Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
October 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, OCTOBER 05, 2025
১০ রুপিরও কম পেনশন, ‘ঐতিহ্য কোটি টাকার’; আজও নিতে ছুটে আসেন ভারতীয় রাজবংশধররা

আন্তর্জাতিক

বিবিসি
05 October, 2025, 02:40 pm
Last modified: 05 October, 2025, 02:40 pm

Related News

  • এবার ভারতকে ‘যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচে কবর দেওয়া হবে’: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
  • খাগড়াছড়ি নিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন’: দাবি ভারতের
  • মধ্যপ্রদেশে সরকারি চাকরি হারানোর শঙ্কায় চতুর্থ সন্তানকে জঙ্গলে ফেলে দিলেন শিক্ষক
  • ভারতে ড. ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন অশোভন ও নিন্দনীয়: ধর্ম উপদেষ্টা
  • আর হিজিবিজি নয়; ভারতে ডাক্তারদের হাতের লেখা স্পষ্ট করতে বললেন আদালত

১০ রুপিরও কম পেনশন, ‘ঐতিহ্য কোটি টাকার’; আজও নিতে ছুটে আসেন ভারতীয় রাজবংশধররা

‘ওয়াসিকা’ শব্দটি ফারসি, যার অর্থ লিখিত চুক্তি। এটি মূলত সাবেক অযোধ্যা রাজ্যের নবাবদের বংশধর এবং সহযোগীদের জন্য মঞ্জুর করা একটি পেনশন। 
বিবিসি
05 October, 2025, 02:40 pm
Last modified: 05 October, 2025, 02:40 pm
ফয়াজ আলী খান আউধ রাজবংশের উত্তরাধিকারীদের দেওয়া ‘ওয়াসিকা’-র ১,২০০ জন প্রাপক মধ্যে একজন। ছবি: বিবিসি

ভারতের উত্তর প্রদেশের হুসেইনাবাদে উনিশ শতকে তৈরি পিকচার গ্যালারির দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে যান ৯০ বছর বয়সী ফৈয়াজ আলী খান। শহরটির রাজকীয় অতীতের সাক্ষী এই ভবন। বয়সের ভারে হাত কাঁপলেও চোখেমুখে অদ্ভুত এক দীপ্তি। তিনি এসেছেন তাঁর 'ওয়াসিকা' বা রাজকীয় পেনশন সংগ্রহ করতে।

'ওয়াসিকা' শব্দটি ফারসি, যার অর্থ লিখিত চুক্তি। এটি মূলত সাবেক অযোধ্যা রাজ্যের নবাবদের বংশধর এবং সহযোগীদের জন্য মঞ্জুর করা একটি পেনশন। 

১৮৫৬ সালে ব্রিটিশরা অযোধ্যা দখল করে নেওয়ার আগ পর্যন্ত নবাবরাই ছিলেন এই অঞ্চলের শাসক। ভারতে এখন আর রাজতন্ত্র নেই, নেই কোনো রাজকীয় সুযোগ-সুবিধাও। তবে রাজ্য ও রাজনৈতিক ক্ষমতা হারিয়ে গেলেও উত্তর প্রদেশ, কেরালা ও রাজস্থানের মতো কয়েকটি রাজ্যে এই পরিবারগুলোর জন্য কিছু পেনশন ব্যবস্থা এখনো টিকে আছে।

অযোধ্যার সাবেক শাসক মোহাম্মদ আলী শাহের আমলে তৈরি পিকচার গ্যালারির বাইরে দাঁড়িয়ে ফৈয়াজ আলী খান জানান, ১৩ মাস পর তিনি তাঁর পাওনা বুঝে নিতে এসেছেন। তিনি বলেন, 'দাদা-পরদাদার আমল থেকে আমরা এই ওয়াসিকা পেয়ে আসছি। পেনশনের অঙ্কটা এতটাই সামান্য যে টাকাটা নিতে বছরে মাত্র একবারই আসি।'

বাহু বেগম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ৪ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছিলেন। ছবি: বিবিসি

পেনশনের পরিমাণও যৎসামান্য—মাসে মাত্র নয় রুপি ৭০ পয়সা। কিন্তু তার পরিবারের কাছে এই টাকার চেয়েও বড় হলো সম্মান; একসময়ের সমৃদ্ধ অতীতের সঙ্গে টিকে থাকা এটাই শেষ যোগসূত্র। তার ছেলে শিকোহ আজাদের ভাষায়, 'যদি এক পয়সাও পাই, আমরা হাজার রুপি খরচ করে এসে তা নিয়ে যাব।'

বর্তমানে 'ওয়াসিকাদার' হিসেবে পরিচিত প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ এই পেনশন পেয়ে থাকেন। তবে এই পেনশনের পরিমাণ নির্দিষ্ট নয় এবং প্রজন্মের সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। যেমন, কোনো ব্যক্তি যদি ১০০ রুপি পেতেন, তার মৃত্যুর পর দুই সন্তানের মধ্যে তা ভাগ হয়ে প্রত্যেকে ৫০ রুপি করে পাবেন।

লখনউয়ের ইতিহাসবিদ রোশান তাকি জানান, ওয়াসিকা বিতরণের শুরু ১৮১৭ সালে। অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ-দৌলার স্ত্রী বহু বেগম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দুই কিস্তিতে ৪০ মিলিয়ন রুপি এই শর্তে ঋণ দিয়েছিলেন যে, তার আত্মীয় ও সহযোগীরা ঋণের সুদ থেকে মাসিক পেনশন পাবেন। 

এই ঋণগুলো ছিল চিরস্থায়ী, যার অর্থ মূল অর্থ কোম্পানিকে আর কখনো ফেরত দিতে হতো না। পরে আফগান যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য ব্রিটিশরা আরও কয়েকজন নবাবকে ঋণ দিতে বাধ্য করেছিল।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর বহু বেগমের দেওয়া ঋণের একটি অংশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। উত্তর প্রদেশের ওয়াসিকা কর্মকর্তা এসপি তিওয়ারির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে একটি স্থানীয় ব্যাংকে জমা থাকা প্রায় ২৬ লাখ রুপির সুদ থেকেই এই পেনশন দেওয়া হয়।

সমালোচকদের মতে, এই ভাতাগুলো সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার ধ্বংসাবশেষ এবং আধুনিক যুগে এর কোনো প্রাসঙ্গিকতা থাকা উচিত নয়। তবে সুবিধাভোগীরা এটিকে দেখেন ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির সম্মান হিসেবে।

প্রতি কয়েক মাস পর ফয়াজ আলী খানের ছেলে তাকে সঙ্গে নিয়ে তার পেনশন নিতে যান। ছবি: বিবিসি

আইনজীবী শহীদ আলী খান নিজেও এই পেনশন পান। তার দাদা ছিলেন নবাব মোহাম্মদ আলী শাহের মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'টাকা দিয়ে এই ওয়াসিকার পরিমাপ করা যায় না। এটাই আমাদের পরিচয়, যা কোটি টাকার চেয়েও দামী।' তিনি জানান, প্রতিবছর মহররম মাসের ঠিক আগে তিনি এই টাকা তোলেন এবং শুধুমাত্র ধর্মীয় কাজেই তা ব্যয় করেন।

তবে অনেকেই পেনশনের পরিমাণ বাড়ানোর পক্ষে। ফৈয়াজ আলী খান বলেন, 'নবাবদের আমল থেকে আমরা ৪ শতাংশ সুদে ওয়াসিকা পাচ্ছি, অথচ এখনকার ব্যাংকের সুদের হার এর চেয়ে অনেক বেশি।' তার ছেলে যোগ করেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, মাত্র নয় রুপি ৭০ পয়সা নেওয়ার জন্য আমাকে ৫০০ রুপির পেট্রোল পুড়িয়ে আসতে হয়।'

বিশেষজ্ঞরা জানান, মূলত এক তোলার (প্রায় ১১.৭ গ্রাম) বেশি ওজনের রুপার মুদ্রায় এই ওয়াসিকা পরিশোধ করা হতো। কিন্তু ভারতীয় মুদ্রায় অর্থ প্রদান শুরু হওয়ায় এর প্রকৃত মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যায়।

পেনশনের পরিমাণ সংশোধনের দাবিতে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন শহীদ আলী খান। তিনি বলেন, 'আমরা আদালতে প্রশ্ন তুলব, কেন ওয়াসিকা এখন আর রুপার মুদ্রায় দেওয়া হয় না। আর যদি রুপায় না-ই দেওয়া হয়, তবে অন্তত আজকের রুপার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা উচিত।'

