চাঁদাবাজি মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রাব্বিসহ ৫ জন কারাগারে

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব তৈরি করা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিসহ (২৮) পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো অন্য আসামিরা হলেন- আব্দুর রহমান মানিক, হাবিবুর রহমান ফরহাদ, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও মো. শাহিন হোসেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের পিসিপিআর যাচাই চলছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের সনাক্ত ও মূল রহস্য উদঘাটনে আসামিদের সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ রানা ও সুমন পারভেজ রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় আসামি মো. শাহিন তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের সেইফ হাসপাতালে আসেন। বাচ্চার অবস্থা খারাপ থাকায় কর্তৃপক্ষ অন্য হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেয়। তবে অনুরোধে সাড়া দিয়ে একপর্যায়ে হাসপাতালেই ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসার সময় নরমাল ডেলিভারিতে একটি মৃত সন্তান জন্ম নেয়।
এরপর বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনায় মামলা না করার শর্তে ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে হাসপাতালের মালিকের ছেলে মো. আবু সাইদের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হাসপাতালের মেশিন ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। একপর্যায়ে তারা সাইদকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। ভয়ে সাইদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
পরে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করতে থাকে আসামিরা। ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় তারা আরও ১ লাখ টাকা নেয় এবং অবশিষ্ট টাকা দ্রুত দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
চাঁদাবাজির ঘটনায় সেইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শিল্পী আক্তার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।