একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অধ্যাপক ইমতিয়াজকে নিষিদ্ধ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে – ঢাবির গণহত্যা অধ্যয়ন কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রোববার (৩০ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ দপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইমতিয়াজ আহমেদ রচিত 'হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন' শীর্ষক গ্রন্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে অবমাননা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। গ্রন্থটির লেখক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং প্রকাশক ইউপিএলকে গ্রন্থটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য সিন্ডিকেট সভা থেকে আহ্বান জানানো হয়। বইটিতে অসত্য তথা পরিবেশন ও ইতিহাস বিকৃতির তীব্র নিন্দা-জ্ঞাপন করে জড়িত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
গত ২৯ মার্চ একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত কলামে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে প্রকাশিত ইমতিয়াজের 'হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন' শীর্ষক বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে।
বিভিন্ন মহলে এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ২ এপ্রিল ইমতিয়াজ আহমেদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ এবং একটি উচ্চক্ষমতার তদন্ত কমিটি গঠন করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরীও সেখানে যোগ দেন।
এমন প্রেক্ষাপটে ১১ এপ্রিল ইমতিয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক পদ থেকে এবং ১৩ এপ্রিল অফিস অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেন উপাচার্য।