বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর উন্নয়ন খাতে অংশগ্রহণের আগ্রহ দক্ষিণ কোরিয়ার

বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর উন্নয়ন খাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে সে দেশের সমুদ্র ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রী মুন সং ইয়ক তাদের কাছে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ২৭ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট ক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। সফরকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধূরী দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জুলফিকার আজিজসহ দু’দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আলোচনাকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি নৌপরিবহন খাতে বিরাজমান সম্পর্ক জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাছাড়া, বাংলাদেশে ব্লু বায়োটেকনোলজি, টাইডাল এনার্জি, ওসান সেফটি, মেরিটাইম খাতে প্রশিক্ষণ, কোরিয়ার জাহাজে বাংলাদেশের নাবিকদের কর্মসংস্থান এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে প্রযুক্তি বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন যে, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি এ দেশকে একটি বৃহৎ ও বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় বাজারে রূপান্তর করেছে। তিনি এ সম্ভাবনা কার্যকরভাবে কাজে লাগানের লক্ষ্যে কোরিয়াকে বাংলাদেশের নৌপরিহন ও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। সে সঙ্গে নৌপরিবহন খাতে কোরিয়া সরকার প্রদত্ত উন্নয়ন-সহায়তা আরও বৃদ্ধি করবার জন্যও অনুরোধ জানান তিনি।
কোরিয়ার মন্ত্রী মুন সং ইয়ক এ সময় উল্লিখিত সকল খাতসমূহে তাঁর সরকার কর্তৃক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর উন্নয়ন খাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের বিষয়েও গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বুসানের নতুন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর এবং পুরাতন সমুদ্র বন্দরগুলি পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্দর উন্নয়ন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।