চিপ সংকটের কারণে উৎপাদন কমিয়ে মুনাফা পতন টয়োটার

চিপ সংকটের মুখে উৎপাদন কমিয়ে আনায় ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে জাপানি কোম্পানি টয়োটার মুনাফা কমেছে ২১ শতাংশ।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৭৮৪.৪ বিলিয়ন ইয়েন (৬.৮ বিলিয়ন ডলার)।
বিশ্বের অন্যতম সেরা গাড়ি প্রস্তুতকারক এ কোম্পানিটি তাদের বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়ে এনেছে। বর্তমানে আগের চেয়ে প্রতি বছরে ৫ লাখ গাড়ি কম বানাবে টয়োটা, ৯০ লাখের বদলে প্রতি বছর উৎপাদন হবে ৮৫ লাখ গাড়ি।
নিজেদের পণ্যের জন্য সারা বিশ্বের উৎপাদনকারীরা যখন হন্যে হয়ে পর্যাপ্ত মাইক্রোপ্রসেসর খুঁজছে, এমন সময়ে এ খবর এলো।
"গত গ্রীষ্ম থেকে আমাদের উৎপাদনের পরিমাণ কমে আসায় গ্রাহকরা যে সব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তার জন্য আমরা দুঃখিত। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আগের পর্যায়ে উৎপাদন শুরুর চেষ্টা করছি,"
গত সেপ্টেম্বরে চিপ ঘাটতির কারণে কোম্পানিটি বিশ্বজুড়ে তাদের গাড়ির উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনে।
মহামারির কারণে সাপ্লাই চেন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় যন্ত্রাংশে সংকটের মুখে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কিছু উৎপাদন স্থগিতের ঘোষণাও দেয় টয়োটা।
ভক্সওয়াগেন, জেনারেল মোটরস, ফোর্ড, নিসান, ডেমলার, বিএমডব্লিউ এবং রেনল্টসহ টয়োটার প্রতিদ্বন্দ্বী গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উৎপাদন কমিয়ে এনেছে।
সাইনো অটো ইনসাইটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টু লে বিবিসিকে বলেন, "২০২২ সালেও চিপ সংকটের প্রভাব পড়েছে টয়োটার ওপর, তবে কোম্পানিটি অন্যান্যদের চেয়ে ভালোভাবেই যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে"।
"আমি মনে করি কোম্পানিটি সংকটের মধ্যে সুযোগ খুঁজে নেয়, কারণ চিপ সংকট সামলানোর কাজে জেনারেল মোটরস আর ভোক্স ওয়াগনের চেয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল। তাই তুলনামূলকভাবে অন্যান্যদের চেয়ে টয়োটার এ বছর ভালো যাচ্ছে," যোগ করেন তিনি।
গত মাসেই কোম্পানিটি তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভোক্স ওয়াগনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি হিসেবে নাম লিখিয়েছে।
অন্যদিকে, চলতি মাসেই কোম্পানিটি জাপানের গ্রাহকদের সতর্ক করে জানিয়েছে, নতুন ল্যান্ড ক্রুজার এসইউভি ডেলিভারি পেতে চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কিন্তু, এর কারণ চিপ সংকট বা সাপ্লাই চেইন সংকট না বলে জানায় কোম্পানিটি।
তবে, ডেলিভারির সময় বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি কোম্পানিটি।
সূত্র: বিবিসি