দুই বিচারকের কাছে পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট

মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করার যৌক্তিকতা জানতে চেয়ে ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতের দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই মামলার সকল নথিসহ সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকেও তলব করেছেন আদালত।
পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতার প্রশ্নে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা এক আবেদনের ওপর শুনানিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আসকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, মো. মুজিবুর রহমান, ড. সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহহিয়া দুলাল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় বাসা থেকে সাড়ে ১৮ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি এবং একটি পাইপ জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মাদক আইনে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনির চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীকালে মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ড আবেদনে গত ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি ছাড়া পান বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।