রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদ্যাপন করতে পারেন সেজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এই ইফতারে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন।
ইফতারে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ নবী বলেন, 'এটা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের মুহূর্ত, যেখানে আমরা সরাসরি জাতিসংঘের মহাসচিব ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একত্রে ইফতার করতে পারব।'
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'প্রতি বছর রমজানে জাতিসংঘের মহাসচিব কোনো না কোনো দেশে গিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে ইফতার করেন। সৌভাগ্যবশত, এটি এবার বাংলাদেশে হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব দুস্থ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন এবং এর মাধ্যমে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে বিশ্বের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।'
এর আগে আজ দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে একটি বিশেষ বিমানে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তার সঙ্গে আরও ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীনসহ অন্যান্যরা।
বিমান থেকে নেমে প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে সম্প্রসারণ ও বর্ধিতকরণের কাজ পরিদর্শন করেন।
বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন বিয়াম ফাউন্ডেশনে যান। সেখান থেকে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, ছাত্র প্রতিনিধি ও এনজিও প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।