প্রেমিকার কারণে চাকরি হারিয়েছেন নাগেলসমান!

অঞ্জন দত্তের বিখ্যাত গান 'চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো' জুলিয়ান নাগেলসমান নিশ্চয়ই শুনেন নি। তবে তিনি মনে মনে জার্মান ভাষায় হয়তো গাইছেন, 'চাকরিটা আমি হারিয়েছি বেলা শুনছো!'
আক্ষরিক অর্থেই এমনটি হয়েছে বলে দাবি সাবেক এক বায়ার্ন খেলোয়াড়ের। বায়ার্নের এমন আচমকাই নাগলসমানকে বরখাস্ত করার পেছনে নাকি ৩৫ বছর বয়সী কোচের প্রেমিকা দায়ী!
এই মৌসুমে নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খুব বেশি যে খারাপ করছিল বায়ার্ন তেমনটি মোটেও নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা ৮ ম্যাচের সব কটিতেই জিতেছে তারা, এর মাঝে শেষ ষোলোর দুই লেগেই নাগলসমানের দল হারিয়েছে মেসি-এমবাপ্পেদের পিএসজিকে। লিগে ডর্টমুন্ডের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাভারিয়ানরা।
এরপরেও নাগলসমানকে বরখাস্ত করার কারণ কী শুধুই বায়ার্নের লিগ অবস্থান নিয়ে অসন্তুষ্টি? বাভারিয়ান ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড় মার্কাস বাবেল কিন্তু তা মনে করেন না। তার কাছে মূল কারণ নাগলসমানের সাংবাদিক প্রেমিকা লিনা ওরজেনবার্গার।
নাগলসমানের সঙ্গে সম্পর্কের আগে জার্মান পত্রিকা 'বিল্ড'র বায়ার্ন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন লিনা। বায়ার্ন কোচের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পরই সেই চাকরি ছেড়ে দেন লিনা। কিন্তু দলের ড্রেসিংরুমেও নাগলসমানের এবং লিনার সম্পর্ক নিয়ে কথা হতো বলে জানিয়েছেন বাবেল।
সাবেক বায়ার্ন ও জার্মান ডিফেন্ডারের মতে, 'আমি জানি লিনার সঙ্গে নাগলসমানের সম্পর্ক নিয়ে ড্রেসিং রুম খুশি ছিলো না। খেলোয়াড়রা ভীত ছিলো যে ওদের সব কথাই এখন সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়ে যাবে। তাই তারা ঠিকমতো মনের কথা প্রকাশ করতো না।'
বায়ার্ন বোর্ড নাকি এই কারণেই নাগলসমানকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি বাবেলের। উল্লেখ্য, ৩৫ বছর বয়সী এই কোচকে ২০২৬ পর্যন্ত বেতন দিয়ে যাবে বায়ার্ন। এর মধ্যে অবশ্য নতুন ক্লাব খুঁজে পেলে সেই চুক্তি আর কার্যকর হবে না।