গাঙ্গুলীর সঙ্গে কনওয়ের এতো মিল!

একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে আরেকজন ক্রিকেটারের কতোটা মিল থাকতে পারে? অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করা ডেভন কনওয়ের ইনিংসটি দেখার পর ক্রিকেটভক্তরা বলে দেবেন, দুই ক্রিকেটারের মাঝে অনেক মিল থাকতে পারে। আসলেই তাই, ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে সব কিছুতেই মিল নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি এই ওপেনারের। তার অভিষেক ইনিংস দেখার পর অনেকেই মনে করছেন ১৯ বছর আগের অভিষিক্ত গাঙ্গুলীর কথা।
জন্ম তারিখ থেকেই শুরু করা যাক। সৌরভ গাঙ্গুলির জন্ম ১৯৭২ সালের ৮ জুন। ১৯ বছর পর (১৯৯১) একই দিনে জন্ম কনওয়ের। দুজনই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। কনওয়ে অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং না করে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলান। কিন্তু প্রথম শ্রেণি, লিস্ট 'এ' ও টি-টোয়েন্টিতে কনওয়ের যে ১৫টি উইকেট আছে, তা ডানহাতি মিডিয়াম পেসার হিসেবেই।
এখানেই মিলের শেষ নয়। ১৯৯৬ সালের জুনে অভিষেক টেস্ট খেলেন গাঙ্গুলী, ভেন্যু ছিল ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডস। ১৯ বছর পর জুনে সেই লর্ডসেই অভিষেক হলো কনওয়ের। প্রতিপক্ষও একই, দুজনের অভিষেকই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এতোই যখন মিল, অভিষেক ইনিংসে মিল না থেকে উপায় কী! গাঙ্গুলীর মতো কনওয়েও অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।
এতো মিলের ভিড়ে আছে কিছু পার্থক্যও। ২৪ বছর বয়সে ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় গাঙ্গুলীর। কনওয়ের টেস্ট যাত্রা শুরু হলো ২৯ বছর বয়সে। অভিষেক টেস্টে ৩ নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি। কনওয়ের শুরু হয়েছে ওপেনার হিসেবে। গাঙ্গুলীর অভিষেক ইনিংস থেমেছিল ১৩১ রানে। কনওয়ে ১৭৯ রান তুলে এখনও অপরাজিত।
অভিষেক ইনিংস দিয়ে ইতোমধ্যে দেশের অনেক ব্যাটসম্যানকে ছাড়িয়ে গেছেন। অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার দিক থেকে কনওয়ে এখন স্কট স্টাইরিস (১৭৬), হামিশ রাদারফোর্ড (১৭১), জিমি নিশামদের (১৩৭*) চেয়ে এগিয়ে। তার সামনে কেবল ম্যাথু সিনক্লেয়ার। ১৯৯৯ সালে অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি সাবেক এই ব্যাটসম্যান।