দুই মাস পর ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বাজেট সহায়তা পাওয়ায় দুই মাস পর ৩১ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ।
আজ সোমবার (২৬ জুন) ফরেক্স রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.১৫ বিলিয়ন ডলারে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল যা ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়।
এর আগে ২১ জুন রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়। অর্থাৎ, মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে তা ১ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, চলতি সপ্তাহে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, উভয়ের থেকেই থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার করে পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)-র থেকে পায় ১২৫ মিলিয়ন ডলার।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান যে, ঈদুল আজহার আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার ঘটনাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
১-২৫ জুনের মধ্যে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে আসে ২.০২ বিলিয়ন ডলার। ফলে চলতি অর্থবছরের ২৫ জুন পর্যন্ত মোট ২১.৪৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলার।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ১৩.৫৮ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাধারণত সরকারের এলসির অর্থ পরিশোধ ও অত্যাবশ্যক পণ্য আমদানির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'বর্তমানে আমাদের বাজার তারল্য রয়েছে প্রায় ৩.৬৪ বিলিয়ন ডলার, যা রিজার্ভে হিসাব করা হয়নি। এসব ডলার বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে আছে।'
এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)-কে গত মার্চ ও এপ্রিলের আমদানি বিল বাবদ ১.১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে সরকার। এতে গত ৮ মে রিজার্ভ কমে ২৯.৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
তবে ১০ মে ঘুরে দাঁড়ায় মুদ্রা রিজার্ভ, যা এদিন ৩০.৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। আগের দিনের ২৯.৭৮ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে যা ছিল লক্ষণীয় উন্নতি।