নাক ভেঙেছে এমবাপ্পের, পরতে হবে মাস্ক

ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে লেস ব্লুজরা। ৩৮ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন অস্ট্রিয়ার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবার। সেই গোলই ধরে রেখে তিন পয়েন্ট তুলে নেয় দিদিয়ের দেশমের দল।
ইউরোতে গোল খরা এই ম্যাচেও কাটেনি কিলিয়ান এমবাপ্পের। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরো খেলছেন তিনি। সর্বশেষ ইউরোতে চারটি এবং এই ইউরোতে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তার পঞ্চম। এই পাঁচ ম্যাচের একটিতেও গোল করতে পারেননি এমবাপ্পে।
গোল না করতে পারলেও আত্মঘাতী গোলটি এসেছে এমবাপ্পের ক্রস থেকেই। সে হিসেবে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক তাকেই বলা চলে। ম্যাচের শেষ দিকে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন দানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান এমবাপ্পে। তার নাক থেকে রক্ত ঝরতেও দেখা যায়। ফরাসি তারকাকে বদলি করে অলিভিয়ের জিরুকে নামান দিদিয়ের দেশম। পরে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে, নাক ভেঙেছে এমবাপ্পের। পরের ম্যাচগুলোতে খেলতে হবে মাস্ক পরে।
দলের অধিনায়কের অবস্থা নিয়ে দেশম বলেছেন, 'তার নাকের অবস্থা খারাপ। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। মেডিক্যাল টিম এটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের দেখব কী হয় আর এটা সারতে কতটা সময় নেয়। আমাদের জন্য এটা খুবই বাজে খবর। অবশ্যই তাকেসহ আর ছাড়া ফ্রান্স দল এক নয়। আশা করি সে পরের ম্যাচগুলো খেলবে।'
ডুসেলডর্ফের একটি হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল এমবাপ্পেকে। স্থানীয় সময় রাত একটার দিকে হাসপাতাল ছেড়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি জানিয়েছেন, নতুন পরীক্ষার পর দলের মেডিকেল স্টাফরা মনে করছেন, এমবাপ্পের নাকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বড় ম্যাচে অনিশ্চিত তিনি।