মেসি জাদুতে সেমিতে আর্জেন্টিনা

শুরুতে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে হতাশই করেছিলেন লিওনেল মেসি। সেই হতাশা পুষিয়ে দিতে সময় নেননি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। প্রথমে সতীর্থকে দিয়ে গোল করালেন, পরে নিজেও করলেন। মেসিময় ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়ে কোপা আরেমিকার সেমি-ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে গোইয়ানিয়ার অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার-ফাইনালে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল স্কালোনির দলের পক্ষে গোল করেন রদ্রিগো দে পল, লাউতারো মার্তিনেজ ও লিওনেল মেসি।
এই জয়ে কোপা আমেরিকায় দারুণ ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। লাতিন অঞ্চলের সবচেয়ে জমজমাট আসরে টানা চতুর্থবারের মতো সেমি-ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার আগে তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চারে ওঠে কলম্বিয়া। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে লিওনেল মেসির দল। শেষ চারে উঠতে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে কলম্বিয়াকে। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ গোলে উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠে কলম্বিয়া।
আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে জিতলেও ম্যাচে একতরফা দাপট দেখাতে পারেনি কোপার ১৪বারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে লড়াই হয়েছে সমানে সমান। বরং বল দখলে আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। দলটি ৫৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে। তবে আক্রমণে আর্জেন্টিনা অনেক এগিয়ে ছিল।
মুহুর্মুহু আক্রমণ সাজানো আর্জেন্টিনা গোলমুকে ২১টি শট নেয়, এর মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। কলম্বিয়ার নেওয়া ৯টি শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে। আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি কর্নার আদায় করে কলম্বিয়া। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া দলটি ১০টি কর্নার পায়, আর্জেন্টিনা ৬টি।
৪০তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের বাইরে এসে নিকোলাস গঞ্জালেসকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক। মেসি বল নিয়ে বাড়ান দে পলকে। সহজেই বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটাই তার প্রথম গোল।
এরপর আর গোলের দেখা মিলছিল না। ৮৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লাউতারো মার্তিনেজ। মেসির দারুণ পাস থেকে গোল আদায় করে নেন মার্তিনেজ। যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে দারুণ এক ফ্রি কিকে বল জালে পাঠান মেসি।