আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতি দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে দ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, '৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে যে তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে, তখন উপায় দুটি—একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে অবস্থান জানিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। সেটি ৫ আগস্টেই ঘটেছে।'
তিনি দাবি করেন, 'দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, যেখানে জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না—এই আলোচনা অবান্তর। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের আইনি পরিণতি কী হবে।'
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ ঘটানোর পক্ষে মত জানিয়ে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমে তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাওয়া সম্ভব।'
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে এবি পার্টি বিভিন্ন সময় আমাদের সাহায্য করেছে। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সহযোগিতা করেছে।'
বর্তমান রাজনৈতিক আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'রাজনীতি এখন এগোচ্ছে তিনটি বিষয় ঘিরে—সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে-অন্যের পরিপন্থী নয়। বরং এই তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব।'
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সব রাজনৈতিক দলই সংস্কারের কথা বলছে। একটি মৌলিক সংস্কারের জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব। তা না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।'
নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে সবসময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস জরুরি। তা না হলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের চেষ্টাও সফল হবে না।'