নির্বাচনে জিতেই পাশ্চাত্য ইস্যুতে রাইসির কঠোর মনোভাব: বাস্তবতা কী বলছে?

সম্প্রতি ইরানের ক্ষমতার পালাবদলে পাশ্চাত্যের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে সে প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। মধ্যপন্থী হাসান রুহানির উত্তরসূরি হিসেবে চলতি বছরের আগস্টে প্রেসিডেন্সি ক্ষমতা বুঝে নিতে চলেছেন নবনির্বাচিত কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এমন একটি সময়ে এই কট্টরবাদী নেতা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন যখন ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্যের পারমাণবিক আলোচনা চলছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়। পারমাণবিক এই চুক্তির উপরেই অনেকটা নির্ভর করবে ইরানের পরবর্তী সরকারের বিদেশনীতি এবং দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।
২০১৫ সালে যখন রুহানি প্রশাসন পাশ্চাত্যের সঙ্গে ছয় জাতি পারমাণবিক চুক্তিতে যেতে সক্ষম হয়েছিল, তখন এটা ইরানের জনগণ নিজেদের জন্য জয় হিসেবেই দেখেছিলো। কেনোনা তারা এ চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছিলো। ফলে হাসান রুহানি তার সুনামের সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালেও বিপুল পরিমান ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়ে ইরানের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ইরান আবারও বিপাকে পড়ে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একতরফা চুক্তি বাতিলের ফলে সেসময়ে রুহানি প্রশাসনের বেশ কড়া সমালোচনা করেছিলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাইসি। তাই এখন চলমান পারমাণবিক আলোচনা চূড়ান্ত হতে কতদিন সময় নিবে, আলোচনা রুহানি শাসনামলেই শেষ হবে নাকি আগস্ট পর্যন্ত গড়াবে কিংবা রুহানি সরকার চূড়ান্ত কিছুতে পৌঁছে গেলেও চুক্তির শর্তসমূহ রাইসি প্রশাসন কতটুকু আন্তরিকতার সঙ্গে মেনে চলবে তা বড় উদ্বেগের প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের সামনে। তাছাড়া চুক্তির শর্ত নির্ধারণে পাশ্চাত্যের কাছে রাইসির ইমেজ কেমন সেটাও বড় ধরণের ভূমিকা পালন করবে।
১৯৬০ সালে ইরানের মাশহাদে জন্ম নেয়া বর্তমানে ষাট বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি মাত্র বিশ বছর বয়সেই দেশটির বিচারবিভাগে যোগদান করেছিলেন। অল্প বয়স হতেই তিনি অভূতপূর্ব সাফল্যের অধিকারী। ধীরে ধীরে দেশের রাজনীতিতে তার পদার্পণ ঘটে এবং একই সঙ্গে তিনি ইরানের বর্তমান আয়াতুল্লাহ (শিয়া সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা) আলি খামেনির খুবই ঘনিষ্ট আস্থাভাজন একজন ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। ধারণা করা হয়, আলি খামেনির পরে তিনিই হবেন ইরানের আয়াতুল্লাহ। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রথম সোপান হিসেবেই তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
যদিও রাইসি গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশটির ক্ষমতায় এসেছেন, তথাপি তাকে নিয়ে ও দেশটির এবারের নির্বাচন নিয়ে উঠেছে বেশ কিছু বিতর্ক। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হলো, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরে এবারের নির্বাচনেই সবচেয়ে কম, মাত্র ৪৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এছাড়া এবারের নির্বাচনেই সবচেয়ে বেশি ভোট বাতিল হয়েছে, যার সংখ্যা ৭০ লাখের উপরে। গুঞ্জন রয়েছে, রাইসিকে টক্কর দেওয়ার মত অনেক প্রার্থীকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি এবার। প্রাথমিকভাবে ৭ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪ জন চূড়ান্তরূপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। ফলে পছন্দের প্রার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় জনগণের একটি বৃহৎ অংশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। যে পরিমাণ ভোট পড়েছে তার ৬২ শতাংশ পেয়ে জয়লাভ করেছেন ইব্রাহিম রাইসি।
