‘কান’ নিয়ে কানকথা: রেহানা মরিয়ম নূর প্রসঙ্গে

রেহানা মরিয়ম নূরের ট্রেলার প্রকাশের পর বঙ্গীয় চলচ্চিত্র সেবক সমাজ একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়লো। এক ভাগের আপত্তি, নামটি 'ইসলামী' কেন! দ্বিতীয় ভাগ, সব দেখি ইরানী সিনেমার মতো। তৃতীয় ভাগ বললেন, ঐ গেছে আর কি, মূল বিভাগ তো না। প্রথম ভাগের বিশদ মতামত, ফরেন 'ইসলাম' প্রদর্শন/ সমালোচনা খায়৷ মাটির ময়না থেকে তসলিমা নাসরিন, তালিকাটি খুব সংক্ষিপ্ত নয়। দ্বিতীয় ভাগ সুরুচিসম্পন্ন, প্রচুর ইরানী চলচ্চিত্র দেখেন যেহেতু ইরানী সিনেমায় নারীর মাথায় কাপড় থাকে ও নারী মূলত নিজেকে অনাবৃত না করেই প্রতিবাদী৷ ভায়োলেন্স সাধারণভাবে ইরানী ফিল্মের লক্ষ্য নয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের স্বরূপ উন্মোচন এতো শালীনভাবে আর কোনো দেশের চলচ্চিত্র দেখাতে পারে না বলেই দ্বিতীয় ভাগের ধারণা। তৃতীয় দল নানারকম সমাপতন ও যোগাযোগ দেখেন৷ সাদা বাংলায়, আরে বোঝো না কেন, লবিং করে গেছে, নইলে কি আর এমন হতে পারে! চতুর্থ ভাগ বেশি কথা বললেন না। তাঁরা সাদের আগের কাজ দেখেছেন এবং তাঁর চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহী। ফলে, তাঁরা ট্রেলার দেখেই চূড়ান্ত মন্তব্য করতে চান না৷ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের তরুণ ভোক্তারা হলিউড, বলিউডের হলপ্রিন্টের হাততালি ও হার্বাল বিজ্ঞাপনসমৃদ্ধ প্রিন্ট দেখেই সিনেমাটোগ্রাফির আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই জায়গা থেকে ট্রেলার দেখে কিছু বলবার জন্যে তাঁরা তো অস্থির হয়ে পড়বেনই।

আমাদের শহরের সিনেপ্লেক্সে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র 'লাইভ ফ্রম ঢাকা' দেখাবার আয়োজন হলো দুই বছর আগের এপ্রিলে। এক বিকেলের বিশেষ শো এর কমপ্লিমেন্টারী টিকিট দিলো বন্ধু শমী সুহৃদ। সিনেপ্লেক্সের শীতাতপে একটি উত্তেজক চলচ্চিত্র দেখার আনন্দ হয়েছিলো। উত্তেজক বলতে আমি বোঝাতে চাইছি, চিন্তার খাদ্য যোগানোর। অবাক লেগেছিলো একটি জিনিস ভেবে, একজন তরুণ পরিচালক দৃশ্যের নন্দনের ব্যাপারে ভাবিত নন। পুরো সিনেমায় সেই অর্থে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য নেই৷ আমি তখন ফেসবুকে, আমার ওয়ালে একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া লিখি -
'বাংলার কিয়েরোস্তামি, কাওরান বাজারের মার্কেজ, এনজিও প্রেমিক একদা মায়েস্ত্রো বৃদ্ধ পরিচালকদের স্টান্টবাজি, বাংলার একমাত্র মুসলমানের পরিচালকের ফাজলামো দেখে দেখে যখন ক্লান্ত, বিধ্বস্ত ও এতোটাই অসহায় যেন কেউ গলায় পা দিয়ে রেখেছে আর যখন অবদমিত যৌনতা, ছদ্ম দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর ভালো কিশোর উপন্যাস, ধ্রুপদী উপন্যাসকে ধারাবাহিকভাবে বিনষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই দেখছিলাম না বড় পর্দায় তখন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের (নামের বানান ভুল হলে করজোড়ে ক্ষমা চাই) দেখে মনে হলো, বহু বহু বহু বহু কাল পরে বাংলাদেশের একটি প্রকৃত বাংলাভাষার চলচ্চিত্র দেখলাম।
