রাউজানে বিএনপি নেতার গাড়িবহরে হামলা, আহত খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গোলাম আকবরসহ দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হামলার সময় গাড়ি ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার সীমান্ত পেরিয়ে রাউজানে প্রবেশের মুখে এ ঘটনা ঘটে। উত্তর জেলা বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে হালদা সেতুর সামনে বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর খন্দকার ও তার সঙ্গীরা।
দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাম আকবর খন্দকারের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এই দ্বন্দ্বে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে; যার মধ্যে খুনের ঘটনাও রয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় গোলাম আকবর খন্দকারের ব্যক্তিগত গাড়ি ও রাউজান থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তার অনুসারীদের চারটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং এর মধ্যে তিনটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা এই হামলার জন্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করছেন।
ঘটনার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন গোলাম আকবর খন্দকার। সেখানে তার গাড়ি ভাঙচুরের চিত্র এবং তার গলায় চোটের দৃশ্য দেখা যায়। বর্তমানে আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার অভিযোগ করে সাংবাদিকদের গোলাম আকবর বলেন, 'আজ সারাদিন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করেছে। আমি কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তারা বলেছিল, কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু রাউজানে ঢোকার সময় ৫০-৬০ জন লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ির ওপর হামলা চালায়।'
এ বিষয়ে জানতে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একইভাবে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমানের ফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।