নিউইয়র্কে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত নেতারা দেশে ফেরার পর নিউইয়র্কে তাদের ওপর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সফররত উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (যুক্তরাষ্ট্র সময়) পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, 'আমরা উপদেষ্টারা এবং রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে সম্ভাব্য পদক্ষেপ এবং এগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'
নিউইয়র্ক সফররত উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন- আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে সোমবারের ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপি নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগী ও সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের সম্ভাব্য নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়টি আঁচ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিক পূর্বসতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করেছিল। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রতিনিধি দলকে প্রথমে নির্দিষ্ট ভিভিআইপি গেট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিশেষভাবে সুরক্ষিত পরিবহন ইউনিটে ওঠানো হয়। তবে অপ্রত্যাশিত ও শেষ মুহূর্তের ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রতিনিধি দলকে পথ পরিবর্তন করে বিকল্প নির্গমনপথ দিয়ে বের হতে হয়।
এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ভিভিআইপি প্রবেশাধিকার ও নিরাপত্তা-সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হলেও, দুঃখজনকভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে। এর ফলে প্রতিনিধি দলের ওই সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন। অনিচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে দ্রুত ও আইনানুগ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে।
সরকার জানিয়েছে, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রেখে বিদেশে দেশের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করবে।