আশাবাদ যে গাছপাকা আপেল নয় আর জীবন যে সর্বস্বজোড়া এক তেতো স্বাদ এই ব্যাপারটি এত অপূর্ব ও অভাবিত মনে হয় যেন এ এক দীর্ঘ বাস্তব দুঃস্বপ্ন নিজের জীবনেরই।
পুনশ্চ: পড়েছি, কমলকুমার মজুমদারের 'পথের পাঁচালী'-র চিনিবাস ময়রার পেছনে ছোটা অপুদুর্গার দৃশ্য ভালো লেগেছিলো। আমার এই সিনেমার সবচেয়ে ভালো লাগলো যখন দেয়ালে বড় করে বিসিএস লেখা আর নায়ক মোতার পর জিপার টানছে।
চট্টগ্রামে এই পরিচালককে পেলে চা খাওয়াবো একদিন, ভালোবেসে। আর ভাই স্মরণ, তোমার কারণে এই মহৎ সিনেমাটি দেখা সম্ভব হলো। ঋণী হয়ে থাকলাম।'
তখন আমার এই পোস্টকে অতিশয়োক্তি বলেছিলেন কেউ কেউ৷ উদ্ধৃত করেছিলেন, আপামর বাঙালির বাড়িয়ে বলার উদাহরণ। আমি বক্তব্যে অটল ছিলাম৷ ক্যামেরার জার্কি, কম্পমান চলন আমার মনে সেঁটে রইল৷ স্বয়ং পরিচালকের সাথে যোগাযোগের নানা পদ্ধতি থাকলেও আমি আর যোগাযোগ করলাম না৷ বরং পরের কাজের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। অপেক্ষা জমে জমে প্রতীক্ষা হলো। তার আর খবর পাই না। তিনি এক রকম হারিয়ে গেলেন।

২
এক সুন্দর সকালে খবর পাওয়া গেলো, দ্বিতীয় ছবি 'রেহানা মরিয়ম নুর' নিয়ে তিনি কানে গিয়েছেন। শীর্ষ পত্রিকা প্রায় প্রতিদিন নানা খবর দিতে থাকলো। একটা খবর প্রায় ভাইরাল হলো। সাদ ফেসবুক ব্যবহার করেন না, ইউটিউব চ্যানেল নেই, তাঁর কারণ তিনি নিভৃতচারী ৷ ফলে, প্রত্যেক পুরনো শহরেই যেমন দু একজন দাদা থাকেন, বড়ো ভাই থাকেন যারা অনুজদের সিনেমা দেখা, ভাবা, নির্মাণ নিয়ে পরামর্শ দেন, সেই বড়ো ভাইদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়লো। মুখোমুখি আলাপ কিংবা আড্ডা যা কি না বাঙালির ঐতিহ্য তার গুরুত্বই রইলো না যেন। অনেক বাঙালি মণীষী আড্ডা থেকে চিন্তার রসদ যোগানোর কথা বলেছেন। এমন কি সেই যে 'কাহিয়ে দু সিনেমা'-র মতো ইতিহাসকাঁপানো সিনেমার কাগজ, তারও উৎপত্তি আড্ডা থেকেই৷ কিন্তু একদল তরুণ ভাবতে লাগলেন, 'নিভৃতচারী' হতে হবে।
এটি আমাদের শহরের পরিস্থিতি। মানে, শহর চট্টগ্রাম, ছয় সাতশো বছরের পুরনো মায়ার শহর, জাদুবাস্তবতার পতুর্গীজ শহর, শতাব্দীপ্রাচীন পর্যটকের প্রেমের শহর। ফলে, সিনেমা নিয়ে ফরেন গমন প্রত্যাশীরা নিভৃতচারী হওয়ার সাধনা শুরু করলেন কেউ কেউ৷
আমাদের সমাজব্যবস্থার বর্তমান চেহারাটা হচ্ছে, আমরা এখন সবাই 'করে দেখাও' পার্টিতে বিশ্বাস করি। এটি মূলত মোটিভেশনাল স্পিকারদের উৎপাতের ফলে সৃষ্ট। 'উৎপাত' বলছি কেন না সাফল্যের ধারণা তো ব্যক্তিবিশেষে আলাদা। কেউ হয়তো, পুকুরে উজ্জ্বল পুঁটিমাছের শরীরে রোদের প্রতিফলন দেখাকেই সাফল্য মনে করেন কিংবা দুপুরবেলার ভাতঘুম। এখন কোন সাহিত্যিক ক্রিটিক পছন্দ না হলে 'সমারূঢ় ব্যতিক্রম' মনে করিয়ে দেন৷ বরং তুমি নিজেই লেখো না কেন। তেমনি সিনেমার ক্ষেত্রেও, বানিয়ে দেখাও৷ কোনো উচ্চপদস্থদের নিয়ে ক্রিটিক করলে 'হয়ে' দেখাও। ব্যাপারটা এমন যেন ফ্যাসিস্টের ক্রিটিক করলে ফ্যাসিস্ট হয়ে দেখাতে হবে৷ যেন, মানুষ হয়ে, প্রকৃত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকাটা যথেষ্ট হচ্ছে না আর। সেদিক থেকে দেখলে, আবু সইয়ীদ আইয়ূবের জীবনটাই বৃথা। ভদ্রলোকের জীবনটাই গেলো রবীন্দ্রালোচনায়। অথচ তাঁকে কেউ রবীন্দ্রনাথ হয়ে দেখাতে বলেন নাই কিংবা ধরা যাক আন্দ্রে বাঁজার কথা, 'কাহিয়ে দু সিনেমা'-র প্রধান সম্পাদক, যিনি দিনের পর দিন ফিল্ম ক্রিটিক করে গেছেন তাঁকে কোনোদিন তো সিনেমা বানাতে দেখা গেছে বলে শুনিনি৷

৩
পরিচালক জানাচ্ছেন, রেহানার গল্পটা তিনি চারপাশ থেকে নিয়েছেন৷ তিন বড়ো বোনের পরিবারে তিনি বেড়ে উঠেছেন৷ দূরে, কাছে কোথাও প্রার্থনাধ্বনি শোনা গেলে যেমন নারীরা মাথায় একটু কাপড় টেনে দেন সেখান থেকেই মূল চরিত্রের আবৃত মাথা দেখি আমরা। সিনেমাটির ট্রেলারের দর্শক আর দীর্ঘদিনের ইরানী, প্যালেস্তাইন আর নানা মুসলমান প্রধান অঞ্চলের সিনেমা দেখে যা বুঝেছি, কোনো সাদৃশ্য নয়, এটা এ অঞ্চলের সিনেমায় নারীকে উপস্থাপনের একটা বৈশিষ্ট্য, মাথায় কাপড় থাকা।
সিনেমার পর্দা জুড়ে নীল রঙের ব্যবহার আমাদের কাউকে কাউকে ক্রিস্তফ কিয়েসলোস্কির থ্রি কালার্সের 'ব্লু' সিনেমাটা মনে করিয়ে দিতে পারে। মনে পড়ে যাবে, বিশিষ্ট কম্পোজার স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুর পর স্ত্রী নিজেকে আবার গুছিয়ে তুলতে চাইছেন, শোক শমিত করে শান্ত হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছেন৷ এখানে নীল বেদনার রঙ, সর্বগ্রাসী বিপন্নতা কিংবা অন্তর্লীন ব্যথার রঙ। রুমী যেভাবে বলেন, সেখান থেকে ধার করে বলা যায়, এই নীল সেই ক্ষতের ফাটল যা থেকে আলোর নির্গমন ঘটে। রেহানা মরিয়মের গল্পের কাঠামোটার আভাস প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে আমরা পেয়েছি। তিনি সিঙ্গেল মাদার, একটি কন্যার জননীর। পেশাগত জীবনে একটি মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। একদিন অনেক রাত পর্যন্ত কাজের জায়গায় থাকায় নিজের উচ্চপদস্থ সহকর্মী কর্তৃক নারী নির্যাতনের ঘটনা টের পান। এসব ক্ষেত্রে ভিকটিম ছাত্রী হলে, প্রতিবাদে সামিল হলে তার একাডেমিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে৷ রেহানা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে, দোষীকে শাস্তি দিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন৷ নির্যাতন তাঁর উপর ঘটেনি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন নাই তবু এই ঘটনার অভিঘাত মানুষ হিসেবে তাঁকে, রেহানাকে পাল্টে দেয়। আরব নিউজ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এক দর্শক মতামতে জানা যায়, ছবিটা একটা সময় থ্রিলারের মতো টান টান হয়ে ওঠে। সেটা নিছক ব্যক্তি লাঞ্ছনার ঘটনায় সীমিত থাকে না বরং একটা অধিকতর বৃহত্তর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে। শুটিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বদ্ধ ঘরে, সেইকারণে একটা ক্লসট্রোফোবিক চাপা উদ্বিগ্নতা তৈরি করে।

৪
