আরও ১০ জনের মৃত্যু, প্রাণহানি ১০০ ছাড়ালো

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০১ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া নতুন ৪৯২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২ হাজার ৯৪৮ জনের শরীরে শনাক্ত হলো প্রাণঘাতি ভাইরাসটি।
গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ৮৫ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৯২ জন। এছাড়া নতুন করে যে ১০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ এবং দুজন নারী।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গতকালের চেয়ে করোনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ বেশি। সারাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
এক নজরে দেশের করোনাচিত্র:
-
আক্রান্ত হয়েছেন: ২,৯৪৮ জন।
-
সুস্থ হয়ে উঠেছেন: ৮৫ জন।
-
মারা গেছেন: ১০১ জন।
-
নমুনা পরীক্ষা: ২৬,৬০৪ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু করেছে।
অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সংগৃহীত পিপিইগুলোর মধ্যে ৭০% ই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বানানো। ৩০% চীন থেকে আমদানি করা। এগুলো কোভিড হাসপাতালগুলোতে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যারা নমুনা শনাক্ত করতে কাজ করছেন তাদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও এন-৯৫, পিএন-৯৫ মাস্কও সরবরাহ করা হবে।
মাস্কের দাম নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, এন-৯৫ এদেশের কোন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে না। দেশে যেসমস্ত মাস্ক বিক্রি হচ্ছে তার মাণ অ দাম নির্ধারন করে ওষুধ প্রশাসন। তাই মাস্কের দাম নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সিএমএসডিতে যোগাযোগের নির্দেশ দেন তিনি।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৪ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও প্রাণ গেছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৪ জনের।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যেসব দেশে:
-
যুক্তরাষ্ট্র: ৪০ হাজার ৫৬৫ জন।
-
ইতালি: ২৩ হাজার ৬৬০ জন।
-
স্পেন: ২০ হাজার ৪৫৩ জন।
-
ফ্রান্স: ১৯ হাজার ৭১৮ জন।
-
যুক্তরাজ্য: ১৬ হাজার ৬০ জন।
-
বেলজিয়াম: ৫ হাজার ৬৮৩ জন।
-
ইরান: ৫ হাজার ১১৮ জন।
-
চীন: ৪ হাজার ৬৩২ জন।
-
জার্মানি: ৪ হাজার ৬৪২ জন।
-
নেদারল্যান্ডস: ৩ হাজার ৬৮৪ জন।