Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
May 13, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, MAY 13, 2025
মাতৃত্বই নারীর জীবনের একমাত্র পরিচয় নয়

মতামত

জান্নাতুল নাঈম পিয়াল
09 May, 2021, 01:05 pm
Last modified: 14 November, 2021, 05:00 pm

Related News

  • তিনি মা দিবস প্রবর্তন করেন—তারপর বাকি জীবন এর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন
  • এসএসসি পরীক্ষায় সন্তানদের এ সাফল্য আমাদের কাছে মা দিবসের উপহার 
  • ১০৪ বছর পর বাড়ি এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকের মা দিবসে লেখা চিঠি
  • মা দিবসের এমন বাণিজ্যিকীকরণ চাননি দিবসটির বিস্মৃত স্রষ্টা অ্যানা জারভিস
  • কৈশোরে গর্ভাধারণ ও মাতৃত্বের হার বেড়েছে শহরাঞ্চলে: সমীক্ষা

মাতৃত্বই নারীর জীবনের একমাত্র পরিচয় নয়

কোনো ব্যক্তিবিশেষ যদি তার নিজের মতো করে নিজের জীবনে সুখী হন, সেখানে তো বাইরের কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।
জান্নাতুল নাঈম পিয়াল
09 May, 2021, 01:05 pm
Last modified: 14 November, 2021, 05:00 pm
চীনা চিত্রশিল্পী শিজুন মুনসের 'সানশাইন মাদার অ্যান্ড চাইল্ড' চিত্রকর্মের অংশবিশেষ

"যেখানেতে দেখি যাহা
মা-এর মতন আহা
একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,
মায়ের মতন এত
আদর সোহাগ সে তো
আর কোনখানে কেহ পাইবে ভাই!"

মাকে নিয়ে এই পংক্তিগুলো আমাদের সকলেরই খুব পরিচিত। বেরিয়েছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কলম থেকে। আসলেই তো, গোটা ত্রিভুবনে মায়ের চেয়ে আপন আর কে আছে! কে-ই বা আমাদের ভালোবাসে মায়ের মতো! মা তো শুধু আমাদের নয় মাস গর্ভেই ধারণ করেন না কিংবা স্তন্য পান করান না, সেই সঙ্গে আমাদের সযত্নে লালন-পালন করেন, মাথা উঁচু করে বিশ্বসংসারে দাপিয়ে বেড়ানোর উপযোগী করে তোলেন। সেজন্যই মাকে নিয়ে আমাদের আবেগের কোনো কমতি নেই। নিজেদের মনের সবটুকু আবেগ ঢেলে দিই আমরা মাতৃ-বন্দনায়। তার সাথে তুলনা করতে পারি না আর কারোই। মা, সে তো এক ও অদ্বিতীয়!

যদিও বছরের প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য মা দিবস, তারপরও বছরের বিভিন্ন দিন সাড়ম্বরে পালিত হয় মা দিবস হিসেবে। যেমন মে দিবসের দ্বিতীয় রোববার হিসেবে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ৯ মে পালিত হচ্ছে মা দিবস। ইতোমধ্যেই মা দিবস নিয়ে অজস্র পোস্টে সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া। অনুমান করতে পারি, কেবল ভার্চুয়াল জগতেই মাতৃপ্রেমকে সীমাবদ্ধ না রেখে, বাস্তবজীবনেও সবাই নিজের মায়ের প্রতি ব্যক্ত করছেন নিজেদের ভালোবাসার অনুভূতি। কিংবা যাদের মা গত হয়েছেন, তারাও সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করছেন জন্মদাত্রীকে। 
তবে আজকের এই আলোচনার বিষয়বস্তুর বিবর্তন কেবল মা দিবসকেই কেন্দ্র করে নয়। তুলনামূলক কম বা একেবারেই আলোচিত হয় না, কিন্তু হওয়া প্রয়োজন, এমন একটি প্রসঙ্গের অবতারণা করতে চাই আজ। সেটি হলো: মাতৃত্বই কি একজন নারীর জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য? কেবল এবং কেবল যদি মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন, তাহলেই কি জীবনে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করেন একজন নারী? নতুবা অসম্পূর্ণ থেকে যায় তার একটি গোটা মানবজীবন?

