মেসির শেষ বিশ্বকাপের প্রশ্নে যা বললেন আর্জেন্টিনার কোচ

শিরোপা স্বপ্নে বিভোর আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে আলবিসেলেস্তেরা। জিতলে ফাইনাল, না জিতলেও আরেকটি ম্যাচ থাকবে; সেটা তৃতীয় স্থান নির্ধারণী। বিশ্বকাপ শেষের পথে চলে আসায় একটি প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, এটাই কি লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ?
এই প্রশ্নের যথার্থতা আছে। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর বেশ আগেই জানিয়ে রেখেছেন, এটাই হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের আগে তাই এই প্রসঙ্গটিও উঠলো। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হালো আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। আর্জেন্টাইন এই কোচ অবশ্য পরিস্কার করে কিছুই বললেন না।
বয়স চলছে ৩৫, পরের বিশ্বকাপ খেলাটা মেসির জন্য সহজ ব্যাপার নয়। এ ছাড়া বিদায়ের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী। এই সিদ্ধান্ত কি মেসি বদলাবেন? আর্জেন্টিনার কোচ বললেন, 'দেখা যাক সে (জাতীয় দলের হয়ে) খেলা চালিয়ে যায় কিনা। তখন আমরা নিশ্চিত হতে পারব, তার খেলা আমরা উপভোগ করে যেতে পারব কি না।'
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার ৯ জন ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেন। এর মধ্যে পর পর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় আকুনা ও মনজালো মন্তিয়েল খেলতে পারবেন না সেমি-ফাইনালে। আছে ডি পল ও ডি মারিয়ার চোট নিয়েও দুশ্চিন্তা। যদিও স্কালোনি জানিয়েছেন, এ দুজন ভালো আছেন। তিনি বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব, তবে দুজনই ভালো আছে।'
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের কৌশল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আর্জেন্টিনার কোচ বলেন, 'নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তেমন প্রস্তুতিই থাকবে। সৌদি আরবের কাছে হারের পর থেকেই সব ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সবাই জানে আমরা নিজেদের সেরাটাই দেব।'
ক্রোয়েশিয়া শক্ত বাধা হলেও সেমি-ফাইনালে নিজেদের রেকর্ড থেকে আত্মবিশ্বাস নিতে পারে আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের আগে চারবার সেমি-ফাইনাল (১৯৭৮ বিশ্বকাপ ভিন্ন ফরম্যাটে খেলা হয়) খেলা আর্জেন্টিনা প্রতিবারই বিজয়ের হাসি হেসে মাঠ ছেড়েছে। কোনো প্রতিপক্ষই পারেনি তাদের হারের স্বাদ দিতে।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের শুরুর লগ্ন থেকে এই রেকর্ড ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই সেমি-ফাইনাল খেলে তারা। সেবার ফাইনালে হার মানা দেশটি পরে ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলে। প্রতিবারই তারা সেমির বাধা পেরিয়ে উঠে যায় ফাইনালে। এবার ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে ওঠার হাতছানি লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটির সামনে।