কুয়েটে হল বন্ধ ঘোষণা; 'ভিসিবিরোধী আন্দোলন দমাতে' এ সিদ্ধান্ত, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- ভিসিবিরোধী আন্দোলন দমাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নামমাত্র সিন্ডিকেট মিটিং করে এ নির্দেশনা জারি করেছে। তাই এখন তারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আজ দুপুরে কুয়েটে ক্যাম্পাসে ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে তার বাসভবন থেকে বের করতে গেলে কয়েকজন শিক্ষক তাদের রেজাল্ট নিয়ে হুমকি দেন। এ সময় তাদের নাম ও রোল নম্বরও জানতে চাওয়া হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে ভিসি তার বাসভবনে প্রবেশ করেন। চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকাতে গেলে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের শিক্ষার্থীরা তার বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে ভিসি আসার আগেই কে বা কারা তালা ভেঙে ফেলেন।
উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহন হন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে গত রোববার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে।