আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোড়া খুন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রিফাত আহমেদ (২৫) ও তার সহযোগী লিমান মিয়াকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন এবং সাত রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর এবং নবীনগর উপজেলার থোল্লাকান্দি এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে র্যাব-৯ এর সদস্যরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের মোস্তাক আহমেদের ছেলে এবং লিমান একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। সোমবার বিকেলে র্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার মো. নূরনবী।
এর আগে গত ১ নভেম্বর বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়ার সময় স্থানীয় নূরজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা শিপন মিয়া (৩৮)-কে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিফাত। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শিপন এবং রেস্তোরাঁর কর্মচারী ইয়াছিন (২০) মারা যান। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন নূর আলম নামে আরও একজন।
পুলিশ জানায়, শিপন এবং রিফাত দুইজনই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ডাকাত বাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলছিল।
র্যাব-৯ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. নূরনবী জানান, রিফাতের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে- বেশিরভাগই ডাকাতির। আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরেই শিপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। তাকে উজানচরের খোসকান্দি এলাকায় তার মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর, তার তথ্যমতে সহযোগী লিমানকে নবীনগর উপজেলার থোল্লাকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর লিমানের তথ্যমতে তার ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন এবং সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
