বিতর্কের মাঝেই মিস ইউনিভার্স থেকে দুই বিচারকের পদত্যাগ, একজনের দাবি ‘সবটাই সাজানো’
বিচার প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ তুলে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দু'জন বিচারক।
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর 'মিস ইউনিভার্স'-এর ৭৪তম আয়োজন এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে থাইল্যান্ডে। আগামী শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নতুন মিস ইউনিভার্সের নাম।
তবে তার মাত্র কয়েক দিন আগে, গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) অফিসিয়াল জুরি সদস্য লেবানিজ–ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফুশ ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে আট সদস্যের বিচারক প্যানেল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে হারফুশ দাবি করেন, '১৩৬টি অংশগ্রহণকারী দেশের মধ্যে থেকে ৩০ জন ফাইনালিস্ট বেছে নেওয়ার জন্য হুট করে একটি অস্থায়ী বিচারক প্যানেল গঠন করা হয়, যেখানে কোনও কোনো অফিসিয়াল বিচারক উপস্থিতি ছিল না।'
তার অভিযোগ, এই অনানুষ্ঠানিক বিচারক প্যানেলে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যাদের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা স্বার্থের সংঘাত রয়েছে। তবে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
হারফুশের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পরই ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার ক্লদ ম্যাকেলেলে 'অপ্রত্যাশিত ব্যক্তিগত কারণ' দেখিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এ বছরের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা শুরু থেকেই বিতর্কে ঘেরা। দুই সপ্তাহ আগে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের একজন কর্মকর্তার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার কয়েকজন প্রতিযোগী একটি প্রাক-প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে গিয়েছছিলেন।
তবে ওমর হারফুশের এই অভিযোগের জবাবে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তার দাবি প্রত্যাখ্যান করে। তারা জানায়, 'কোনো বাহ্যিক গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিদের মূল্যায়ন বা ফাইনালিস্ট নির্বাচনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।'
তারা আরও উল্লেখ করে যে,হারফুশ সম্ভবত 'বিয়ন্ড দ্য ক্রাউন' কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেছে, যা মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং এর একটি পৃথক নির্বাচন কমিটি রয়েছে।
