নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলন, গুলিতে নিহত ১

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ (২ সেপ্টেম্বর) সকালের এ ঘটনায় আরও কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফরহান তানভিরুল ইসলাম।
নিহত শ্রমিকের নাম হাবিব ইসলাম (২০)। তিনি ইপিজেডের ইকো কোম্পানিতে কাজ করতেন। হাবিব নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।
শ্রমিকরা জানান, উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন কোম্পানির শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সকালে ইপিজেডের মূল গেটে অবস্থান নেন তারা। অন্য কোম্পানির শ্রমিকদের কাজে যোগদানেও বাধা দেন।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে হাবিব গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রমিকদের দাবি, নিহত হাবিব ইকো পলিথিন কোম্পানির কর্মী ছিলেন। রাতের ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পর শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা ইপিজেডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উৎপাদন টার্গেট কমানো, ওভারটাইম নিশ্চিত করা, যথাযথ ছুটি প্রদান, বেতন ও ভাতা সময়মতো পরিশোধ, আবাসন ও প্রমোশনের জটিলতা নিরসন, সকাল ৭টার আগে ডিউটি না রাখা, গর্ভবতী শ্রমিকদের বিশেষ সুবিধা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র সমস্যাকে কেন্দ্র করে চাকরিচ্যুতি না করা—এমন ২০ দফা দাবিতে গত চার দিন ধরে উত্তরা ইপিজেডে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকদের টানা আন্দোলনের পর গতকাল কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে।