সুদানে ভূমিধসে ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু

পশ্চিম সুদানের প্রত্যন্ত মারা পর্বতমালায় ভূমিধসে অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি।
গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানায়, টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে রোববার এই ভূমিধস হয়। এতে তারাসিন গ্রামের বেশিরভাগ অংশই 'মাটির সঙ্গে মিশে গেছে', প্রাণে বেঁচেছেন মাত্র একজন। দলটি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-এর (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধের কারণে উত্তর দারফুর রাজ্য থেকে বহু বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে মারা পার্বত্য অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
দারফুরের সেনাপন্থী গভর্নর মিনি মিন্নাউয়ি এই ভূমিধসকে 'মানবিক বিপর্যয়' বলে অভিহিত করেছেন। সংবাদ সংস্থা এএফপির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এই সংকটময় মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ করে সহায়তা ও সমর্থন অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ এই বিপর্যয় একা মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের জনগণের নেই।'
প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, একটি পর্বতের পাশ থেকে দুটি গিরিখাত নিচের দিকে নেমে এসে এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। ওই জায়গাতেই ছিল তারাসিন গ্রাম।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ দেশটিকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগও উঠেছে।
গৃহযুদ্ধে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান রয়েছে। তবে গত বছর একজন মার্কিন কর্মকর্তা ধারণা করেছিলেন, ২০২৩ সালে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
ভূমিধসের এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মির বিভিন্ন গোষ্ঠী আরএসএফের বিরুদ্ধে সুদানের সেনাবাহিনীকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অনেক দারফুরবাসী মনে করে, আরএসএফ ও তাদের সহযোগী মিলিশিয়ারা জাতিগতভাবে মিশ্র এই অঞ্চলটিকে আরব-শাসিত এলাকায় পরিণত করার লক্ষ্যে যুদ্ধ চালাচ্ছে।