এমন প্রশ্নে অনেকেই হয়তো অবাক হচ্ছেন। কেউ বা হচ্ছেন রাগান্বিত। কিন্তু এই ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে এমন প্রশ্ন যে শুধু প্রাসঙ্গিকই নয়, অতিমাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা আমি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলতে পারি। এই প্রশ্নটি এলো, কেননা বিভিন্ন সময়েই মাতৃত্বের স্তুতি গাইতে গিয়ে এমন একটি ধারণা বা মানসিকতার বাতাবরণ তৈরি করা হয় যেন মা হওয়াটা একজন নারীর জন্য তার মানুষ পরিচয়ের চেয়েও অনেক উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত। 

আসলেই কি তা-ই? নারী মানে কি শুধুই মায়ের জাত? এছাড়া তার আর কোনো আত্মপরিচয় থাকতে পারে না? অন্য আর কোনো পরিচয়ের তিনি পরিচিত হতে পারেন না? জীবনের প্রথমাংশে 'অমুকের মেয়ে', পরের অংশে 'অমুকের বউ', এবং তারপর থেকে মৃত্যু অবধি 'অমুকের মা' হিসেবে সম্বোধিত হওয়াই কি তার নিয়তি? 

অবশ্যই তা নয়। হতে পারে মাতৃত্ব একজন নারীর জীবনের এক অমূল্য, অবিস্মরণীয়, অতুলনীয় মুহূর্ত। কিন্তু এটি কি তার জীবনের একমাত্র গন্তব্য? কখনোই নয়। মাতৃত্ব তার জীবনের অন্য অসংখ্য পরিচয়, কৃতিত্ব কিংবা অর্জনের একটি মাত্র। কোনো নারী চাইতেই পারেন মাতৃত্বকে নিজের জীবনের প্রধান পরিচয় করে তুলতে। কিন্তু সেটি কেবলই ওই নির্দিষ্ট নারীর ব্যক্তিগত পছন্দ, যার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তবে বাই-ডিফল্ট মাতৃত্বই সকল নারীর জীবনের প্রধানতম পরিচয় নয়। ফলে মাতৃত্বের মাপকাঠিতে কোনো নারীর সামগ্রিক জীবনকে বিচার করা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না।

প্রথমেই আসা যাক চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রসঙ্গে। নারী মাত্রই মা হতে পারবেন, এই ধারণাটিই যেখানে ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবেই বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারেন অনেক নারী-পুরুষ। বন্ধ্যাত্ব মানে হলো, পুরো এক বছর অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পরেও গর্ভধারণে ব্যর্থ হওয়া। এক্ষেত্রে দায়ী হতে পারেন নারী ও পুরুষের যেকোনো একজন, কিংবা উভয়ই। তবে পুরুষের চেয়ে নারীর বন্ধ্যাত্বই প্রকাশিত হয় বেশি, কেননা নারীকেই যে তার গর্ভে সন্তান ধারণ করতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে যেহেতু বন্ধ্যাত্বকে ঘিরে গোপনীয়তা কম, তাই শুরুতে তাদের উদাহরণই দেওয়া যাক। সেখানে ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ১০ শতাংশ নারীর বন্ধ্যাত্বের প্রতিবেদন রয়েছে। এছাড়া ২০১৫ সালের এক জরিপ থেকে দেখা গিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ৪৮.৫ মিলিয়ন দম্পতির বন্ধ্যাত্বের অভিজ্ঞতা হয়েছে। ২০২০ সালের আরেক হিসেব থেকে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ১৫ শতাংশ দম্পতিকেই গর্ভধারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এবার যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে নজর ফেরাই, তাহলে ২০১৮ সালের ওয়ার্ল্ড ইনফার্টিলিটি সার্ভে থেকে জানতে পারি, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সামগ্রিকভাবে ৪ শতাংশ নারী, এবং ৪৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ নারী সম্ভাব্য বন্ধ্যাত্বের শিকার। 

