বার্সার বিশাল জয়ে মেসির জোড়া গোল

শিরোপা স্বপ্ন এখনও আছে, তবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে রয়ে গেছে পয়েন্টের ব্যবধানও। শেষবেলার প্রতিটি ম্যাচ তাই মহা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষের পা হড়কালে এবং নিজেরা জয়ের কক্ষপথে থাকলে বার্সেলোনার হাতে উঠতেও পারে লা লিগার শিরোপা। এমন সমীকরণে মাথার ওপর চাপের বোঝা থাকলে গেটাফের বিপক্ষে ম্যাচে সেটার কোনো প্রভাব পড়লো না।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে গেটাফেকে ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লিওনেল মেসির দল। ম্যাচে নেতার মতোই খেলেছেন মেসি, জোড়া গোল করা ছাড়াও সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন একটি গোল। বার্সার হয়ে বাকি দুই গোল করেন রোনালদ আরাহো ও অঁতোয়ান গ্রিজম্যান। বাকিটি প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোল।
ম্যাচে কেবল গেটাফেই আত্মঘাতী গোল করেনি, বার্সাও একই কাজ করেছে। বার্সার ক্লেমো লংলের আত্মঘাতী গোলেই সমতায় ফেরে গেটাফে। গেটাফের হয়ে পেনাল্টি থেকে বাকি গোলটি করেন এনেস উনাল। আত্মঘাতী গোলের মতো পেনাল্টিতেও ছিল মিল, ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে গোল করেন বার্সার গ্রিজম্যান।
বিশাল এই জয়ে শিরোপার দৌড়ে টিকে রইলো বার্সেলোনা। ৩১ ম্যাচে ২১ জয়ে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে ফিরলো বার্সা। উপরের দুই দল রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকে মাদ্রিদ একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে।
৩২ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাটলেটিকো শীর্ষে, ৭০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল দুই নম্বরে। পরের ম্যাচে জিতলে অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে বার্সার ব্যবধান থাকবে দুই পয়েন্টের। রিয়ালের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে যাবে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন মেসি। চার মিনিট পর লংলের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে গেটাফে। ২৮তম মিনিটে সোফিয়ান চাকলার আত্মঘাতী গোলে আবারও এগিয়ে যায় বার্সা। ৩৩তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন মেসি।
৬৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় গেটাফে, স্পট কিক থেকে গোল করেন উনাল। এরপর ৮৭ মিনিটে আরাহো এবং যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে বার্সার পক্ষে গোল করেন গ্রিজম্যান।