড়াটার বাজারমূল্য অনেকটা কমে যায়।

কাঠবিড়ালির সংখ্যা বাড়ায় আরও একটি বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কোনো কোনো জায়গায়। ইঁদুরের মতো এদের দাঁত ক্রমাগত বর্ধনশীল। আর এই দাঁতের বৃদ্ধি রোধে এরা একের পর এক জিনিস কেটে যায়। ইদানীং বসতঘরে ঢুকে চাল এবং বেড়ার কাঠ ও কাঠের পাল্লা কেটে অনেকেরই ঘরবাড়ির ক্ষতিসাধন করছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফাহিম শিকদার ও সিদ্দিক ভূঁইয়া।
কীভাবে নেমে এল এই বিপর্যয়?
এবার এই সমস্যা সৃষ্টিকারী প্রাণীটার পরিচয় সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। বৃহৎ কাঠবিড়ালি, তিন ডোরা, পাঁচ ডোরা কিংবা উড়ন্ত কাঠবিড়ালি নয়—এখানে জনজীবনে যে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার নাম ইরাবতী কাঠবিড়ালি (Irrawaddy Squirrel) যার বৈজ্ঞানিক নাম Callosciurus Pygerythrus. মায়ানমারের ভেতর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে চলা ইরাবতী নদীর পশ্চিম তীরে এ কাঠবিড়ালির আদি বাসস্থান। তাই সেই নদীর নামেই তাদের এই নামকরণ। তবে দেশে এরা বাদামি কাঠবিড়ালি নামেই সর্বাধিক পরিচিত। প্রায় ৬ ইঞ্চি দেহ ও সমপরিমাণ লেজবিশিষ্ট প্রাণীটি স্বভাবে খুবই চঞ্চল। কটকট শব্দে ডাকাডাকি করে সকাল-দুপুর মাতিয়ে রাখে। তাই গ্রামের মানুষের কাছে ওরা, 'কটি' বা 'কডি' নামে সমধিক পরিচিত। শরীরের ওপরের দিকটা লালচে বাদামি হলেও পেটের দিকটা সাদাটে ধরনের। তাই ওদের ইংরেজি আরেকটি নাম হচ্ছে, Hoary-belied squirrel. এরা দেখতে খুবই আদুরে চেহারার, আবার তেমনি ভীষণ পেটুক।
বাদামি কাঠবিড়ালি সাধারণত জোড়ায় থাকতে পছন্দ করে। তারা উঁচু গাছের মগডালে শুকনো পাতা আর খড়কুটো দিয়ে বড় আকারের অবিন্যস্ত বাসা তৈরি করে। মার্চ থেকে জুলাই—এই সময়ের মধ্যে মা কাঠবিড়ালি দুই থেকে চারটি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। বাসা বানানো থেকে শুরু করে বাচ্চাদের পরিচর্যা বাবা-মা দুজনে মিলেই করে। বিভিন্ন ফলমূল, সবজি এবং বীজের পাশাপাশি গাছের বাকল ও ফুলের রসও এদের বিশেষ প্রিয় খাদ্য।