খেয়াল করে দেখুন, উন্নত বিশ্বে যদিও বা নারী-পুরুষ উভয়েরই সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার পরিসংখ্যান রয়েছে, বাংলাদেশে তা কেবলই নারীদের জন্য প্রযোজ্য। কেননা আমাদের দেশে যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো দম্পতির সন্তান না হলে অভিযোগের আঙ্গুলটি অবধারিতভাবে নারীর দিকেই তোলা হয়। শুধু তা-ই নয়, ওই নারীকে 'বন্ধ্যা' বা 'বাঁজা' অপবাদ দিয়ে সারাজীবন সামাজিকভাবে অপদস্ত বা হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়। এছাড়া স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্য কর্তৃক অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও রয়েছে। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বকে এদেশে অনেকসময় স্বামীর বহুবিবাহ কিংবা স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের প্রধান কারণ হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়। এবং এই সবগুলো বিষয় এতটাই গা-সওয়া হয়ে গেছে যে, এগুলো নিয়ে কথা বলার মতো মানুষ পাওয়াই দুষ্কর! 

আমাদের দেশে অবস্থাটা এমন যে, বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে কোনো নারীর গর্ভে যদি সন্তান না আসে, সেক্ষেত্রে দায় তার থাকুক বা না থাকুক, সমাজ-সংসার তাকে এমনভাবে চেপে ধরে যেন তার মতো অকর্মণ্য, অপদার্থ আর কেউ হতেই পারে না। প্রতি পদে পদে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু সে মা হতে ব্যর্থ, তাই পৃথিবীতে তার উপযোগিতাও শূন্য। এখন হয় তাকে স্বামীর ঘরে সেবাদাসী হয়ে বাঁচতে হবে, নয়তো গলায় দড়ি দিয়ে মরতে হবে!

তাছাড়া প্রাকৃতিকভাবে বন্ধ্যাত্বই নারীদের একমাত্র অভিশাপ নয়। অভিশাপ বিয়ের পরপরই মা হওয়ার চাপ কাঁধে চাপিয়ে দেয়াও। এদেশে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় যে কোনো নারীর বিয়ে হওয়ার পর থেকেই তাকে বারবার হতে হচ্ছে এক অভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন, 'বাচ্চা নেবে কবে?' আরো নানাভাবে তাকে বোঝানো হয়, যত তাড়াতাড়ি বাচ্চা নেয়া হবে, ততই মঙ্গল। দেরি করা একদমই ঠিক হবে না, কেননা ৩০-এর পর বাচ্চা নিতে গেলে নাকি অনেক জটিলতা রয়েছে। কোনো নারী যদি আগে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় কিংবা নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে নিতে চায়, তাহলেও তাকে হরেক রকম অকথা-কুকথা শুনতে হয়। 'মেয়েদের আবার চাকরি করে, ক্যারিয়ার গড়ে কী হবে? বিয়ে হয়েছে, এবার বাচ্চা জন্ম দিয়ে তাদের মানুষ করলেই তো পারো!'

এখানেই শেষ নয়, সন্তান জন্ম দেয়ার পরও যদি কোনো নারী চাকরি করতে চায় কিংবা নিজের কর্মস্থলে ফিরতে চায়, সেক্ষেত্রেও তাকে পদে পদে গঞ্জনা শুনতে হয়। 'বাচ্চার মা হয়েছ, এখন আবার এসব কেন? স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাইরে কাজ করলে বাচ্চাদের মানুষ করবে কে?' অর্থাৎ এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় যেন সন্তানদের দেখভাল বা লালন-পালনের দায়ভার পুরোটাই মায়ের উপর, বাবার কোনো দায়িত্বই নেই। 