রাইসিকে নিয়ে দ্বিতীয় বির্তক হলো, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একজন "ব্যাক্ললিস্টেড ব্যক্তি"। তিনি ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাছ থেকেই দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। রাইসির বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পূর্বে যারা সশস্ত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলো তাদের উপর পরবর্তীতে এক অমানবিক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালানো হয় এবং তার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, রাইসির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী যে অভিযোগ আছে তা যেনো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়। সুতরাং ধরে নেয়া যায়, ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সম্পর্ক নির্ধারণে এই দুটি ইস্যু অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে এমন আভাসও পাওয়া গিয়েছে।
পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরতে ভিয়েনায় যে আলোচনা চলছে সেখানে পাশ্চাত্যের দাবি ইরানকে আগে শর্ত মানতে হবে তবেই ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামানি সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এখন আর পাশ্চাত্য তথা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করেন না। নিষেধাজ্ঞা শুরুতেই উঠিয়ে নিয়ে চুক্তিকে ইরানের জন্য সহজ করতে হবে এবং ইরানও নির্ধারিত শর্ত মেনে চলবে।
এদিকে ইব্রাহিম রাইসির বিজয়ের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উপর কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি পারমাণবিক চুক্তির প্রতি ইতিবাচকতা দেখালেও সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তেহরানের উপর থেকে ওয়াশিংটন সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলেও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনায় বসবেন না। রাইসির এমন কট্টরবাদী মন্তব্যে চুক্তির শর্ত ইরানের জন্য কতখানি ভারবাহী হবে তা আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বোঝা যাবে।
মাসখানেক পূর্বেই আঞ্চলিক চির শত্রু সৌদি আরব ইরানের উপর কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছিলো। ইরানকে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সম্বোধন করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন পারস্পারিক স্বার্থের জায়গা থেকে সৌদি-ইরান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলবে। কিন্তু নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাইসি জয়লাভের দুইদিনের মাথায়ই সৌদি আরবকে আঞ্চলিক শত্রু আখ্যা দিয়ে ইয়েমেনে হুতি আক্রমণ বন্ধের হুশিয়ারি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, আবার আরেক বৈরী রাষ্ট্র ইসরায়েলও পাশ্চাত্য দেশগুলোকে ইরানের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। ইসরায়েলের নবনির্বাচিত কট্টরপন্থী প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত পশ্চিমা দেশগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, "এটাই হচ্ছে বিশ্ব শক্তির জেগে ওঠার শেষ সুযোগ...এবং উপলব্ধি করা যে, তারা কার সঙ্গে আলোচনা করছে।"
শাহ পরবর্তী শাসনামল থেকে অর্থাৎ, আশির দশকের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান পাশ্চাত্য দেশগুলোর এবং তাদের মিত্রদের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। ইরানের যেই পারমাণবিক কার্যক্রম পঞ্চাশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই শুরু হয়েছিলো সেই পারমাণবিক কার্যক্রম ঠেকাতে পশ্চিমা শক্তি তথা যুক্তরাষ্ট্রই এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে ইরান খুব ভালোভাবেই জানে, অর্থনীতি বা সমর শক্তি কোনো দিক দিয়েই ইরান পশ্চিমাদের সমকক্ষ হতে পারবে না এবং মুখোমুখি লড়াইয়ে জিততে পারবে না। তাই এখানে দেশটি এক অন্যরকম কৌশল অবলম্বন করে এগিয়ে চলেছে। ইরান বহু বছর ধরে তার পশ্চিমা ও আঞ্চলিক বৈরী রাষ্ট্রগুলোর কাছে সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিবেচিত এমন বেশকিছু গ্রুপকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দিয়ে থাকে। লেবাননের হেজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস, ইয়েমেনের হুতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইরানের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাবাহিনী ও সৌদি আরবের অন্যতম চক্ষ্যুশূল সিরিয়ার বাশার আল-আসাদকেও সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে ইরান। প্রেসিডেন্ট আসাদের কল্যাণে ইরান সিরিয়াতে বেশকিছু সামরিক ঘাঁটিও স্থাপন করেছে, যা ইসরায়েলের প্রধান উদ্বেগের কারণ। ইসরায়েলের দাবি, এসব ঘাঁটি থেকে প্রায়শই ইরান ইসরায়েল দখলকৃত সিরিয়ান গোলান মালভূমিতে নাশকতা চালায়। আবার গোলাম মালভূমি থেকে ইসরায়েলও ইরানের ঘাঁটিতে হামলা করে থাকে। মূলত এসব কারণেই ইসরায়েল কখনো চায়না ইরানের কাছে পারমাণবিক শক্তি থাকুক। কোনো চুক্তি বা আলোচনা নয় বরং সরাসরি প্রতিরোধের মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা হোক ইসরায়েল বরাবর এমনটাই চায়। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পরে তার চেয়েও বড় কট্টরবাদী নেতা বেনেত আরও তীব্রভাবে এমনটাই চাইছেন।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর যখন নেতানিয়াহু বুঝতে পেরেছিলেন বাইডেন প্রশাসন ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বেই ইসরায়েল ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাখরিজাদেহকে হত্যা করে। এছাড়া ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্র নাতাঞ্জে নাশকতা চালানোরও অভিযোগ আছে ইসরায়েরলের বিরুদ্ধে। এখানে এতসব আলোচনার উদ্দেশ্য এটা বোঝানো যে, ইরান-ইসরায়েল বহু বছর ধরে যে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে আসছে তা হয়ত এখন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে উভয় দেশের কট্টরবাদী নেতাদের কল্যাণে। আর সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাছের মিত্র।
তবে নতুন প্রেসিডেন্ট রাইসির হাত ধরে তেহরান যতই কট্টরবাদীতা প্রদর্শন করুক না কেনো, বাস্তবিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে পশ্চিমাদের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়া ছাড়া ইরানের কাছে আর কোনো বিকল্প পথ আপাতত নেই।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ইরানের হাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানি খাতের পতনের ফলে গত বছর মাত্র ৪০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকছি। এর মধ্যে আবার ২০১৯ সালে সরকার একতরফাভাবে পেট্রোলের দাম বাড়ালে দেশটির অন্তত একশ শহরে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, এ সময় অন্তত তিনশ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া করোনা মহামারির প্রভাব, বেকারত্বের চাপ ও সরকারের প্রতি অসন্তুষ্টি তো আছেই। অর্থনীতির এমন ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে হলে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানকে একটি টেকসই চুক্তিতে ফিরতেই হবে।
সৌদি আরবের উপর কঠোর মনোভাব দেখালেও রাইসি তার নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরানের বিদেশনীতি শুধুমাত্র পারমাণবিক চুক্তির উপর নির্ভর করবে না বরং পার্শ্ববর্তী উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে। কিন্তু বাস্তবিক দিক দিয়ে ভাবলে ইসরায়েল, সৌদি আরব এবং পশ্চিমাদের প্রধান প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কঠোরতা দেখিয়ে শুধুমাত্র উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর জোরে ইরান কখনোই অর্থনৈতিকভবে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। কারণ এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও তথাকথিত আধুনিক হতে শুরু করেছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ইতোমধ্যে মার্কিন মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং আরও বেশ কয়েকটি আরব দেশ সেই পথেই হাঁটছে। যেহেতু অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ইরানের সামনে পারমাণবিক চুক্তির বিকল্প নেই, তাই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাইসির এমন কট্টরবাদীতা ইরানের উপর পাশ্চাত্য কর্তৃক আরও কিছু ভারী শর্তারোপ ছাড়া আর কিছুই এনে দিবে না।
তবে ধারণা করা যায়, রাইসি প্রশাসন রক্ষণশীল নীতিতে বিশ্বাসী হলেও নিজের ভালো টা ঠিকই বুঝে নিবে। কট্টরবাদীতার কারণে হয়ত পাশ্চাত্যের সঙ্গে দর কষাকষির সময় কিছুটা দীর্ঘ হবে, সেই সঙ্গে উত্তেজনার মাত্রারও হয়ত সময়ে সময়ে করবে ওঠা-নামা। তথাপি এটা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, কোনো বড় ধরণের অঘটন না ঘটলে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাশক্তির আবারও একটি পরমাণু চুক্তি হতে চলেছে; যার মাধ্যমে পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের উত্তেজনা ধীরে ধীরে প্রশমিত হওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
- লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- ইমেইল: trisha.jannat1112@gmail.com