ফারইস্ট ফাইন্যান্সের কাছে আটকে আছে বিআইপিডির ১.৮ কোটি টাকার এফডিআর

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টের (বিআইপিডি) ১.৮ কোটি টাকার আমানত মেয়াদপূর্তির পরও পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কাছে আটকে আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে বিআইপিডি।
বিআইপিডির কে এম মর্তুজা আলী বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স মোট ১.৮ কোটি টাকার ছয়টি এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্টস) অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। সবকটি এফডিআর ২০১৯ সালের ৩০ মের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ফারইস্ট ফাইন্যান্স তাদের কোনো অর্থ দেয়নি। এমনকি লভ্যাংশও দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিআইপিডি এ পর্যন্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে ৫৬টি পত্র দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি ২০২০ সালের পরে কোনো চিঠির জবাবও দেয়নি।
মর্তুজা আরও বলেন, ফারইস্ট ফাইন্যান্সে জমাকৃত অর্থ আদায়ে সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপও চেয়েছিল বিআইপিদি। 'এখন পর্যন্ত বিআইপিডি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর এবং ফিন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস বিভাগ বরাবর ৩৬টি পত্র ও ইমেইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।'
যোগাযোগ করা হলে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আলী জায়রাব দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আইনি জটিলতার কারণে তারা বিআইপিডি'র আমানতের অর্থ ফেরত দিতে পারছেন না।
তিনি বলেন, 'বিআইপিডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানসহ এর কয়েকজন পরিচালকের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকায় এনবিআর থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার কথা বলেছে। যেহেতু ওইসব ব্যক্তির সঙ্গে বিআইপিডির স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে, সে কারণে আমরা আইনি জটিলতায় ডিপোজিটের অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না।'
অর্থ পাচারের বিষয়টি নিয়ে মর্তুজা আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে যাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশনা ছিল, তারা একসময় বিআইপিডির পরিচালক ছিলেন। 'যদিও তারা নির্ধারিত শেয়ারের টাকা পরিশোধ না করায় পরবর্তীতে তারা আর পরিচালক হতে পারেননি।'
এনবিআরের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আদেশের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালকদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার কারণে প্রতিষ্ঠানের আমানত আটকে রাখার যোক্তিকতা নেই।