পটিয়ায় পুলিশ-বৈষম্যবিরোধীদের সংঘর্ষ, ডিআইজি অফিসের সামনে সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে ডিআইজি অফিসের সামনে তারা জড়ো হয়। এরপর বেলা ৪টা থেকে খুলশী মূল সড়ক অবরোধ করেন।
এনসিপির সমন্বয়ক ইরফানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা ডিআইজির সঙ্গে কথা বলতে গেটে অপেক্ষা করেছি। তারা শুধু আমাদের একা যেতে বলেছে। আমরা মিডিয়াসহ সবার সামনে আলোচনা করতে বলেছি। নিচে এসে কথা বলতে বলেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি নিচে নেমে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন না, ততক্ষণ আমরা সড়ক ছাড়ব না।'
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে ডিআইজি স্যারের অফিসে গিয়ে কথা বলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা তা গ্রহণ করেনি।'
এদিকে, খুলশীতে সড়ক বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
নগরীর ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র তানজীরুল ইসলাম মাশরুর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে ( টিবিএস) বলেন, 'পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরতে গিয়ে আটকে গেছি। আমার বাসা পশ্চিম খুলশীতে। বাসায় ফিরতে পারছি না।'
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি।
এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে 'পুলিশি হামলার' প্রতিবাদে ও ওসির অপসারণের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
পরে তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড করে রাখে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বুধবার দুপুরে টিবিএসকে বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে মিছিল নিয়ে থানায় আক্রমণ করা হয়। জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। এসময় থানায় ৭-৮ জন আসামি ছিলেন। পুলিশসহ সবার নিরাপত্তা জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।'