মাহেদী-সোহানের ব্যাটিং ঝড়ে শুরু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি

শুরুটা খারাপ না হলেও কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে দিক হারালো মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। ৬৫ রানেই নেই চার উইকেট। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত থেকে শুরু করে ফিরে যান মোহাম্মদ আশরাফুল, আনিসুল ইমনরা। এমন অবস্থায় আলোক বর্তিকা হাতে দেখা মিলল মাহেদী হাসানের। ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের সঙ্গ দিলেন নুরুল হাসান সোহান। তাদের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি পেল রাজশাহী।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মঙ্গলবার বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। শুরুতে আনিসুল হক ইমনের পর মাহেদী ও নুরুল হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছে নাজমুল হোসেন শান্ত দল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা রাজশাহীর শুরুটা মন্দ হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ৩১ রান পায় দলটি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেখেশুনে খেললেও শুরু থেকেই চড়াও মেজাজে দেখা গেছে আনিসুল ইসলাম ইমনকে। প্রথম বল থেকেই মারকুটে স্টাইলে খেলতে থাকেন ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৩১ রানে শান্তর বিদায়ে ওলট-পালট হয়ে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইন আপ। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে যান চারজন ব্যাটসম্যান। দলীয় ৪৮ রানে ফেরেন রনি তালুকদার। দলীয় ৬৫ রানে সবচেয়ে বড় আঘাতটি আসে রাজশাহীর ইনিংসে। নবম ওভারে মোহাম্মদ আশরাফুলকে ফেরান বল হাতে দারুণ করা মুক্তার আলী।
পরের ওভারে রাজশাহীকে পথ ভুলিয়ে দেন নাঈম হাসান। ঢাকার তরুণ এই স্পিনার ফিরিয়ে দেন আনিসুল ইসলামকে। ফেরার আগে ২৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ রান করেন তিনি। এ সময়ই রান আউট হয়ে বিদায় নেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখাতে শুরু করেন মাহেদী ও সোহান।
এই দুই ব্যাটসম্যান মুহূর্তেই দলের স্কোরকার্ডের চেহারা পাল্টে দেন। ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন তারা। মাত্র ৪৯ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। সোহান মাত্র ২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন। সোহানের পর বিদায় নেন আসরের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করা মাহেদী। ৩২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি।
মাহেদী ও সোহানের বিদায়ের পর রান তোলার গতি কমে যায় রাজশাহীর। শেষের দিকে অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজা ৬ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মুক্তার আলী। এ ছাড়া মেহেদী হাসান রানা, নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসান একটি করে উইকেট নেন।