বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাবের দাবিতে প্রবাসীদের অনশন
দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর টেস্টের সুবিধা স্থাপনের দাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসীরা আজ ঢাকার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে অনশন আন্দোলন শুরু করেছে।
সকালেই বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা মন্ত্রণালয়ের সামনে পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য জড়ো হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন বাংলাদেশি প্রবাসী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "আমরা প্রবাসী কল্যাণ ভবনের গেট অবরোধ করে রেখেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) টেস্টের সুবিধা দেওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবে, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।"
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১০০ জনেরও বেশি প্রবাসী এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে, চলতি মাসের ৬ তারিখে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্টের সুবিধা স্থাপনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
কিছু দেশ শর্ত আরোপ করেছিল, ভ্রমণকারীদের তাদের নির্ধারিত ফ্লাইট ছাড়ার চার থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ এর পিসিআর টেস্টের ফলাফল জমা দিতে হবে। মূলত এমন শর্তারোপের পরেই প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
তবে, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা ঠিক বলতে পারছেন না, কবে নাগাদ এ সুবিধা দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে চালু হতে পারে।
৬ সেপ্টেম্বর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আশ্বাস দিয়েছিলেন, শীঘ্রই দেশের তিনটি বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্টের বুথ স্থাপন করা হবে, যাতে করে আন্তর্জাতিক যাত্রীরা তাদের ফ্লাইটের চার থেকে ছয় ঘণ্টা আগে কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে পারেন।
এদিকে, বহিরাগত অভিবাসীদের ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে; কারণ কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য রিয়েল-টাইম আরটি-পিসিআর মেশিন এখনও বিমানবন্দরগুলোয় স্থাপন করা হয়নি।
বর্তমানে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েক হাজার প্রবাসী উপসাগরীয় দেশটিতে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে অনিশ্চয়তার মাঝে দিন গুনছেন।
শুক্রবার খালীজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ আটকে পড়া বাসিন্দাদের প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে কিছু নিয়ম শিথিল করেছে।
তবে, এসকল যাত্রীকে অবশ্যই বিমানে ওঠার আগে ছয় ঘণ্টার মধ্যে করোনার র্যাপিড পিসিআর টেস্ট করতে হবে।
