প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলায় উস্কানির পেছনে কারা, তদন্ত করে প্রকাশের দায়িত্ব সরকারের: আইরিন খান
জাতিসংঘের বিশেষ দূত আইরিন খান প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনাগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানো। তিনি সরকারকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নেপথ্যের দায়ীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
হামলার ঘটনাগুলোকে উস্কানি হিসেবে অভিহিত করে তিনি আরও বলেন, 'এটি একটি উস্কানি এবং এই উস্কানির পেছনে আসলে কারা রয়েছে তা তদন্ত করে প্রকাশ করার দায়িত্ব সরকারের।'
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত 'মব ভায়োলেন্স' বিরোধী এক প্রতিবাদ সভায় আইরিন খান এসব কথা বলেন।
আইরিন বলেন, 'আমরা যারা সাহস করে কথা বলছি এবং প্রতিবাদ করছি, মূলত আমাদের বিরুদ্ধেই এই আক্রোশ ঝাড়া হচ্ছে এবং উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আর সেই কারণেই আমি হাদি হত্যাকাণ্ড এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।'
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'ওসমান হাদিকে দিনদুপুরে হত্যা করা হয়েছে যেন আমাদের সবার মধ্যে একটি ভীতি সৃষ্টি হয়।'
শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের ওপর হামলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'জনগণের ক্ষোভকে (গণরোষ) একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে যেভাবে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ওপর হামলা করা হয়েছে, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। এর মাধ্যমে গণমাধ্যমে কর্মরত সবাইকে ভীত করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।'
আসন্ন নির্বাচনের আগে হাতে থাকা অল্প সময়ের মধ্যে সুশীল সমাজ এবং বিশেষ করে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত। তিনি বলেন, 'এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি একটি সুষ্ঠু, শান্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রক্ষা করতে চায়, তবে তাদের অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।'
