অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড, জিতেও বিদায় দক্ষিণ আফ্রিকার

ম্যাচে সবই নিজেদের পক্ষে রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট হাতে বিশাল সংগ্রহ গড়া, পরে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ঝড়ের মুখে পড়লেও ব্যবধান ঘোচাতে দেয়নি প্রোটিয়ারা। শেষ দিকে কাগিসো রাবাদার হ্যাটট্রিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জয়। কিন্তু এতকিছুও কাজে এলো না। জিতেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো তাদের। ম্যাচ হারা ইংল্যান্ড গ্রুপ সেরা হয়ে উঠে গেছে সেমি-ফাইনালে। তাদের সঙ্গী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার শারজাহতে সুপার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ। পাঁচ ম্যাচে এটা তাদের চতুর্থ জয়। কিন্তু চারটি জয় যথেষ্ট হলো না তাদের জন্য। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার জয়ও চারটি করে। কিন্তু নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শেষ চারের টিকেট পেয়ে যায় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া।
সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করতে শুধু জিতলেই হতো না দক্ষিণ আফ্রিকার। ছিল জটিল সমীকরণ। ইংল্যান্ডের ইনিংস ১৩১ রানের মধ্যেই গুটিয়ে দিতে পারলে মিলতো শেষ চারের টিকেট। কিন্তু ১৬তম ওভারে রাবাদার বলে লিয়াম লিভিংস্টনের মারা ছক্কার পরই নিশ্চিত হয়ে যায় প্রোটিয়াদের বিদায়। ম্যাচ শেষ না হতেই সেমি-ফাইনালে উঠে যায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ডের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম। তাদের ব্যাটে ২ উইকেটেই ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ইংল্যান্ড যখন জয়ের খুব কাছে, তখন হ্যাটট্রিক করে ইংলিশদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন রাবাদা। ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৭৯ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা ইংল্যান্ড দাপুটে শুরু করে। হঠাৎ ছন্দপতন হয় জেনর রয়ের চোটে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মাঠ ছাড়লে শুরু হয় উইকেটপতন। এরপরও জস বাটলার, মঈন আলী, দাভিদ মালানদের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে যায় ইংলিশরা।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪ রান। শেষ ওভারটি করতে এসে টানা তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের মালিক হয়ে যান রাবাদা। এবারের বিশ্বকাপের তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন ডানহাতি এই পেসার। এবারের আসরে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্পার। দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন লঙ্কান স্পিনার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ২০০৭ এর আসরে হ্যাটট্রিক অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি পেসার ব্রেট লি।
রাবাদার হ্যাটট্রিকের কারণে মূলত জয়বঞ্চিত জয় ইংল্যান্ড। জেসন রয় ২০, জস বাটলার ২৬, মঈন আলী ৩৭, দাভিদ মালান ৩৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ২৮ ও ইয়ন মরগান ১৭ রান করেন। ৪৮ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন রাবাদা। ২ করে উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।
এর আগে ব্যাটিং করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মূলত তিনজন ব্যাটসম্যান রান করেন। চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা ডার ডুসেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৬০ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেন। কুইন্টন ডি কক ৩৪ ও মার্করাম ২৫ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন।