ভোররাতের কালবৈশাখী ভেঙে দিল শত পরিবারের আবাস

বৈশাখের শেষভাগে হানা দেওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে বাংলাদেশের মাগুরা জেলার পাঁচটি গ্রাম যার ফলে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঝড়ের কবলে নিজের থাকার একমাত্র জায়গা হারিয়ে এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন সরকারি সহায়তার আশায়।
ঝড় কেবল তাদের ঘর বাড়িই ভেঙ্গে দেয়নি, নষ্ট করে দিয়েছে তাদের শ্রমে ঘামে ফলানো ফসলের ক্ষেত, আমের বাগান, লিচুর বাগান।
মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামে শনিবার ভোররাতে এ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।

কালবৈশাখীতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ আজমপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তবারক হোসেন মোল্লা, বাকির হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান, ভোরে ঘুমের মধ্যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কালবৈশাখী ঝড় তাদের ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। কারো-কারো ঘরের উপর গাছ উপড়ে পড়েছে।
তারা বলছেন, জীবনে এমন ঝড় কখনো দেখেননি তারা। ঝড়ে বাড়িঘর, গাছপালা ও মাঠে থাকা বোরো ধান, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তারা এখন পথে বসেছেন। অনেকে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন।

জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম জানান, ভোররাতে আসা হঠাৎ এ কালবৈশাখী ঝড়ে জগদল ইউনিয়নের আজমপুর, দমদমা, সৈয়দ রুপাটি ও জগদল গ্রামের কাঁচা-আধাপাকা শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আজমপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এ গ্রামের প্রায় ৫০ টি ঘর সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়েছে। অধিকাংশ ঘরের টিন ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। অনেকের ঘরের উপর বড়-বড় গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর ও প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।