এরকম বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে অনেক নারীর কাছেই মাতৃত্ব জীবনের পূর্ণতা বা প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকে না, বরং তা হয়ে ওঠে নিজের স্বকীয়তাকে, নিজের স্বপ্ন-প্রত্যাশাকে চিরতরে বিসর্জনের নেপথ্য কারণ। নিজে থেকে যারা সন্তানের কথা ভেবে কর্মজীবনকে বিদায় বলেন, তাদের কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু এদেশের ঘরে ঘরে এমন লক্ষ লক্ষ মাকেও পাওয়া যাবে, যারা নিজেদের ইচ্ছায় মাতৃত্বকে জীবনের একমাত্র পেশা হিসেবে বেছে নিতে রাজি ছিলেন না, কিন্তু সমাজ-সংসার তাদের ওপর এটি চাপিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশের নারীদের জন্য যেখানে মা হওয়াটাই একমাত্র ভবিতব্য, এ ব্যাপারে তাদের কোনো ইচ্ছা-অনিচ্ছাই থাকতে পারে না, সেখানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ক্রমাগত মাতৃত্বের হার কমছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে প্রতি ১,০০০ নারী গড়ে ৫৬টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় দেশটিতে শিশুর জন্মহার কমেছে ৪ শতাংশ। এবং ১৯৭৯ সাল থেকে শিশুর জন্মহারের হিসেব সংরক্ষণের সূচনার পর থেকেও এ সংখ্যা সর্বনিম্ন। এভাবে শিশুর জন্মহার হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, দেশটির অনেক নারীই মা হতে ইচ্ছুক নন। মা না হয়েই তারা সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাইছেন। কিংবা আরো পরে মা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

শুধু তারাই নন, ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এ চিত্র লক্ষণীয়। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও অনেক নারীই বিয়ের সাথে সাথেই মা হতে ইচ্ছুক নন। তাদের মতে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন বয়স ৪০-এর কোঠায় গেলেও মা হওয়া সম্ভব। সুতরাং এত তাড়াহুড়োর কী আছে!

আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধারণাটি প্রায় অপ্রচলিত। শুনেই হয়তো অনেকে চোখ কপালে তুলছেন, 'একজন নারী সারাজীবন নিঃসন্তান থেকে যাবেন কিংবা বয়স ৪০-এর পর হলে মা হবেন, তা কি সম্ভব নাকি!' কিন্তু বাস্তবতা হলো, দুটোই সম্ভব।

প্রথমে আজীবন নিঃসন্তান থাকার প্রসঙ্গেই আসা যাক। সকল নারীকেই জীবনে মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কি রয়েছে? কোনো নারী যদি মানসিকভাবে মাতৃত্বের জন্য প্রস্তুত না হন, কিংবা মনে করেন তিনি মা হয়ে সুখী হবেন না, তাহলে কেন তাকে সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসারে মা হতেই হবে? মা না হয়েও তো ওই নারী নিজের জীবনে উল্লেখযোগ্য আরো অনেক কিছুই করতে পারেন, নিজের স্বকীয় পরিচয় গড়ে তুলতে পারেন, নিজের মতো করে জীবনকে সাজাতে পারেন, সর্বোপরি, নিজের জীবনে সুখী হতে পারেন।

কোনো ব্যক্তিবিশেষ যদি তার নিজের মতো করে নিজের জীবনে সুখী হন, সেখানে তো বাইরের কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।

এবার আসি বয়স ৪০-এর পর মাতৃত্ব নিয়ে। শুনতে যতই অসম্ভব মনে হোক, বাস্তবিক প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ নারীই এই বয়সের পর মা হচ্ছেন, এবং সুস্থ নবজাতক শিশুরই জন্ম দিচ্ছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের আশীর্বাদে সম্ভব হচ্ছে এটি। তবে ৪০-এর পরই না হোক, কোনো নারী তো চাইলে বয়স ৩০ বা ৩৫ হওয়ার পরও মা হওয়ার মনস্থির করতেই পারেন, তাই না? নিঃসন্দেহে সকল নারীর শরীর এক নয়, এবং বিলম্বে মা হলে তাদের নিজেদের এবং সন্তানদের নানাবিধ জটিলতার মধ্য দিয়েই যেতে হতে পারে। কিন্তু এ বিষয়গুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক-আপের মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া, এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব।