চলচ্চিত্র বলি কিংবা সাহিত্য, এক কথায় শিল্পের একটা হাজার বছরের ইতিহাস আছে। এমন অনেক বই, সিনেমা আছে যাতে নতুন চিন্তা ছিলো, ছিলো নতুন জন্মানো চারার মতো সতেজ তারুণ্য কিন্তু সঠিক পরিচর্যা অথবা ঠিক সময়ে চিনে ওঠাটুকুর ব্যর্থতার কারণে প্রচারের আলো পায়নি। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের প্রথম ছবি 'লাইভ ফ্রম ঢাকা' খুব বেশি মানুষ দেখতে পারেননি। এখন ফ্রি স্ট্রিমিং সাইটে দেখা গেলেও লোকজনকে বেশি আগ্রহ দেখাতে যাচ্ছে না। যদিও অখাদ্য বডি শেইমিং করা, বর্ণবাদী তথাকথিত 'প্রেমের' নাটকের মিলিয়ন ভিউজ। সেই জায়গা থেকে পরিচালক পরের ছবিটা কানে নিয়ে গেছেন, এটা একটা ইতিহাস।
ফ্রাসোয়া ত্রুফো যে বছর কানে নিষিদ্ধ ছিলেন তার পরের বছর ১৯৫৯ সালে 'ফোর হান্ড্রেড ব্লোজ'-র চলচ্চিত্রের জন্যে সেরা নির্মাতার পুরস্কার পান। পত্রিকায় লেখা হয়, ছবিটা বোমার মতো বিপক্ষ দলের তাঁবুতে ফেটে তাদের ভেতর থেকে মেরে ফেলেছে। পরের বছর ১৯৬০ সালে প্রথম সিনেমা নিয়ে আসেন, জ লুক গোদার। ব্রেথলেস। ত্রুফো আর গোদারের বন্ধুত্বের ইতিহাস আমাদের রোমাঞ্চিত করে। প্রসঙ্গটা তুললাম, একই বছর ব্রেথলেসের জন্যে জ ভিগো প্রাইজ পাওয়ার পর গোদার স্পষ্ট বলেছিলেন, 'পুরস্কারপ্রাপ্তি ঘটলে সিনেমাটার দিকে দর্শক মনোযোগী হন', গোদারের কথার সূত্র ধরেই বলতে পারি, এখন আপামর চলচ্চিত্রসেবী বাঙালি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের কাজ নিয়ে আগ্রহী হবে। যেমন, ত্রুফোর কানবিজয়ের পর বলা হয়েছিলো, অন্তত পঞ্চাশজন প্রযোজক এই কায়দায় সিনেমা করবার কথা ভাবছেন। তরুণ পরিচালকের প্রযোজকঘটিত মুশকিল আপাতত আসান হলো নিশ্চিতভাবেই। বাঙালি পয়সাওয়ালারা মেধাবীদের অনুসরণ করে বড় আসরে যেতে চান, এটা সর্বকালে সত্য।
লেখাটা যখন লিখছি, শুক্রবার দেড়টার অল্প পরে, শেষ দিকে এসে পড়েছি, সাগরের ওপারে কান উৎসবের পর্দা উঠছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব করে চাই, রেহানা মরিয়ম নুর আরো কিছুদূর যাক। একটা কোনো পুরস্কার জিতে স্ট্যান্ডিং ওভেশন সবাই পায় জাতীয় ফালতু কথায় জল ঢেলে দিক। যদিও পরিচালক সাদ জানাচ্ছেন এক সাক্ষাৎকারে, এই তাঁর অনেক পাওয়া হলো। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ একদিন আমাদের দেশের সিনেমার জন্যে অনেক বিশাল একটা সম্মান বয়ে আনবে। তাঁর দেহভাষা, বলবার ভঙ্গিতে সেই প্রতিজ্ঞা দৃশ্যমান।

পথের পাঁচালী মুক্তির পর সবাই যখন উত্তেজিত ও আনন্দিত তখন কলকাতার তরুণ শিল্পী সাহিত্যিক সমাজের পক্ষ থেকে পূর্ণেন্দু পত্রীর পরিকল্পনায় গণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে সাদ জানান, তিনি চট্টগ্রাম ফিরতে চান। শুনে যে কারো হৃদয় আর্দ্র হয়ে উঠবে। অতিমারী পরিস্থিতিতে সীমিতভাবে হলেও আমার শহর কি তাঁকে সংবর্ধিত করবে? সেই অকপট আহ্লাদ আমরা কি একেবারেই হারিয়েছি না আমাদের শিল্প আস্বাদনের ঈশ্বরপ্রদত্ত জিহবা একেবারেই স্বাদহীন! আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, আপনার শিল্পযাত্রা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক। আপনাকে ভালোবাসা।