মোদির সফরে প্রাধান্য পাবে আঞ্চলিক সংযোগ পরিকল্পনা

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ঢাকা আসছেন। তবে এই সফরে শতবার্ষিকী উদযাপনের পাশাপাশি দুই দেশের মাঝে নানা যোগাযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় ভারত।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এসব তথ্য জানিয়েছে।
মোদির এবারের সফরের পরিকল্পনা অনুসারে বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের সংযোগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের নদীপথ, নদী বন্দর এবং অন্যান্য স্থাপনা ব্যবহার করতে চায় ভারত।
এলক্ষ্যে নয়াদিল্লি এবং ঢাকা বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলকে যুক্ত করা প্রধান প্রধান নদীপথের নাব্যতা বৃদ্ধির উদ্যোতে যৌথ উদ্যোগ নেবে। পাশাপাশি থাকবে বাংলাদেশের নদীবন্দরগুলো আধুনিকায়ন এবং তাদের পণ্য ও মালামাল পরিবণের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ।
এর মাধ্যমে ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সরাসরি বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করা যাবে।
ভারত ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে এলপিজি গ্যাস আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন এলপিজি বহনে সক্ষম বিশেষ ট্রাকগুলো গ্যাস নিয়ে যাবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে । এই পরিকল্পনায় ত্রিপুরায় ভারি শিল্প গড়ে তোলার পাশাপাশি উত্তরপূর্ব ভারতের ভোক্তাদের জন্য গ্যাস সংযোগের মূল্যও কমছে।
তবে ভারতীয় সরকারি সূত্রের দাবি, এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশও লাভবান হতে পারবে।
এর আগে গত মাসে বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত এবং নেপাল নিয়ে গঠিত (বিবিআইএন) জোটের বৈঠকে উপ-আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন সংযোগ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
এই পরিকল্পনার আওতায় একটি খসড়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের মাঝে সরাসরি সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে ত্রিপাক্ষিক এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথাও ওই আলোচনায় স্থান পায়।
চলতি বছরের শুরুতেই ভারতের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ির সঙ্গে সরাসরি সড়ক সংযোগ চালু করে বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করতে এই উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সূত্রগুলো।