শুধু ওয়াসিকার আর্থিক মূল্যই নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে ঘিরে থাকা জৌলুসও হারিয়ে গেছে। মাসুদ আবদুল্লাহর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই পেনশন পেয়ে আসছে। তিনি স্মরণ করেন, একসময় পেনশন সংগ্রহ করাটা ছিল উৎসবের মতো। বলেন, 'মানুষজন ঘোড়ার গাড়ি ও টমটমে চড়ে আসত। নারীরা পর্দাঘেরা পালকিতে করে আসতেন। সেই প্রথা এখন আর নেই।'

ফৈয়াজ আলী খানও তার বাবার মুখে শুনেছেন, ওয়াসিকা সংগ্রহ করাটা ছিল রীতিমতো এক মেলার মতো। 'সেখানে ফেরীওয়ালা বসত, খাবারের দোকানপাট থাকত আর পিকচার গ্যালারিতে জড়ো হতেন শত শত পেনশনভোগী,' বলেন তিনি। দীর্ঘশ্বাস ফেলে যোগ করেন, 'সেই পরিবেশটা আর এখন নেই।'

Related Topics

টপ নিউজ

ওয়াসিকা / রাজকীয় পেনশন / ভারতীয় রাজবংশধর / রাজবংশ / পেনশন / ভারত / রাজপরিবার / ভারতীয় রাজপরিবার / উত্তরপ্রদেশ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্পের ধারণাগত নকশা। ৮ দশমিক ০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি হবে বাংলাদেশের দীর্ঘতম ক্যাবল-স্টেইড সেতু। ছবি: সংগৃহীত
    বিদেশি অর্থায়নে গতি পাচ্ছে শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্প
  • কেওক্রাডং পাহাড় চূড়া থেকে দেখা যায় বম সম্প্রদায়ের দার্জিলিং পাড়া। ছবি: টিবিএস
    ৩ বছর পর খুলল অন্যরকম নিসর্গ কেওক্রাডং; ট্রেকিং নয়, গাড়িতে চড়েই যাওয়া যাচ্ছে চূড়ায়
  • প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
    ৫০ কোটি ডলার চুক্তির প্রথম চালানে যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ পাঠাল পাকিস্তান
  • অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?
    অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?
  • ছবি: মুমিত এম
    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ছে
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। স্কেচ: টিবিএস
    ব্যাংকিং খাতে ভালো এমডি পাওয়া কঠিন: গভর্নর 

Related News

  • এবার ভারতকে ‘যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচে কবর দেওয়া হবে’: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
  • খাগড়াছড়ি নিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন’: দাবি ভারতের
  • মধ্যপ্রদেশে সরকারি চাকরি হারানোর শঙ্কায় চতুর্থ সন্তানকে জঙ্গলে ফেলে দিলেন শিক্ষক
  • ভারতে ড. ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন অশোভন ও নিন্দনীয়: ধর্ম উপদেষ্টা
  • আর হিজিবিজি নয়; ভারতে ডাক্তারদের হাতের লেখা স্পষ্ট করতে বললেন আদালত

Most Read

1
শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্পের ধারণাগত নকশা। ৮ দশমিক ০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি হবে বাংলাদেশের দীর্ঘতম ক্যাবল-স্টেইড সেতু। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

বিদেশি অর্থায়নে গতি পাচ্ছে শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্প

2
কেওক্রাডং পাহাড় চূড়া থেকে দেখা যায় বম সম্প্রদায়ের দার্জিলিং পাড়া। ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

৩ বছর পর খুলল অন্যরকম নিসর্গ কেওক্রাডং; ট্রেকিং নয়, গাড়িতে চড়েই যাওয়া যাচ্ছে চূড়ায়

3
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

৫০ কোটি ডলার চুক্তির প্রথম চালানে যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ পাঠাল পাকিস্তান

4
অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?
বাংলাদেশ

অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?

5
ছবি: মুমিত এম
বাংলাদেশ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ছে

6
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। স্কেচ: টিবিএস
বাংলাদেশ

ব্যাংকিং খাতে ভালো এমডি পাওয়া কঠিন: গভর্নর 

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net