টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতা কাটিয়ে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি লিটনের

ব্যাট হাতে চরম দুঃসময় যাচ্ছিল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রান তুলতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে লিঠন কুমার দাসকে। কিন্তু মেলেনি আলোর দিশা। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর বিশ্বকাপেও নিজের ছায়া হয়ে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যে কারণে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে জায়গাই হয়নি তার।
টেস্টে তার ওপর ভরসা রাখে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। সেটা ভরসার প্রতিদানও দিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। টেস্টে এটাই লিটনের প্রথম সেঞ্চুরি। তার আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৯৫। ২৬তম টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুতেই ফিরে যান সাইফ হাসান। এরপর দ্রুতই ফেরেন সাদমান ইসলাম অনিক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। ৪৯ রানে ৪ উইকেট দলকে বিপদমুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন লিটন ও মুশফিকুর রহিম।
এ দুজনের দারুণ ব্যাটে ৭৭ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটির রান ইতোমধ্যে ১৮৩। দারুণ এই জুটি গড়ার পথে অনিন্দ্য সুন্দর ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ১৯৯ বলে ১০ চার ও একটি ছক্কায় টেস্টের নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পৌঁছান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
টি-টোয়েন্টিতে না পারলেও টেস্টে চলতি বছরটা দারুণ কাটছে বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যানের। পুরো বিশ্বে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গড় তার। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর ছয় টেস্টের মধ্যে পাঁচ টেস্টের যে কোনো একটি ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন লিটনের। এবার আর হাফ সেঞ্চুরি নয়, তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেলেন তিনি।