মৃত্যুর ২৯ বছর পর সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তার প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা হক, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জনের নামে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে মামলাটির এজাহার আসে। এরপর এই এজাহার গ্রহণ করে ঢাকার রমনা মডেল থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল ইসলাম খন্দকারকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক জিন্নাত আলী এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর মধ্যরাতে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন: সামিরা হকের মা লতিফা হক লুসি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, ডেডিড, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আব্দুস ছাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সালমান শাহকে 'হত্যা' করেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, 'বাদীর ভাগিনা চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন সালমান শাহ (২৫) বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনায়ক। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টায় আমার বোন নিলুফার জামান চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরী এবং আমার বোন জামাতা কমর উদ্দীন আহমদ চৌধুরী ও তার ছোট ছেলে শাহরান শাহসহ নিউ ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর সঙ্গে দেখা করতে যান।ননীলা চৌধুরী ও শাহরানসহ তাদের গ্রামের বাড়ী সিলেট যাওয়ার কথা ছিল। আমার বোন ও বোন জামাতা গ্রীন রোডের বাসায় পৃথকভাবে বসবাস করতেন। তারা সালমানের ইস্কাটনের বাসায় যাওয়ার পর স্ত্রী সামিরা এবং কর্মচারী আবুল তাদেরকে জানায়, সালমান ঘুমাইতেছে। ঐ সময় চলচ্চিত্র প্রযোজক সিদ্দিক সালমান শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সালমান ঘুমিয়ে আছে। ঘুমে শুনে তার বাবা মা সালমানের স্ত্রী সামিরাকে বলেন, সিলেটে যাওয়ার পথে সালমানের সাথে দেখা করে যাব। এরপর তার বোন জামাতা ও সিদ্দিক তাদের গাড়ীতে করে ইস্কাটনের বাসা ত্যাগ করেন। ঘটনার দিন সাড়ে ১১ টার সময় প্রডাকশন ম্যানেজার সেলিম ফোন করে সালমান শাহর বাবাকে জানান, সালমানের যেন কি হয়েছে। খবর পেয়েই তারা বাসায় ছুটে যান। বাসায় গিয়ে দেখতে পান, সালমান তার বেড রুমে পড়ে আছে।'
অভিযোগে আরও বলা হয়, 'দুই-একজন বহিরাগত মহিলা তার হাতে, পায়ে তেল মালিশ করছে। রুবী নামে একটি মেয়ে বসে আছে। ঐ সময় সামিরা সালমানের মাকে বলেন বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। সালমানের বাবা ও মা সালমানকে নিয়ে হলি ফ্যামেলি হাসপাতালে যাওয়ার পথে গলায় দড়ির দাগ এবং তার মুখমন্ডল ও পা নীল দেখতে পায়। তখন সালমানের মা সালমানকে হলি ফ্যামিলি থেকে তাড়াহুড়া করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়। পরবর্তীতে
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সালমান শাহ বেশ কিছুক্ষণ আগে মারা গেছে বলে ডাক্তার নিশ্চিত করেন।'