অনেকেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই বিচারকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করছেন: চিফ প্রসিকিউটর
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, 'দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই বিচার নয়। অনেকেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই বিচারকে মুখোমুখি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।'
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, 'র্যাবের যেসব কর্মকর্তাকে এখানে আসামি করা হয়েছে, তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির সুযোগ দিতে একটি আবেদন করেছিলেন একজন আইনজীবী। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। তবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই বিচারকে মুখোমুখি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। যা এই শুনানির সময় আমরা লক্ষ্য করেছি।'
তাজুল ইসলাম বলেন, 'তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেছেন যে এই বিচার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিচার নয়, তা আমরাও সুস্পষ্টভাবে বলেছি। কারণ সামরিক শৃঙ্খলার বাইরে থাকা অবস্থায় আসামিরা এসব মারাত্মক অপরাধ করেছেন। তখন তারা র্যাবে ছিলেন। এ সব অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলা হয়। সুতরাং তাদের পক্ষে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রার্থনা খারিজ করেছেন আদালত।'
তিনি বলেন, 'আদালত বলেছেন যে আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিকই সমান। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো গুরুতর। তাই সবাইকে সমান সুবিধা দেওয়া হবে। বিচারের সাজাপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা ইনোসেন্ট বিবেচিত হবেন। কিন্তু আসামি হিসেবে অন্যরা যে ধরনের সুবিধা ভোগ করেন, এর বাইরে নতুন কিছু পাবেন না তারা।'
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে র্যাবের টিএফআই সেলে বিরোধী মতাদর্শের লোকদের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করেছে প্রসিকিউশন।
তবে আসামিপক্ষে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
