সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে: প্রণয় ভার্মা

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মন্তব্য করেছেন যে, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ভারতের বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে কাজ করবে।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবদিকদের এমন কথা বলেন তিনি।
এ সময়ে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে ভারতের অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, 'এতে দুই দেশের সীমান্তে থাকা প্রতিকূলতাগুলো কার্যকরভাবেই সমাধান হবে।'
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে একটি সমঝোতার কথা উল্লেখ করে এই কূটনীতিক বলেন, 'দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।'
ঢাকার তলবের পর বিকেল ৩টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেখা যায় তাকে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে আলোচনার পর প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতের ব্যাপারে ভারতের প্রত্যয় নিয়ে কথা বলেছি। চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল, পাচারের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে দমনের বিষয়ে আলোচনা করেছি।'
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, 'নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।'
এরআগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'কোনো বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।'
তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্কাবস্থায় আছে। বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে বিজিবির যোগাযোগ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা কূটনৈতিকভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।'
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সীমান্তে বেড়া দেয়া নিয়ে— যেসব অসম সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাতিলের বিষয়ে পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী মাসে (ফেব্রুয়ারিতে) বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে ডিজি (মহাপরিচালক) পর্যায়ে বৈঠক হবে বলেও উপদেষ্টা জানান।