এখন কথা হচ্ছে, হঠাৎ করে কেন চরসিন্দুর অঞ্চলে ইরাবতী কাঠবিড়ালি সংখ্যা বেড়ে গেল? কেনই বা এরা জনজীবনে সমস্যার কারণ হয়ে দেখা দিল? এ বিষয়ে কথা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মনিরুল হাসান খানের সঙ্গে। তার মতে, চরসিন্দুর অঞ্চলে অস্বাভাবিক মাত্রায় কাঠবিড়ালির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া আসলে পরিবেশের খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট হয়ে পড়ার এক অশুভ লক্ষণ।
তিনি বলেন, 'পরিবেশের স্বাভাবিক খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃতি থেকে কিছু শিকারি প্রাণী যারা কাঠবিড়ালির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করত, তারা হারিয়ে যাওয়ার ফলেই এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।'
সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে আসলে তার কথারই প্রতিফলন পাওয়া গেছে। সোজা কথায় বলতে গেলে, গ্রামের মানুষ নিজেরাই নিজেদের বিপদ দিকে এনেছে। প্রাকৃতিক জলাশয়গুলোর আশপাশের বিশাল গাছগুলো ছিল ঈগল, বাজপাখি, পেঁচা আর চিলদের নিরাপদ আবাসস্থল। এদের প্রত্যেকেরই খাদ্য তালিকায় কাঠবিড়ালি রয়েছে। মানুষ তার প্রয়োজনে বিশাল সব বৃক্ষ কেটে সাফ করেছে। প্রাকৃতিক জলাশয় পরিষ্কার করে বিষ দিয়ে দেশি মাছ নষ্ট করে হাইব্রিড মাছের চাষ করেছে। খাদ্য আর বাসস্থান হারিয়ে শিকারি পাখিরা ধুঁকে ধুঁকে মরেছে।
বনবিড়াল, বাগডাশ, বেজিসহ কিছু শিকারি প্রাণী কাঠবিড়ালির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করত। মাঝেমধ্যে দু-একটা পোষা হাঁস, মুরগি খাওয়ার অপরাধে গ্রামের লোকজন একের পর এক ওদের পিটিয়ে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বনবিড়ালদের মেরে শেষ করেছে গ্রামবাসীরা। গন্ধগোকুলদের দেখামাত্র হত্যা করেছে, দাঁড়াশ সাপেদের পিটিয়ে হত্যা করেছে নির্বিচারে।
দাঁড়াশ আর দুধরাজ সাপের প্রিয় খাদ্য ছিল কাঠবিড়ালির বাচ্চা। আর গ্রামের লোকজন কী করেছে—সাপ দেখতে দেরি, মারতে দেরি নেই।
খামারে মাছ খাওয়ার অপরাধে এয়ারগানের গুলিতে মরেছে হুতুম পেঁচা আর সর্প ঈগল। এ ধরনের শিকারি পাখি ও প্রাণীরাই মূলত প্রকৃতিতে কাঠবিড়ালির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করত।
মূলত এসব কারণেই এ অঞ্চলে কাঠবিড়ালির সংখ্যা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে।
এছাড়া আগে গ্রামীণ বনসমূহে নানা জাতের বুনোফলের গাছ ছিল। মানুষ সেসব কেটে সাফ করে বিদেশি কাঠ-জাতীয় গাছের চাষ করেছে। এটাও কাঠবিড়ালিদের মানববসতি এবং ফল বাগানের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ।

কয়েকদিন যাবত গোটা অঞ্চল প্রদক্ষিণ করে আরও একটি বিষয় নজরে এলো। আসলে এখানে যা চলছে তাকে বলা যায় ধ্বংসের বিপরীতে হত্যার খেলা। ইঁদুর মারার ফাঁদ পেতে ধরা হয় কাঠবিড়ালিদের, মারা হয় খেলার আনন্দে। আমি এমনও কৃষকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, যিনি ফসল রক্ষায় বছরে শতাধিক কাঠবিড়ালি হত্যা করেছেন। আসলে এখানে প্রত্যেক কৃষক এবং বাগান মালিক ফাঁদ পেতে কমবেশি কাঠবিড়ালি হত্যা করে চলেছেন। আসলে বন্যপ্রাণীরা কোনোদিনই মানুষের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। এখানেও হয়তো পেরে উঠবে না। আর তাতে যা ঘটবে, তা হলো, কাঠবিড়ালিও একদিন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাবে। তখন আরও বড় কোনো বিপর্যয় নেমে আসবে মানুষের জীবনে।
প্রতিকার কি নেই?
তবে ড. মনিরুল হাসান খান জানালেন, এই কাঠবিড়ালিদের হত্যা না করেও প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। যেমন এক্ষেত্রে চলমান বৃক্ষের আশপাশের ডালপালা কেটে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখলে বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এছাড়া সরলবর্গীয়, যেমন বৃক্ষ নারিকেল ও সুপারি গাছের কাণ্ডের ওপরদিকে ঢেউটিন কিংবা প্লেইন শিট দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা যায়। এর ফলে ধাতব মসৃণ বস্তু পেরিয়ে কাঠবিড়ালির নখ ওপরের দিকে উঠতে পারবে না। কলাবাগানের কলার ছড়াগুলো একটু পুষ্ট হয়ে উঠলে প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে তা মুড়ে রাখা যায়। এভাবে আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবহার করে হত্যার পরিবর্তে এদেরকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এসব পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে গাছের ফল এবং কাঠবিড়ালির জীবন দুটোই রক্ষা পেতে পারে।
পরিবেশের স্বাভাবিক খাদ্যশৃঙ্খল ফিরিয়ে আনতে হলে যেসব বন্যপ্রাণী এখনও বেঁচে আছে, তাদের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে আগে। কারণ যেকোনো বন্যপ্রাণীর মৃত্যু অথবা বিলুপ্তি অদূর ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে।