কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের একজনসহ ৭৭ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি আসন থেকে ৯৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একজনসহ মোট ৭৭ প্রার্থীর জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তাশিট বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
বার্তাশিট থেকে দেখা যায়, কুমিল্লায় এবার ২১টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এসব দল থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ৭৩জন। স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করেন ২০জন।
আওয়ামী লীগ থেকে ১১ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ১০জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে সাতজন, ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পাঁচজন; তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও গণফ্রন্ট থেকে চারজন করে; গণফোরাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে তিনজন করে; বিএনএফ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাসদ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দুইজন করে; ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দালন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে একজন করে প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
২০জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১০জন। তাদের মধ্যে চারজন বিজয়ী হয়েছেন। চারজন জামানত হারিয়েছেন।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান কুমিল্লা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে ২৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন। সেখানে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৮৮ হাজার ৮১৫। নাঈম বৈধ ভোটের প্রায় সাত দশমিক ৯৮ ভাগ ভোট পেয়েছেন। জামানত থাকতে হলে বৈধ ভোটের আট ভাগ ভোট পেতে হতো।
কুমিল্লা-৫ আসনে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৯। ওই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসেম খান পেয়েছেন ২২ হাজার ৩১৫ ভোট, যা বৈধ ভোটের ৭.৬২ শতাংশ। নিয়মানুসারে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ওই আসনের আলোচিত প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি পেয়েছেন মাত্র ছয় হাজার ৯৮০ ভোট।
