বগুড়ায় নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা: তদন্ত কমিটি গঠন, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পুলিশের সহযোগিতায় নারী হাজতখানায় শহর শ্রমিক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তুফান সরকারকে রাখার ঘটনায় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা পুলিশের মুখপাত্র) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, এ কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। আদালতের ওই হাজতখানায় কর্মরত পুলিশের টিএসআই জয়নালকে ক্লোজড করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার নারী হাজতখানায় তুফানকে রাখার ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, বিদ্যুৎ আদালতের একটি মামলায় আজ দুপুরে হাজিরা দিতে আদালতে নেওয়া হয় অন্য মামলায় জেলখানায় থাকা তুফান সরকারকে। হাজিরা শেষে তাকে পুলিশ আদালতের নারী হাজতখানায় রাখে। ওই সময় নারী হাজতখানায় তুফান সরকারের স্ত্রী, তার শ্বাশুড়ী, শ্যালিকা ও আদালতের এক আইনজীবীর সহকারী ছিলেন।
তারা ভেতরে থাকা অবস্থায় বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বর সরব হয়ে ওঠে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, কোর্টের নারী কাস্টোডিতে নারীদের সঙ্গে একটি মামলার আসামিকে রাখা হয়েছিল। এটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। এখানে আইনত অপরাধ হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৭ সালে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে বগুড়ায় এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই ছাত্রীর মা ও মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করে দেয় স্ত্রী ও স্বজনেরা। বিষয়টি মিডিয়াতে আসলে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে তুফানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে হত্যাসহ অন্তত এক ডজন মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বগুড়ার আলোচিত নেতা তুফান।