তাছাড়া কোনো নারীর শরীর যদি অনুমতি দেয়, সেক্ষেত্রে তার বিলম্বে মা হওয়ার সুবিধাও তো নেহাত কম নয়। একাধারে তিনি নিজের ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে পারছেন, অর্থনৈতিকভাবে স্থিত হতে পারছেন, মানসিকভাবে পরিণত হতে পারছেন, এবং সন্তান জন্মদানের পূর্বেই নিজের ব্যক্তিগত অনেক আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করে ফেলতে পারছেন, যা অনেক নারীর পক্ষেই মা হওয়ার পর সম্ভব হয় না। সুতরাং, যদি অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়, একজন নারী কেন নিজেকে বঞ্চিত করবেন সেই মিষ্টতা থেকে? 

একজন নারীর জীবনে মাতৃত্বের বাইরেও আরো অনেক কিছু রয়েছে, ঠিক যেমন রয়েছে একজন পুরুষেরও। কেননা নারী বা পুরুষ হওয়ার পূর্বে তারা তো মানুষ। ফলে জেন্ডার অনুযায়ী তাদের উপর কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন, এবং সেই ভূমিকাতেই আজীবন সীমাবদ্ধ থাকার শর্ত চাপিয়ে দেয়া অনুচিত। এই বিষয়গুলো এখন সকলেরই উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

মনে রাখা প্রয়োজন, নারী কেবল মা-ই নন, তিনি সবকিছু! 

  • লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Related Topics

টপ নিউজ

মা দিবস / মাতৃত্ব

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • মধ্যরাতে অধ্যাদেশ জারি করে বিলুপ্ত এনবিআর, ক্ষুব্ধ কাস্টমস ও ট্যাক্স কর্মকর্তারা
  • ব্যবসার ওপর আরও চাপ আসছে, সরকারের ন্যূনতম কর প্রায় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা
  • লোকসান কাটিয়ে উঠতে ৯০০ কোটি টাকার সরকারি সহায়তা চাইছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল
  • লোডশেডিং কমাতে আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করবে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আ.লীগের বিরুদ্ধে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিতে পারবে
  • হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় ১০ মাসেই ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড

Related News

  • তিনি মা দিবস প্রবর্তন করেন—তারপর বাকি জীবন এর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন
  • এসএসসি পরীক্ষায় সন্তানদের এ সাফল্য আমাদের কাছে মা দিবসের উপহার 
  • ১০৪ বছর পর বাড়ি এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকের মা দিবসে লেখা চিঠি
  • মা দিবসের এমন বাণিজ্যিকীকরণ চাননি দিবসটির বিস্মৃত স্রষ্টা অ্যানা জারভিস
  • কৈশোরে গর্ভাধারণ ও মাতৃত্বের হার বেড়েছে শহরাঞ্চলে: সমীক্ষা

Most Read

1
বাংলাদেশ

মধ্যরাতে অধ্যাদেশ জারি করে বিলুপ্ত এনবিআর, ক্ষুব্ধ কাস্টমস ও ট্যাক্স কর্মকর্তারা

2
অর্থনীতি

ব্যবসার ওপর আরও চাপ আসছে, সরকারের ন্যূনতম কর প্রায় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা

3
বাংলাদেশ

লোকসান কাটিয়ে উঠতে ৯০০ কোটি টাকার সরকারি সহায়তা চাইছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল

4
বাংলাদেশ

লোডশেডিং কমাতে আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করবে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা

5
বাংলাদেশ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আ.লীগের বিরুদ্ধে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিতে পারবে

6
অর্থনীতি

হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় ১০ মাসেই ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net