বিগত ৩ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি নির্বাচন কমিশনের

গত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার ইসির উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নমারসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, "ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলা নম্বর-১১, জিআর নম্বর-১৫৬/২০২৫ এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মেট্রো (উত্তর) অনুরোধে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তথ্য ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।"
জরুরি ভিত্তিতে এসব তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
গত ২২ জুন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, ওই তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), ১০ জন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সাবেক কর্মকর্তাসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর সাবেক দুই সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে, ১৬ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের ভূমিকা তদন্তে দ্রুত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মামলার পর পিবিআই তথ্য চাওয়ায় নির্বাচন কমিশন ওই কর্মকর্তাদের তালিকা সংগ্রহে এই উদ্যোগ নেয়।