চীনে কোভিড-১৯ ঢেউ ফেরার ঝুঁকি প্রবল, বিশ্বে ১০ কোটির বেশি মৃত্যুর আশঙ্কা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে অচিরেই অতিক্রম হতে পারে ১৯১৮ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির রেকর্ড, যাতে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি এই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল 'দ্য ল্যানসেট'।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্রের ডিরেক্টর গাও ফু-এর নেতৃত্বাধীন গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, স্প্যানিশ ফ্লু নামক বিগত শতকের মহামারিতে আক্রান্ত রোগী ও তাতে মৃত্যু হারের অনুপাত ছিল ০.১%। সেই তুলনায় চীনের হুবেই প্রদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণে এই অনুপাত ৫.৯%। দেশটির অন্যান্য প্রদেশে তা ০.৯৮%। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। এবং তারপর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। গত ৩১ মে'র মধ্যে দুই শতাধিক দেশ করোনায় আক্রান্ত হয় এবং ৯ জুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ লাখে। বহু দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
মধ্য চীনের উহান শহর থেকেই ছড়ায় করোনাভাইরাস। এরপরে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে দাবি করেছে বেজিং।
কিন্তু গাও ও তাঁর সহকর্মীরা সতর্ক করেছেন যে, ভাইরাসের চরিত্রের বৈশিষ্ট অনুযায়ী- সে দেশে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আসতে চলেছে শিগগিরই। গবেষকদের দাবি, চীনে গোষ্ঠীবদ্ধ সংক্রমণ না থাকলেও বিদেশ থেকে আমদানি হওয়া সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চীনের মোট জনসংখ্যা এর ফলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যতদিন না কোভিড১৯-এর টিকা আবিষ্কৃত হচ্ছে, বিশ্ব মহামারি ঠেকানোর জন্য চীনের একমাত্র উপায় স্থানীয় সংক্রমণ শূন্য বা কমপক্ষে ন্যূনতম হারে বেঁধে রাখা। তবে তার জন্য রোগীর সন্ধান করা, আইসোলেশন এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করলেই শুধু হবে না। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি ও সামাজিক স্তরে আরও বেশি সচেতনতা ও তৎপরতা।