২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে আমদানির জন্য খুলবে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল

আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবসায়ীরা পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল দিয়ে আমদানি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দৈনিক ইত্তেফাক আয়োজিত 'বাংলাদেশের শিপিং খাত: বাস্তবতা ও করণীয়' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, "অল্প কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ ও আটটি জাহাজের উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক এবং সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবসায়িরা পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল দিয়ে আমদানি করতে পারবেন।"
তিনি আরও বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দরের কনজেশন কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হচ্ছে। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে।"
"চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের পণ্য নৌপথে পরিবহনের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। যাতে সড়কের ওপর চাপ কম পড়ে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এবং বে-টার্মিনালের অনেক কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।"
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল শিপিং এজেন্টসদের চলমান নানা সমস্যা, যেমন- রেমিটেন্সে ১৫% ট্যাক্স ও ৭% ভ্যাট, শিপিং এজেন্ট এজেন্সি কমিশন কাঠামোটি নেট ফ্রেইট থেকে গ্রস ফ্রেইটে পরিবর্তন করা, রপ্তানিকারককের পেমেন্ট পেতে সমস্যা হলে বিনা কারণে শিপিং এজেন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান ও আইনের জটিলতা ইত্যাদি তুলে ধরেন।
সমস্যা নিয়ে শিপিং খাতের উপস্থিত উদ্যোক্তারা বলেছেন, বিদেশী শিপিং কোম্পানিগুলোর কাছে তাদের পাওনা পাঠাতে না পারায় বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে এ পাওনা পাঠানো যাচ্ছে না। রেমিটেন্স প্রবাহে ব্যাঘাতের ফলে বিভিন্ন শিপিং লাইনের ১৫ কোটি ডলারের বেশি পাওনা দাঁড়িয়েছে।
তারা বলেন, এ অবস্থায় শিপিং লাইনগুলি যদি তাদের ব্যবসা সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে এটা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের উপর যথেষ্ট ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে। তাই রেমিটেন্স প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তারা।
এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবধান কমিয়েছে।
চলমান অর্থনীতির চাপের বিষয়ে তিনি বলেন, "এসব বিষয়ে বর্তমান সরকার সতর্ক আছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি সম্পর্কে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ এখনও তিন বেলা খেয়েদেয়ে ভাল আছেন। বাংলাদেশের সবকিছু এখনও স্বাভাবিক আছে। গ্রামীণ অর্থনীতি এখনো ভালো আছে, চাঙ্গা আছে।"