ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের জামিন মঞ্জুর, কারামুক্তিতে বাধা নেই
রাজধানীর গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আফরোজা শিউলি এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী গোলাম নবী।
সেলিম প্রধানের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম শিহাব জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, অন্য মামলাতেও সেলিম প্রধান জামিনে থাকায় তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বারিধারার 'নেক্সাস ক্যাফে প্লেস' রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ নয়জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি সিসা, ৭টি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে গুলশান থানার উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব-১। পরে তার গুলশান ও বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়। ওই দিনই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এবং গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলাটি তদন্তাধীন।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ আদালত-৮ এর বিচারক মানিলন্ডারিং আইনে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদক আইনে আরও চার বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
