রোমাঞ্চ নিয়ে বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় সিডন্স

ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন সাবেক প্রধান কোচ জেমি সিডন্স; এমন খবর আগেই দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তার কাজের পরিধি ও চুক্তির মেয়াদ নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ নিজেই এসব জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ভিসা হাতে পেয়ে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছেন সিডন্স।
নিজের কাজের ধরন কেমন হবে, কবে আসবেন; এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সিডন্স। পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন, চুক্তির মেয়াদের ব্যাপারে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ। বাংলাদেশে থাকাকালীন সিডন্সের পরিকল্পনায় আছে গলফও।
শুরুতে জানা যায়, জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হয়ে আসছেন সিডন্স। কিন্তু পরে অন্য ধারণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যদিও পরিস্কার করে কিছু জানাননি তিনি, জানিয়েছিলেন আলোচনা চলছে। বিসিবি সূত্র জানিয়েছিল, জাতীয় দলের পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স ইউনিট ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করবেন তিনি।
সিডন্সও তেমনই জানিয়েছেন। ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে সিডন্স বলেন, 'মাত্রই বাংলাদেশে যাওয়ার ভিসা পেয়েছি, কোচিংয়ে আমার পরের কাজের জন্য সেখানেই যাচ্ছি। দুই বছরের চুক্তি সেখানে। সম্ভবত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে, সে সময়ে আবার আসব।'
কাজের পরিধি নিয়ে সিডন্স বলেছেন, 'ওখানে তরুণ প্রতিভাদের নিয়ে কাজ করব বলে আশা করছি। সেখানকার জাতীয় দল এবং ওদের জুনিয়র ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করব। এই কাজটা আমার খুব পছন্দের, তরুণ ক্রিকেটারদের খেলায় উন্নতি আনতে সাহায্য করা।'
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করতে পারবেন বলে বিশ্বাস সিডন্সের। তিনি বলেন, 'যেমনটা বললাম, আজক ভিসা পেয়ে গেছি। এই মাসের শেষ দিকের টিকিট করব। আশা করছি ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকেই কাজ শুরু করতে পারব। বাংলাদেশে আগেও কাজ করেছি। তখন দারুণ সময় কেটেছে। এবারও ভালো হবে আশা করছি।'
জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্বে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্স, অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার চুক্তি। সিডন্স কাজ করবেন আরও বড় পরিসরে। যদিও এখনু নিজের দায়িত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত নন ৫৭ বছর বয়সী এই কোচ।
সিডন্স বলেন, 'আমি জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করব, পাশাপাশি তরুণদের নিয়ে কাজ করব। আমি শতভাগ নিশ্চিত নই যে আমার বেশিরভাগ সময় কাদের সঙ্গে কাটবে। তবে এটা নিশ্চিত, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করব।'
বাংলাদেশ দলে দীর্ঘ সময় ধরে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে সিডন্সের। ২০০৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। ডেভ হোয়াটমোর দায়িত্ব ছাড়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কয়েক মাস প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ শন উইলিয়ামস। পরে তাকে সরিয়ে কোচ করা হয় সিডন্সকে। ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রধান কোচের পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।